অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু। প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অ্যালোভেরা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বিশদ ভাবে জানতে পারবেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ইতিহাস থেকে জানা যায় এলোভেরার আদি নিবাস আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল ও মাদাগাস্কার। তবে প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মিশরে অ্যালোভেরার উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়।
খ্রিষ্টপূর্ব যুগ শুরু হওয়ার আগে থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী নামটি সঙ্গে ছোট বড় সকলের পরিচিত। এর পুষ্টিগুন, খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সূচীপত্র
অ্যালোভেরার পরিচিত
অ্যালোভেরা নামে আমারা যে উদ্ভিদটি চিনি সেটির বাংলা নাম হলো ঘৃতকুমারী। এই ঘৃতকুমারীর ইংরেজি নাম হলো মেডিসিনাল অ্যালয় ও বার্ন প্ল্যান্ট (Medicinal Aloe, ও Burn Plant), বৈজ্ঞানিক নাম হলো অ্যালোভেরা (Aloe Vera). অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গাছগুলো দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফনিমনসা বা ক্যাকটাস বা আনারসের গাছের মতো।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ঔষধিগুন সম্পন্ন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার পাতাগুলো সবুজ ও লম্বা। ঘৃতকুমারীর পাতাগুলো দুই ধারে করাতের দাঁতের মত সুচালো কাঁটা আছে। পাতাগুলো কাঁটাযুক্ত হলেও ক্যাকটাস।নয়, এর পাতাগুলো বেশ রসালো এবং লালা বা জেলি সদৃশ তরলে পরিপূর্ণ। এই পাতাগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ডাগুর বলা হয়।
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো অ্যালোভেরার পুষ্টিগুন সম্পর্কে। এটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ হলেও এর রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ যা শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি যোগান দেয়। ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার রয়েছে বাড়তি উপকারিতা।
আরো পড়ুনঃ নেপাল ভ্রমণঃ ঘুরে আসুন হিমালয়কন্যা নেপাল থেকে
চলুন জেনে নেওয়া যাক এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পুষ্টিমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। এই ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদটিতে রয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২২ রকমের খনিজ পদার্থ। যেমন -
- ক্যালসিয়াম,
- ম্যাগনেসিয়াম,
- জিংক,
- সোডিয়াম,
- ক্রোমিয়াম,
- পটাশিয়াম,
- আয়রন,
- ম্যাঙ্গানিজ,
- কপার। ইত্যাদি।
মানব শরীরের প্রয়োজনে যে অ্যামাইনো এসিড গুলো প্রয়োজন হয় তার মধ্যে ২০ থেকে ২২ টি রয়েছে এই অ্যালোভেরাতে। এতে আরো রয়েছে -
- অ্যাট্রিঅক্সিডেন্ট,
- ফ্যাটি এসিড,
- ফলিক এসিড,
- কোলিন,
- ফোলেট। ইত্যাদি।
এছাড়াও ঘৃতকুমারীতে রয়েছে মানবদেহের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ভিটামিন। যেমন -
- ভিটামিন এ,
- ভিটামিন বি২,
- ভিটামিন বি৬,
- ভিটামিন বি ১২,
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন ই। ইত্যাদি।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন অ্যালোভেরা সে সম্পর্কে। অ্যালোভেরা ভেষজ গুণসম্পন্ন ঔষধি গাছ। এটি খেতে পারলে অনেক উপকার! অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- অ্যালোভেরার পাতা ছিঁলে এর ভিতরের জেলি সদৃশ তরল বের করে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।
- অ্যালোভেরার পাতা কুচি কুচি করে কেঁটে সালাত বানিয়ে খেতে পারেন।
- চিয়া সিডের শরবতের সাথে অ্যালোভেরার জেলি মিশ্রিত করে খেতে পারেন।
- ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার সময় তার সাথে অ্যালোভেরা কুচি কুচি করে কেঁটে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- স্মুদি বা শরবতের সাথে কুঁচি কুঁচি করে কেটে মিশেও খেতে পারেন।
- যেভাবেই খান না কেন? এই অ্যালোভেরা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এই ধরনের শরবতগুলো ফুটপাতে হকার কাছে আমরা প্রায় সকলের খাই। এই শরবতগুলো বাড়িতে তৈরি করে খেলে স্বাস্থ্যসম্মত হয় ও বেশি উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা সমূহ জেনে নিন
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম এই শিরোনামটি আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে। এইটি ভেষজ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন উপকারি একটি ঔষধি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা খেলে ও ব্যবহার করলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে চুল ও ত্বকের যত্নে অতুলনীয়।
অ্যালোভেরার পাতা ও শাঁস বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়। পাতা বেটে ফোঁড়াতে লাগালে খুব দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। এর পাতার রস খেলে যকৃতের উপকার হয়। হাঁপানি ও এলার্জি প্রতিরোধে এটি সহায়তা করে। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে এলোভেরার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
অ্যালোভেরা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম শিরোনাম আলোচনায় এখন আলোচোনা করবো এর রোগ প্রতিরোধ গুনাবলি সম্পর্কে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট ও অন্যোন্য ভিটামিন।
এছাড়াও এতে রয়েছে এন্ট্রি মাইক্রোবিয়াল ও এন্ট্রি ফাঙ্গাস গুণসম্পন্ন উপাদান। যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহের ভেতরের টক্সিন জাতীয় পদার্থকে বর্জ্য আকারে বের করতে সহায়তা করে।
আ্যলোভেরা দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী
অ্যালোভেরাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি কমপ্লেক্স। ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মুগ ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ দূর করে।
আরো পড়ুনঃ গাজরের পুষ্টিগুণ উপকারিতা
একটি গবেষণার দেখা গেছে অ্যালোভেরার জেল মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায় এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় বন্ধ করার জন্য অ্যলোভেরার রস অত্যন্ত উপকারী।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করবো অ্যালোভেরা খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে সে সম্পর্কে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যে উপাদান গুলো আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে ও চোখের এলার্জি দূর করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় এখন জানবো ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরার গুণাবলি সম্পর্কে। অ্যালোভেরায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ, এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন রকমের ফ্যাটি এসিড। এইগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে। গবেষণায় দেখা যায় যে অ্যালোভেরায় এ্যালোইমোডিম নামক এক
আরো পড়ুনঃ টাফনিলের এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা
এইগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে। গবেষণায় দেখা যায় যে অ্যালোভেরায় এ্যালোইমোডিম নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার বিস্তার রোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ উপকারীতা রয়েছে।
হজম বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ও কৌষ্টকাটিন্য দূর করতে এলোভেরা জুসের যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। অ্যালোভেরার জুস প্রতিদিন নিযয়মিত খেলে অন্তের ব্যাকটেরিয়াল ফ্লোরা বৃদ্ধি করে ও ইনফেকশন সৃষ্টিকারী জীবানু ধ্বংস করতে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আই বি এস এর রুগিদের জন্য বেশ উপকারী। অ্যলোভেরার জেলি ডাইরিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করা
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো হ্যালো ভাইয়া খেলে উচচ রক্তচাপ কমে সে সম্পর্কে।অ্যলোভেরায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেগুলো রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারিতা হয়েছে।
ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের যত্নে কতটা উপকারী সে সম্পর্কে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ইং, ভিটামিন সি, এন্ট্রি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান।
আরো পড়ুনঃ MM Kit এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও দাম
এই উপাদানগুলো ত্বকের জন্য উপকারী ও মাথার খুশকি দূর করে, চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল মজবুত করে ও অকালে চুল ঝরে পড়া রোধ করে। চুল হয় সুন্দর কুচকুচে কালো ও সিল্কি। এছাড়াও ত্বকের যত্নে এলোভেরার নিম্নোক্ত উপকারিতা লক্ষণীয়।
- ব্রণ দূর করে মুখের ত্বক সুন্দর করে।
- রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে।
- মুখের ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
- ত্বক সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখে।
- চোখের চারপাশের কালো দাগ রিমুভ করে।
- পায়ের গোড়ালি ফাঁটা রোধ করে।
- চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
- মেকআপ উঠাতে এর ব্যবহার লক্ষনীয়।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম বা কিভাবে ব্যবহার করবেন
অ্যালোভেরার বহুবিধ পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আগে খাওয়ার নিয়ম আলোচনায় আমরা জেনেছি। এখন আমরা আলোচনা করবো অ্যালোভেরা তথা অ্যালোভেরার জেল কিভাবে ব্যবহার করলেন সে সম্পর্কে।
এখানে জেনে নিন কিভাবে ব্যবহার করবেন অ্যালোভেরা
- টক দই ও অ্যালোভেরার জেল ঃ অনেকেরই ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে থাকে। ত্বকের এই শুষ্ক ও খসখসে ভাব দূর করার জন্য অ্যালোভেরার জেল, টক দই, প্রয়োজন মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশ্রণ করে এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ পরে ধুয়ে ফেলুন। এতে বেশ উপকার পাবেন।
- মধু ও অ্যালোভেরার জেল ঃ অনেকের ত্বক তেলতেলে আবার তৈলাক্ত মুখে অনেক ব্রণ থাকে। এ দুটোই দূর করার জন্য মধু, অ্যাআলোভেরার জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- কাঁচা হলুদ ও অ্যালোভেরার জেল ঃ ত্বক সুন্দর, মসৃণ ও উজ্জ্বল করার জন্য অ্যলোভেরা যথেষ্ট উপকারী। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরার জেল, মধু, কাঁচা হলুদ বাটা ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে তার পরে ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়।
- নারকেল তেল ও অ্যালোভেরার জেল ঃ ত্বক মসৃণ, সুন্দর ও উজ্জ্বল করার জন্য অ্যলোভেরা যথেষ্ট উপকারী। পরিমাণ মত নারকেলের তেল অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
- স্কিন ডিজিজ ঃ শরীরে একজিমা বা র্যাশ দেখা দিলে সেখানে অ্যালোভেরার পাতা বেটে লাগালে ভালো হয়। অ্যালোভেরা দ্বারা ফেসওয়াশ করলে মুখের লালচে ভাব দূরে ও ত্বক শীতল থাকে।
- মেকআপ তুলতে ঃ মেকআপ তোলার জন্য অ্যলোভেরার জেল বেশ নিরাপদ।
- লেবুর রস ও অ্যালোভেরার জেল ঃ মুখের দাগ ও বধিরেখা দূর করে এই অ্যালোভেরা জেল। পরিমাণ অ্যালোভেরার জেল, লেবুর রস ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে দাগ ও বলিরেখার উপরে লাগালে দাগ ও বলিরেখা রিমুভ করে।
- শেভিং জেল হিসাবে ব্যবহার ঃ শেভিং ক্রিম বা ফোম বা সেভিংস জেলের বিকল্প হিসেবে এই অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করা যায়। এই জেলটি তৈরি করার জন্য দুই-তিন চামচ লিকুইড সোপ, এক চামচ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর জেল, এক চামচ বাদামের তেল ও তিন-চার কাপ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায় সেভিং জেল।
অ্যালোভেরার দাম বা মূল্য কত
অত্যন্ত ভেষজগুণ সম্পন্ন ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ অ্যালোভেরার যে অংশটা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় তাকে পাতা বা ডাগুর বলা হয়। এলাকার স্থানীয় ভাষায় এপাতাকে বলে ডাগুর। এই পাতা বা ডাগুর যে যেটাই বলি না কেন এটা দুইভাবে বিক্রি হয়। একটি হল কেজি দরে অন্যটি এক-একটি ডাগুর ঠিকা চুক্তি ভাবে বিক্রি হয়। অ্যালোভেরার ভিন্ন ভিন্ন দাম বা মূল্যগুলো নিম্নে প্রদান করা হলো।
- কেজি হিসেবে দামঃ প্রতি কেজি পাতা বা ডাগুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ।
- ঠিকা চুক্তি দামঃ বড় মানের এক-একটি ডাগুর ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে বিক্রি হয়।
অ্যালোভেরা কোথায় পাওয়া যায়
অ্যালোভেরার ঔষধিগুণ ও পুষ্টিগুণের কারণে দিনে দিনে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভেষজ গুণসম্পন্ন এলোভেরা বাংলাদেশের অনেক জেলাতেই এখন চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ ও বাগেরহাট জেলা উল্লেখযোগ্য।
এই জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যালোভেরা চাষ হয় নাটোর জেলায়। বাংলাদেশে এর চাহিদার প্রায় ৮০% আসে নাটোর থেকে। বর্তমান সময়ে সখের বসে অনেকেই বাড়িতে টবে অ্যালোভেরা চাষ করেন। বর্তমানে অনেক সবজির দোকানে অ্যালোভেরা কিনতে পাওয়া যায়।
উপসংহার
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অ্যালোভেরা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। এই অ্যালোভেরা খাওয়া বা ব্যবহারের যে উপকারিতা রয়েছে তা আপনি হয়তো আগেও জানতেন তবে এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।
এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে অন্যদের ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url