গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ আজকের আলোচ্য বিষয়। গর্ভাবস্থায় এই ব্যথাটা মৃদুও হতে পারে আবার তীব্র থেকে তীব্রতরও হতে পারে। তবে এই ব্যথাটা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য সহ্য ক্ষমতার মধ্যেই থাকে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অনেকগুলো অঙ্গের সমন্বয়ে পেট।

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ

পেটের চারটি ভাগ বা অংশ থাকে। এই চারটি অংশের ডান দিকের উপরিভাগকে বলে ডান উপরি পেট, উপরের বাম দিকের অংশেকে বলা ক্যাপাসিট, নিচের ডান অংশকে বলে নিচ পেটের ডান পাশ আর নিচের বাম অংশকে বলে নিচ পেটের বাম পাশ। গর্ভাবস্থায় পেটের যে অংশই ব্যথা হোক না কেন ব্যথাটা প্রথমে বাম অংশেই অনুভূত হয়।

পেজ সূচিপত্র 

গর্ভাবস্থার প্রথম স্টেজ ভ্রুন স্থাপন জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কিত বাথার প্রথমেই জানবো ভ্রুন স্থাপন জনিত বাথা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থার প্রথম স্টেজ হল ভ্রূণ স্থাপন বা ভ্রূণ ইমপ্লান্টেশন।পুরুষের শুক্রাণু আর মহিলাদের ডিম্বানু মিলনের ফলে তৈরি হয় একটা পূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা জাইগোট।

নিষিক্ত এই জায়গোট বা ভ্রুণটি দিনে দিনে বড় হয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশুতে রূপ নেয়। স্বাভাবিক গর্ভধারণের পর এই ভ্রূণটি প্রথমবারের মতো যখন জরায়ুতে স্থাপিত হয় তখন তাকে ইমপ্ল্যান্টেশন বলা হয়।

কোন কোন সময় এই ভ্রুণটি জরায়ুর বাহিরে ডিম্বনালীতে স্থাপিত হয়। ডিম্বনালীতে ভ্রূণ স্থাপিত হওয়ার ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে পেটের বাম পাশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এমতবস্থায় একজন ভালো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।

গর্ভাবস্থায় পেটের লিগামেন্ট ও পেশীতে টান জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ আলোচনায় এখন জানবো পেশীতে টান জনিত বাথে সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় পেটের পেশী বা লিগামেন্টে টান লেগে ব্যথা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। গর্ভাশয়ে বাচ্চাটি যখন দিনে দিনে বড় হয় তখন তার স্পেস বা জায়গা বেশি লাগে।

আরো পড়ুনঃ অর্থসহ মেয়ে বাচ্চাদের ইসলামিক নামের তালিকা ও ইংরেজি বানান

স্পেস বেশি লাগার কারণে পেটের পেশী ও লিগামেন্টে টান পড়ে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় ভারউত্তোলনের কারণে, মোচড় খাওয়ার কারণে, খিঁচুনির কারণে, হাঁচি-কাশি দেয়ার কারণে

এমনকি বেশি ওঠা-বসার করার কারণেও পেটের পেশী ও লিগামেন্টে টান লেগে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথাগুলো সাধারণত সহ্য ক্ষমতার মধ্যেই থাকে। এই ব্যথাগুলো অসহ্য মনে হলে গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় বনস্ বা হাড় প্রসারণ জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে গিয়ে এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় হাড় প্রসারণ জনিত বাথা সম্পর্কে। দিন যত গড়াতে থাকে গর্ভের বাচ্চা তত বড় হতে থাকে। গর্ভে বাচ্চা বড় হওয়ার জন্য ইউটেরাসের আশেপাশের‌ হাড়গুলো প্রসারণ হওয়ার প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুনঃ অর্থসহ ছেলে শিশুর ইসলামিক নামের তালিকা

গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভধারণের চার মাসের পর থেকে এই প্রসারণটা বেশি হয়। হাড়ের প্রসারণের কারণে পেটে দুই পাশেই ব্যথা হয় তবে বাম পাশে ব্যথাটা একটু বেশি অনুভূত হয়। এই ব্যথাগুলো বুঝতে পারার সাথে সাথে দ্রুত গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর পেশির সংকোচন-প্রসারণ জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ এ সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আলোচনা করবো জরায়ুর পেশির সংকোচন-প্রসারণ জনিত বাথা সম্পর্কে। জরায়ুতে বাচ্চাটি দিনে দিনে বড় হওয়ার প্রাককালে জরায়ুর পেশীগুলো অনিয়মিত বা বিক্ষিপ্তভাবে সংকোচন ও প্রসারণেরগর্ভাবস্থায় জরায়ুর পেশির সংকোচন-প্রসারণ জনিত ব্যথামাধ্যমে বাচ্চাটিকে স্পেস বা জায়গা করে দেয় এই স্পেস করে দেওয়ার সময় জরায়ুর পেশীতে ব্যথা অনুভূত হয় তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্বস্তিকর কিন্তু কষ্টদায়ক না। আবার ব্যথাগুলো ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয় না। এই ব্যথাগুলো গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশেই প্রকাশ পায়

গর্ভাবস্থায় ওভারিয়ান সিস্ট জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ আলোচনায় এখন আলোচনা করবো ওভারিয়ান  সিস্ট জনিত বাথা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় ওভারিতে ছোট-বড় কিছু সিস্ট থাকে। এই সিস্টগুলো অনেকের এমনিতেই গলে যায় বা অমিট হয়ে যায় আবার নতুন তৈরিও হয়। যা সাধারণত কোনো ক্ষতির কারণ নয়।

আরো পড়ুনঃ সিজার কখন করাতে হয় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব

ওভারি বা ডিম্বাশয় পেটের নিচের অংশে জরায়ুর পাশে অবস্থান করে। যখন কোন মহিলা প্রেগনেন্ট হয় তখন জরায়ু বড় হতে থাকে এর ফলে ওই সিস্টগুলোতে প্রেসার ক্রিয়েট করে এতে করে অনেক সময় ব্যথা হয়। এ কারণেও গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা অনুভূত হয়। 

গর্ভাবস্থায় ফুল বা প্ল্যাসেন্টা ছেদন জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ জানার জন্য এখন আলোচনা করবো ফুল বা প্লাসেন্টা ছেদন জনিত বাথা সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা বা ফুল ছেদন খুবই জটিল একটা বিষয়। আম্বিলিক্যাল কোর্ড নামক একটা নাড়ি শিশুর নাভির সাথে প্লাসেন্টার মাধ্যমে জরায়ুকে সংযোগ করে।

আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোন ব্যবহারে শিশুদের কি কি ক্ষতি করে

এই নাড়ির মাধ্যমে মাতৃ দেহ থেকে শিশুর দেহে অক্সিজেনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্যোপাদান সরবরাহ করে। উচ্চ রক্তচাপ,  প্রি-একলামশিয়া এবং গর্ভাবস্থায় পেটে আঘাত জনিত কারণে অনেক সময় ফুল সংযোগকারী নাড়ি ছিড়ে যায়। যার ফলে বাচ্চাকে খাদ্য সরবরাহ করতে পারে না।

এই ফুল ছিড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে ব্লিডিং হয় এবং তীব্র থেকে তীব্রতর ব্যথা হয়। সাধারণত প্রেগনেন্সির ৩২ থেকে ৩৬ সপ্তাহ পরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে যা খুবই কষ্টদায়ক। গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে এই ধরনের ব্যথাগুলো অনুভূত হয়। এমতবস্থায় গর্ভবতী মাকে খুব দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়। 

গর্ভাবস্থায় ডাইভারটিকিউলাটিস রোগ জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হোল ডাইভারটিকিউলাইটিস জনিত বাথে। গর্ভবতী কালে একজন মা ডাইভারটিকিউলাটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এই রোগটি মূলত অন্ত্রে (বৃহদান্ত্র) হয়।

বৃহদান্তের প্রাচীরে এক ধরনের গোটা বা পকেটের মতো সৃষ্টি করে যা ভাইভার্টিকুল বা ডাইভার্টিকুলা নামে পরিচিত। সাধারণত এগুলো কোন রকম লক্ষণ, ব্যথা বা উপসর্গ প্রকাশ করে না। বিপত্তি ঘটে তখনি যখন এই ডাইভারটিকুলাগুলো ইনফেক্টেড হয় তখন নাম হয় ভারভারটিকিঊলাইটিস।

গর্ভবতী মহিলাদের পেটের ভ্রূণ বড় হওয়ার সাথে সাথে বৃহদান্ত্রের প্রাচীরে এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করে ফলে পেটের বাম পাশে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় যা প্রাথমিকভাবে গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হিসেবে গণ্য করা হয়। আমতবস্থায় রোগীকে খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হয়।

গর্ভাবস্থায় হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদা স্রাব জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ আলোচনায় এখন আমরা জানবো সাদা স্রাব জনিত বাথা সম্পর্কে। অনেক গর্ভবতী মহিলার প্রচুর পরিমাণে সাদা স্রাব যায় যা পেটের বাম পাশে অস্বস্তিকর ব্যথা করে কিন্তু অসহ্যকর নয়। এই অবস্থায় জরায়ুতে অনেক চুলকায় ও হালকা বাথা করে।

কারো কারো ক্ষেত্রে এই সাদা স্রাবগুলো হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। সাধারণত বাচ্চা কনসেপ্ট করার প্রথম দিকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থার সৃষ্টি হলে অনেক সময় গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই অবস্থার সৃষ্টি হলে খুব দ্রুত গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।

গর্ভাবস্থায় এসিডিটি বা গ্যাস জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রজেটেরন হরমোনের আধিক্যতা বেড়ে যায় আবার কোন কোন হরমোন পরিমাণে কমেও যায়। এই হরমোনগুলোর ইমব্যালেন্সের কারনে অধিক পরিমাণে এসিডিটি বা গ্যাস হয় ও পেটে ব্যথা করে।

আরো পড়ুনঃ গাজরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অনেক মা-বোনেরা হাঁটা-চলাফেরা বা নড়াচড়া কম করার কারণে এসিডিটি বা গ্যাস বেড়ে যেতে পারে। গর্ভকালীন সময় এই ব্যথা বেশি অনুভূত হয় ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি কর। এই অবস্থায় একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশন জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় ইউরিনারিট্র্যাক্ট বা মূত্রতন্ত্রের ইনফেকশন খুবই কমন একটা ব্যাপার। জরায়ুর মধ্যে যখন বাচ্চা বড় হতে থাকে তখন জরায়ু আকারে বড় হয়ে যায় ও জরায়ুর পাশে থাকা  ইউরেটার, ইউরিনারি ব্লাডার ও ইউরেথ্রার উপরে চাপ প্রয়োগ করে,

এতে করে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ হয় কিন্তু প্রসাব ঠিকমতো পাস করে না বা আটকে থাকে। প্রসাব আটকে থাকার কারণে ইনফেকশন হতে পারে, প্রসাবের জ্বালাপোড়া করে এবং পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। গর্ভাবস্থায় এই ব্যথা গুলো বেশি হয়।

গর্ভাবস্থায় পেটের ব্যথায় করণীয় কি

গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে বিভিন্ন কারণে-অকারণ ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথাটা মৃদু বা তীব্র যাই হোক না কেন যদি আপনি সহ্য করতে পারেন বা নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে তো খুবই ভালো, আর যদি না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। গর্ভকালীন সময়ে পেটের বাম পাশে ব্যথার সমস্যা গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র।

গর্ভাবস্থায় পেটের ব্যথায় করণীয় কি

একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর ফল ভোগ করতে হয় দীর্ঘদিন। তাই কোন অবস্থাতেই এই ব্যথাগুলো ইগনোর করা যাবে না। ছোটখাটো ভুল থেকে অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সেজন্য গর্ভকালীন সময়ে সব সময় একজন গাইনি চিকিৎসকের পরামর্শে চলবেন। গর্ভকালীন সময় পেটের ব্যথা কমানোর জন্য নিম্নের বিষয়গুলো মেনে চলা  উচিৎ।

  • সাবধানে নড়াচড়া করবেন।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিবেন।
  • খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করবেন।
  • পরিমাণমত পানি পান করবেন।
  • যে খাবারগুলো খেলে হজম করতে সমস্যা সেগুলো এড়িয়ে চলবেন।
  • ফাস্টফুড এড়িয়ে চলবেন।
  • একটু সময় ধরে মূত্রথলি খালি করে প্রসাব করবেন।
  • ভার উত্তোলন ও ভারী কাজ কম করবেন।
  • বেশি পরিমানে দেশিও ফল খাবেন।
  • নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করবেন। 

গর্ভাবস্থায় পেটে বদহজম জনিত ব্যথা

গর্ভাবস্থায় হরমোনের ইমব্যালেন্সের কারণে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এ সময় ভ্রূণ রিলেটেড হরমোন গুলো বেশি নিঃসরণ হয় ও অন্যান্য হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যার কারণে খাদ্য হজম করার জন্য দরকারি এনজাইম বা হরমোন কমের কারণে হজম প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হয় না,

ফলে বদহজম হয় ও পেটের স্মুথ মাসোলে ব্যথা করে যা গর্ভাবস্থায় বেশি অনুভূত হয়। যে সমস্ত গর্ভবতী মায়েরা বেশি বিশ্রাম নেন বা মুভমেন্ট কম করেন বা পানি কম খান বা ফাস্টফুড বেশি খান তাদের এই সমস্যাটা বেশি হয়।

গর্ভাবস্থায় পেটে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত ব্যথা

প্রেগনেন্সি পিরিয়ড বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও খাবার খেতে পারেন না।

আবার অনেক বেশি বিশ্রাম নেওয়ার কারণে বাউল মুভমেন্ট ঠিকমতো হয় না ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য পায়খানা ঠিকমতো  না হওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় নিচ পেটে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা অনুভুত করে।

লেখকের মতামত

বাচ্চা জন্মদান বা বাচ্চার মা হওয়া একজন মহিলার সবচেয়ে আনন্দের ও জীবনের পরিপূর্ণতা। তাই অনেক ধৈর্য্য, ঘাত-প্রতিঘাত, ব্যথা ও কষ্ট সহ্য করে সন্তান প্রসব করে মা হতে হয়। একজন প্রসূতি মা সন্তান জন্মদানের পরে সন্তানের মুখ দেখে ও পরবর্তিতে সন্তানের মুখে মা ডাক শুনে সকল ব্যথা ও কষ্ট ভুলে যায়।

আজকের এই আর্টিকেলে একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় পেটের বাম দিকে যে ব্যথাগুলো হয় সেগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। আশা করি এগুলো পড়ে আপনরা উপকৃত হবেন ও গর্ভাবস্থায় সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলবেন। সর্বোপরি সকল গর্ভবতী মা ও পেটের সন্তান সুস্থ থাকবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url