মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ, খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব। মিষ্টি আলু অন্যান্য আলুর মতো এক ধরনের সবজি কিন্তু পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। খাওয়ার নিয়মেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে মিষ্টি আলু সম্পর্কে সব খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

অতিরিক্ত শীত প্রধান দেশে এই আলু চাষ করা কঠিন কারণ এটি হলো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের চাষযোগ্য উদ্ভিদ। আদিম কাল থেকেই ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আমেরিকার কিছু কিছু প্রদেশ ও আফ্রিকার কোন কোন অঞ্চলসহ বিশ্বের বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই আলুর চাষ ভালো হয়।

সুচিপত্র 

মিষ্টি আলুর পরিচিতি

মিষ্টি আলু সম্পর্কে বলতে গেলে সবারই কম বেশি ধারণা আছে, তারপরও পরিচিতি সম্পর্কে একটু বলা দরকার। এ আলুর ইংরেজি নাম Sweet Potato এবং বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea batatas (ইপমিয়া  বাতাতাস) মিষ্টি আলু লতানো বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের গোড়ায় হয় এমন এক ধরনের সবজি। এটি মূলত: সবজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনবিটরুট খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

এই আলুর দৈহিক গঠন বিভিন্ন রকমের ও বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। এর দৈহিক গঠন একটু আঁকাবাঁকা ও লম্বা হযে থেকে।
এই আলুর গায়ের রং সাধারণত: লালচে হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে খয়েরি, বেগুনি,সাদা,কমলা ও হলুদ বর্ণেরও দেখা যায়। বিভিন্ন রং এর হওয়ার কারণে অঞ্চল ভেদে এই আলুকে রাংগা আলু বা শ্যাকা আলু বলা হয়ে থাকে।

মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম

মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা এখন জানব। মিষ্টি আলু খাওয়ার বৈজ্ঞানিক কোন নিয়ম নেই, তবে এটা একটি ভালো মানের সবজি। এটা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়, ভর্তা করে খাওয়া যায়,পানির মধ্যে সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, চিপস তৈরি করে খাওয়া যায়,আগুনে পুড়িয়ে সিদ্ধ করে খাওয়া যায়, সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়, কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায় এছাড়াও জুস তৈরির করে খাওয়া যায়।

আরো পড়ুন : কলার পুষ্টিগুণ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা বাঙালিরা প্রত্যেকেই মিষ্টি আলু খেতে পছন্দ করি। তবে জানিনা সঠিক কিভাবে খেলে এর পুষ্টি গুনাগুন ঠিক থাকে। আমরা জানি, যে কোন সবজি বেশি সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত না। আগের স্টেপে আপনারা পড়েছেন মিষ্টি আলু বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় তবে এর সঠিক পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য কম সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত। তবে পুরোপুরি পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য কাঁচা খাওয়াটাই শ্রেয়।

মিষ্টি আলু বা রাংগা আলু, বিভিন্ন মিষ্টি ও ডেজার্ট আইটেম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্যুপ তৈরিতেও এর ব্যবহার লক্ষণীয়। এর বহুবিধ ব্যবহারের জন্য চীনের কোন কোন রাজ্যে, পাপুয়া নিউগিনি,আফ্রিকার বিভিন্ন প্রদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই প্রধান খাদ্যগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে  এই মিষ্টি আলু ব্যবহৃত হয়।

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান ও পুষ্টিগুণ

বহু পুষ্টিমান ও পুষ্টিগুণে ভরপুর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান নিয়ে গঠিত এই মিষ্টি আলু বা রাংগা আলু। পুষ্টিবিদের বিভিন্ন গবেষণা লব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, সাদা আলুর চাইতে রঙ্গিন আলুতে পুষ্টি উপাদান ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে।

আরো পড়ুন: লটকন ফল খাওয়া ১০ টি উপকারিতা

চলুন দেখে নেওয়া যাক একটি স্ট্যান্ডার্ড মানের আলুতে কি কি পুষ্টি উপাদান ও কি পরিমাণে পুষ্টি থাকে। নিম্নের টেবিল বা চার্টে লক্ষ্য করুন তাহলে সব জানতে পারবেন

পুষ্টি উপাদানের নাম

পরিমাণ

এনার্জি

৮৬ কিলকালরি

ফাইবার

৩ গ্রাম

পটাশিয়াম 

৩৩৭ মিলিগ্রাম

শর্করা

২০.১ গ্রাম

ক্যালশিয়াম

৩০ মিলিগ্রাম

ভিটামিন এ

১৪.১৮ মিলিগ্রাম

আয়রন

০.৬ মিলিগ্রাম

ভিটামিন সি

২.৪ মিলিগ্রাম

ফ্যাট

০ মিলিগ্রাম

স্টার্চ

২২ গ্রাম

ভিটামিন বি৬

১২.৫ মিলিগ্রাম

প্রোটিন

১.৬ মিলিগ্রাম

ভিটামিন ই

২৬ মিলিগ্রাম

 

 

উপরের চার্টে উল্লেখিত ভিটামিন গুলো ছাড়াও আরো রয়েছে বিভিন্ন মিনারেলস যেমন ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও ফসফরাস ইত্যাদি। 

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। উপরে আলোচনায় আমরা জেনেছি মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ,পুষ্টিমান ও‌ পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। এত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই আলু আমাদের শরীরে নানাবিধ উপকার করে থাকে। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে স্টেপ বাই স্টেপ এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।

মিষ্টি আলু  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়   

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মিষ্টি আলু অতুলনীয়। এই আলুতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রাংগা আলুতে রয়েছে  ভিটামিন সি, ডি,এ,কে এবং ভিটামিন বি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মিনারেলস।

মিষ্টি আলু  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

যেগুলো আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ও শরীরকে রোগমুক্ত রাখে।া ছাড়াও আতে রয়েছে জিংক, ক্যালসিয়াম ও মাগনেসিয়াম  এই মিনারেলসগুলো দেহ  - মনকে সতেজ ও শরিরের আরো শক্তিশালি করে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত মিষ্টি আলু সকলেরই খাওয়া উচিত। 

দাঁত ও হাড় মজবুত করে

দাঁত ও হাড় মজবুত করতে মিষ্টি আলু উপকারী। মিষ্টি আলু বা রাঙ্গা আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের 

আরো পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার দশটি সহজ উপায়

গঠন মজবুত করে ও সুস্থ রাখে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বেরিবেরি রোগ থেকে রক্ষা করা। ভিটামিন সি মাড়ির স্কার্ভি রোগের উপশম করে।

পেশীর ক্ষয় রোধ করে

পেশীর ক্ষয় রোধ করার জন্য মিষ্টি আলু অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই আলুতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটক্যারটিন উপাদানগুলো আমাদের শরীরের পেশীগুলোর ক্ষয় রোধ করে, পেশীকে মজবুত করে ও এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

ডায়াবেটিস বা সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষেরই ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি কথাটা শুনলে কেমন যেন আতকে ওঠেন! আসলে বিষয়টা এমন না, মিষ্টি আলুতে যে পরিমাণ সুগার আছে তা ডায়াবেটিসের উপর কোন প্রভাব ফেলে না বরং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

আরো পড়ুন: অর্থসহ মেয়ে বাচ্চাদের ইসলামিক নামের তালিকা ও ইংরেজী বানান

ডায়াবেটিস সোসাইটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রাংগা আলুকে সুপার ফুড বলে আখ্যায়িত করোছে। মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম উপরন্ত মিষ্টি আলুতে বিদ্যমান ষ্টার্চ ও কার্বোহাইড্রেট রক্ত প্রবাহে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তায় করে।

দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ বা উপকারিতাগুলোর মধ্যে আরো একটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। আপনারা আগেই জানতে পেরেছেন মিষ্টি আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটাক্যারটিন ও ভিটামিন এ রয়েছে। আমাদের চোখকে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় আর ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।।প্রতিদিন নিয়মিত মিষ্টি আলু খান চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখুন।

ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে সহায়তা করে 

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে মিষ্টি আলু যথেষ্ট উপকারী। এই আলুতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সেলগুলোকে মজবুত রাখতে সহায়তা করে আর পটাশিয়াম গুলো ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই রোগীরা প্রতিদিন নিয়মিত ও পরিমিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

পরিপাক বা হজমে সহায়তা করে

মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু পরিপাক বা হজমে সহায়তা করে। এই আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার,মিনারেলস ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান। এগুলো খাদ্য হজম করে পেট ফাঁপা , এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। মিষ্টি আলু খেলে এই সমস্যা গুলো দূর করে ও হজম বৃদ্ধি করে। তাই জিনারা এই সকল হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখে

হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও ভালো রাখার মত কিছু ভিটামিন এই রাংগা আলুতে রয়েছে যেগুলো আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আমাদের মনে রাখতে হবে হৃদপিণ্ড মানব শরীরে একটাই তাই এর এক্সট্রা যত্ন নিতে হয়। যাতে করে সহজে রোগাক্রান্ত না হয়।  বুঝতেই পারছেন এই হৃদপিণ্ড রোগাক্রান্ত হওয়া মানে আপনার জীবন বিপন্ন হওয়া সম্ভাবনা।

আরো পড়ুন: ক্যালেন্ডারে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ২০২৪

রক্তে হিমোসিস্টিন নামক এক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা হৃদপিণ্ডের রোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। এই মিষ্টি আলুতে বিদ্যমান ভিটামিন বি৬ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর উপাদানের পরিমাণ কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে পটাশিয়ামের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি যা অল্পতেই শরীরে এনার্জি দেয়। ফাইবার যুক্ত আলু খেলে সব সময় পেট ভরা ভরা মনে হয়, এতে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় ফলে ওজন কমে।

এই আলুতে ফ্যাট বা চর্বির পরিমাণ শূন্য তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু খেলেও আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম। যদি আপনি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে পরিমানমত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

মিষ্টি আলু ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে 

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে এই রাংগা আলু।রাঙা আলুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিট ক্যারোটিন থাকে। যেহেতু বিটা ক্যারোটিনের একটা বৈশিষ্ট্য হল ক্যান্সার সেল ডেভেলপমেন্টে বাধা প্রদান করা। সেজন্য মিষ্টি আলুর বিটা ক্যারোটিন কোলন ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

মিষ্টি আলু ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে

বিশেষ করে বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুতে এন্থোস্যায়ানিন নামক ক্যান্সার প্রতিরোধে এক ধরনের মলিকুল থাকে যা ব্লাড ক্যান্সার, বেস্ট ক্যান্সার, ও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত ও পরিমানমত মিষ্টি আলু খান ক্যানসারের বিরুদধে দোহিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, সুস্থু থাকুন। 

চুল ও ত্বক ভালো রাখে

চুল ও ত্বক ভালো রাখতে মিষ্টি আলুর বেশ ভালো ভুমিকা রয়েছে। এ আলুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই , ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো আমাদের চুল ও ত্বককে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে থেকে রক্ষা করে। যার ফলে স্কিন রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া থেকে রোধ হয় ও ভিটামিন ই চুলের পুষ্টির যোগান দিয়ে চুলগুলোকে সুন্দর, সিল্কী, লম্বা ও প্রাণবন্ত করে তোলা।

মিষ্টি আলুর অপকারিতা

মিষ্টি আলুর পুষ্টিমান বা পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে উপরে আলোচনায় জেনেছি। অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এই আলু যদি বেশি পরিমাণ কেউ খেয়ে ফেলে তাহলে কিছু কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে। অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হলেও এ আলু খাওয়ার সময় নিম্নোক্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করা উচিত।

  • মিষ্টি আলুতে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সাইড (জৈব এসিড) থাকে। সে জন্য বেশি পরিমাণে এ আলু খেলে কিডনিত পাথর হতে পারে।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের মিষ্টি আলু খাবার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ আলু খেলে অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে।
  • ম্যানিটল ধরনের কার্বোহাইড্রেট থাকে এই আলুতে এটা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বদহজম হতে পারে।
  • কাঁচা আলুতে পুষ্টিগুণ বেশি বলে সবাই খেতে পারবেন এমনটি নয়। কাঁচা আলু খেলে অনেকেরই পেট ব্যথা করতে পারে।
  • পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস হল মিষ্টি আলু তাই অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে হার্টের সমস্যা দেখাতে পারে।
  • হাইপার এসিডিটির রোগীদের অধিক পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে।
  • মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী তবে বেশি পরিমাণে খেলে প্রাকৃতিক শর্করা  সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু ক্ষতির কারণ হতে পারে।

লেখক এর মতামত

মিষ্টি আলু বা রাংগা আলুর পুষ্টিগুণ,উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা এই আলুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছে। এতদিন শুধু মিষ্টি আলুর নামের সাথে পরিচিত ছিলেন, আজ থেকে নতুন করে এর যাবতীয় জাদুকরীগুন ও উপকারীতা সম্পর্কে জানতে পারলেন।

আশা করছি আজকের এ আর্টিকেল পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে কষ্ট করে আমি আমার এ লেখাটাকে সার্থক বলে মনে করব। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপডেট লেখা পাওয়ার জন্য এখনই সাবস্ক্রাইব করে আমর সাথেই থাকুন। সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url