বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা সিজারিয়ান ডেলিভারি ও নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। যেগুলো বাস্তব জীবনে আপনাদের উপকারে আসবে।
বাচ্চা কনসেপ্ট করার পর থেকেই গর্ভবতী মায়ের মনের ভিতর একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটা হল সিজারিয়ান ডেলিভারি না নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব হবে। গর্ভবতী মহিলাদের সাধারণ জিজ্ঞাসা থাকে বাচ্চার ওজন কত হলে বা কতদিন পরে সিজার করা যায় বা নরমাল ডেলিভারি হয়।
পেজ সুচিপত্র
সিজার কেন করতে হয় বা সিজারের প্রধান কারণ
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনায় প্রথমে জানা দরকার কেন সিজার করতে হয় বা সিজারের প্রধান কারণ গুলো কি? বাচ্চা কনসেপ্ট করার পর থেকেই গর্ভবতীকে ভালো গাইনি ডাক্তারের চেকআপে থাকতে হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ
ডাক্তার রুগির স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে যদি মনে করেন উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ আছে যে কারণে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব নয় সেই ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপারেশন মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করানো হয়। সিজার অপারেশনের উল্লেখযোগ্য কারণগুলো সংক্ষেপে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- বাচ্চার পজিশন যদি ঠিক না থাকে।
- বাচ্চার মাথা যদি নিচের দিকে না থাকে।
- এম্বলিকেল কড যদি বের হয়ে আসে।
- বাচ্চার যদি অস্বাভাবিক ওজন হয়।
- গর্ভবতী যদি জটিল কোন রোগ থাকে।
- গর্ভবতী মায়ের বয়স যদি ১৬ বছরের কম এবং ৩৫ বছরের বেশি হয় সেই ক্ষেত্রে ঝুঁকি এড়াতে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হয়।
- নরমাল ডেলিভারির জন্য ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও যদি বাচ্চা ডেলিভারি না হয়।
- বাচ্চা যদি মায়ের পেটের মধ্যে আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করে।
- বাচ্চার মাথা বা দৈহিক গঠন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বড় হয় সেই ক্ষেত্রে সিজার অপারেশনে প্রয়োজন হতে পারে।
নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনায় এখন আমরা জানবো নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কে। প্রেগনেন্সির পূর্ণ মেয়াদে নরমাল ডেলিভারির বাচ্চা প্রসব হয় ফলে এই বাচ্চা সুসংগঠিত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ সিজার কখন করাতে হয় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব
নরমাল ডেলিভারিতে অল্প সময়ের ব্যথা বা কষ্ট সহ্য করতে হয় কিন্তু এর ফল অনেক মধুর। পরবর্তী সময়ে কোন জটিলতা হয় না বললেই চলে। সিজারিয়ান বাচ্চার চাইকে নরমাল ডেলিভারির বাচ্চাদের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিপূর্ণভাবে গঠিত হয়।
সিজারিয়ান ডেলিভারি তুলনায় নরমাল ডেলিভারির মা ও শিশু উভয়ের জন্যই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি এড়াতে নরমাল ডেলিভারিই নিরাপদ ও উত্তম।
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো বাচ্চার ওজন কত কেজি সিজার করা যায় সে সম্পর্ক। একজন গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি হবে নাকি সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা হবে সেটা বাচ্চার ওজন এর উপর নির্ভর করে না।
এই বিষয়টি নির্ভর করে গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চা ও বাচ্চার মায়ের স্বাস্থ্যগত জটিলতার ওপরে। গর্ভে একটি বাচ্চার আদর্শ ওজন হল ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি। অর্থাৎ বলা যায় পূর্ণ মেয়াদের প্রেগনেন্সির একটা বাচ্চার ওজন হবে ২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি।
সিজারের উল্লেখযোগ্য কারণগুলো আগেই আলোচনা করেছি। গর্ভে বাচ্চার ওজন যতই হোক না কেন যদি স্বাস্থ্যগত জটিলতা না থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব সম্ভব। আর যদি ডাক্তার মনে করেন নরমাল ডেলিভারিত ঝুঁকি আছে সেই ক্ষেত্রে সিজারের ব্যবস্থা নিতে হত পারে।
উপরের আলোচনা থেকে একটি কথা বলা যেতে পারে গর্ভধারণের পূর্ণ মেয়াদে গর্ভের বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজির বেশি হলে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি করা যেতে পারে যদি গাইনোকোলজেস্ট মনে করেন।
সর্বনিম্ন কত সপ্তাহ পরে সিজার করা যায়
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনায় এখন জানবো গর্ভধারণের সর্বনিম্ন কত সপ্তাহ পরে সিজার করা যায় সে সম্পর্কে। গর্ভধারণের পরে বাচ্চার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে সুসংঘটিত হওয়ার জন্য ন্যূনতম ৩৯ থেকে ৪২ সপ্তাহ সময় লাগে।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
গাইনোকোলজিস্ট এর মতে গর্ভবতী মায়ের জীবন রক্ষার্থে সর্বনিম্ন ৩৬ সপ্তাহের পেগনেন্সির সেজারিয়ান অপারেশন করা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে বাচ্চাগুলো ইম্ম্যাচুয়ার বা অপরিপক্ক থাকে। বাচ্চাগুলো বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতে থাকে। এই বাচ্চা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ঝুঁকিও থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে ৩৭ সপ্তাহের আগে সিজার অপারেশন করা ঠিক নয়। উপযুক্ত সময় হল ৩৯ সপ্তাহের পরে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে ৩৯ সপ্তাহ পরে বাচ্চার ওজন যদি ২.৫ কেজির বেশি হয় এবং গর্ভবতী মা ও গর্ভের সন্তান বিশেষ কোনো ঝুঁকিতে থাকে সেই ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপারেশন করা যেতে পারে।
সিজারের পরে কতদিন বেল্ট ব্যবহার করতে হয়
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা এখন আমরা আলোচনা করবো সিজারের পরে কত দিন বেল্ট ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি সিজার অন্যান্য অপারেশনের মতো একটা বড় অপারেশন।
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও দাম
সিজার অপারেশনের ২-৩ দিন পর থেকেই বেল্ট ব্যবহার করা শুরু করতে হয়। বেস্ট ব্যবহার করলে হাসি বা কাশি দিলে বা নড়াচড়া করলে কম ব্যথা অনুভূত হয় আবার বাচ্চার নড়াচড়া করাতে সুবিধা হয়।
সিজার অপারেশনের পরে পেটের উপরের ঘা শুকাতে প্রায় ৪৫ দিন সময় লাগে। পেটের ভিতরের ঘাস শুকাতে প্রায় তিন মাস থেকে ছয় মাস সময় লাগে। সুতরাং এই ছয় মাসই বেল্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
সিজারের পরে বেল্ট ব্যবহারের নিয়ম
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো সিজারের পরে বেল্ট ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। বেল্ট ব্যবহার করতে হয় মূলত প্রসূতি মায়ের সুরক্ষার জন্য।
আরো পড়ুনঃ অর্থসহ মেয়ে বাচ্চাদের ইসলামিক নামের তালিকা ও ইংরেজী বানান
সিজারে পরে বেল্ট পরলে পেটের কাটা জায়গায় টাইট হয়ে থাকে। এতে খুব সহজে প্রসূতি মা মুভমেন্ট করতে পারেন।বাচ্চা নড়াচড়া করাতে সুবিধা হবে। তবে এই বেল্ট ব্যবহারের কিছু নিয়ম-কানুন মানতে হবে। বেল্ট খুব বেশি টাইট বা বেশি লুজ করে পরা উচিত না। বেল্ট এমনভাবে করতে হবে যেন পেটের পুরো কাটা জায়গাটা ঘিরে থাকে।
কখন বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না ?
বেল্ট ব্যবহার করলে ওষুধ স্বস্তি বোধ করেন তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।
- কাটা জায়গাতে ইনফেকশন হলে বেল্ট ব্যবহার করা উচিত না
- রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে একটানা বেশি সময় ব্যবহার করা উচিত না
- গরমকালে একটানা বেশি সময় বেল্ট ব্যবহার করা উচিত না, এতে করে ঘেমে গিয়ে কাট জায়গাতে ইনফেকশন হতে পারে।
- অতিরিক্ত টাইট করে বেল্ট পরা উচিত না, এতে নেওয়া সুযোগ থাকে
সিজারের পরে কতদিন রেস্টে থাকতে হয়
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনা এখন আমরা আলোচনা করবো সিজারের পরে একজন প্রসূতি মায়ের কতদিন রেস্টে থাকা উচিত যে সম্পর্কে। আমি আগেই বলেছি সিজার অপারেশনে পুরোপুরি সুস্থ হতে ছয় মাস সময় লাগে।
সিজার একটি বড় অপারেশন। এখানে দুটো জীবন নিয়ে চিন্তা করতে হয়। এই ক্ষেত্রে প্রসূতির মা ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থতা জরুরী। অপারেশনের পরে প্রসূতি মায়ের ভিতরের ও বাহিরের কাটা জায়গার ক্ষত পুরোপুরি সুখাতে ছয় মাস সময় লাগে। সেজন্য সিজারের পরে প্রসূতি মায়ের ছয় মাস রেস্টে থাকতে হয়।
সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারি গুরুত্ব আলোচনায় এখন আমরা আপনাদের জানাবো সিজারের কতদিন পরে জার্নি করা যায় সে সম্পর্কে। আমরা সকলে জার্নি একটা আনন্দমার ঘটনা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিস্ক বহন করে।
যেহেতু একজন প্রসূতি মায়ের পেটের ভিতরের ও বাহিরে ক্ষত পুরোপুরি সুখিয় সুস্থ হতে ছয় মাস সময় লাগে। সেজন্য ৬ মাসের আগে জার্নি করা উচিত নয়। ছয় মাসের আগে জার্নিতে গেলে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে।
- জার্নিতে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে পেটের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
- জার্নিতে বমির সমস্যা হতে পারে, ফলে কাটা জায়গাতে আঘাত লাগতে পারে।
- দীর্ঘ সময় পা কুঁচকে বসে থাকার কারণে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- গাড়ির প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে প্রসূতি মায়ের হার্নিয়া হতে পারে।
- গাড়ির মধ্যে তীব্র গরমে প্রসূতি মা ও বাচ্চার বিভিন্ন হাঁচি, কাশির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সিজারের কতদিন পরে পুনরায় বাচ্চা নেওয়া যায়
আরো পড়ুনঃ অর্থসহ ছেলে শিশুর ইসলামিক নামের তালিকা
সিজার অপারেশনের ঝুঁকি সমূহ
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আপনাদের জানাবো সিজার অপারেশনের ঝুঁকি সমূহ কি সে সম্পর্কে। সিজার অপারেশন অনেকটাই নিরাপদ। তবে অন্যান্য অপারেশনের মতো এখানেও কিছু ঝুঁকি থাকে। সিজার অপারেশনের পরে তিন ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়। যথা -
প্রসূতি মা সম্পর্কিত ঝুঁকি
সিজার অপারেশনের পরে একজন প্রসূতি মায়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা বা ঝুঁকিগুলো নরমাল ডেলিভারির তুলনায় কিছুটা বেশি।
- জরায়ুর আশেপাশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (যেমন মুত্রথলি, মূত্রনালী বা অন্য কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ) আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।
- সিজারের কাটা জায়গায় ও জরায়ুর আশেপাশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইনফেকশন হতে পারে।
- অতিরিক্ত বিল্ডিং হতে পারে
- রক্ত জমাট বাঁধতে পারে বা রক্তক্ষরণ বন্ধ না হতে পারে।
- সিজারের সময় বিভিন্ন ঔষুধ প্রয়োগের পরে এ্যলার্জিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- নরমাল ডেলিভারির তুলনায় সিজারিয়ান অপারেশনের পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
বাচ্চা সম্পর্কিত জটিলতা
সিজার অপারেশনের সময় গর্ভের বাচ্চার কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যথা -
- সিজারে অস্ত্র প্রাচারের সময় বাচ্চার শরীরের কোন জায়গায় কেটে যেতে পারে।
- বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হতে পারে।
- গর্ভধারণের পূর্ণ মেয়াদে সিজার না হলে বাচ্চার শারীরিক গঠন দূর্বল পেতে পারে।
ভবিষ্যৎ গর্ভধারণের সমস্যা
সিজার অপারেশনের পরে প্রসূতি মায়ের পুনরায় গর্ভধারণের ক্ষেত্রে ও সন্তান প্রসবের সময় কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
- দুর্ভাগ্যবশত গর্ভফুল ও জরায়ুর মধ্যে স্বাভাবিক নয় এমন সংযোগ হয়ে যেতে পারে। ফলে জরায়ু পুরোপুরি কেটে ফেলতে হতে পারে।
- জরায়ুর সেলাই কেটে যেতে পারে বা জরায়ু ফেটে যেতে পারে।
- মৃত সন্তান প্রসব হতে পারে।
সিজার সম্পর্কিত সাধারণ কিছু প্রশ্ন
সিজার একটি বড় অপারেশন। সিজার অপারেশনের পরে অনেকে অনেক ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন এও এই প্রশ্নগুলো নিয়ে অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। সিজার সম্পর্কিত ও সিজারিয়ান বেবি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন-উত্তর নিম্নে প্রদান করা হলো।
সিজারের পরে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না?
সিজারের পরে দুই-একদিন শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। নরম খাবার খেতে হয় যা সহজে হজম হয়। পরবর্তী সময়ে যে সমস্ত খাবার খেলে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন ওই খাবার গুলো পরিহার করে বাসায় তৈরি সকল খাবার পরিমান মত খেতে পারবেন।
সিজারের পরে লেবু, আনারস, মাল্টা, অরেঞ্জ খাওয়া যাবে কি?
জ্বি, সিজারের পরে সব ধরনের ফলই খেতে পারবেন। এই ফলগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যেগুলো সিজার পরবর্তি ক্ষত শুকাতে সহায়তা করে।
সিজারের কতদিন পরে ভারী কাজ করা যায়?
সিজারের ছয় মাস পর থেকে ভারী কাজ করা যায়।
সিজারের ক্ষত শুকাতে কতদিন সময় লাগে?
সিজারের ক্ষত শুকাতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। কোন কোন রোগির ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগে।
সিজারের পরে প্রসূতির পেটে ব্যথা হলে কি করতে হবে?
সিজারের পরে প্রসূতি মায়ের কাটা জায়গাতে ব্যথা হবে এটাই স্বাভাবিক। এই ব্যথা অসহ্য হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট বা আইগ্রম ট্যাবলেট বা ভলটালিন সাপোজিটর ব্যবহার করা যেতে পারে।
গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ পরে সিজার করা যায় কি?
গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ পরে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক গঠন পুরোপুরি হয় না এজন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বাচ্চার আদর্শ ওজন কত?
গর্ভধারণের পূর্ণ মেয়াদের বাচ্চার ওজন নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক গঠন ও সুস্বাস্থ্যের উপর। পূর্ণ মেয়াদের গর্ভের বাচ্চার আদর্শ ওজন ২.৫ থেকে ৩ কেজি।
লেখক এর মতামত
গর্ভে বাচ্চার ওজন কেজি হলে সিজার করা যায় এ বিষয়টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। একজন গর্ভবতী মায়ের কখন?কোন অবস্থায়? কি ধরনের রিক্সে পড়লে? সিজার করা যায় এগুলো আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পুরোপুরি ধারণা নিবেন।
ডাক্তারি মতে জটিল কোন সমস্যায় না পড়লে সিজারিয়ান অপারেশন এর চাইতে নরমাল ডেলিভারি করাই ব্যাটার ও নিরাপদ। সিজারিয়ান অপারেশন সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য অন্যান্য গর্ভবতী মায়েদেরকে জানার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করে দিন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
বিঃ দ্রঃ এই তথ্যগুলো সংগৃহীত। সিজার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য এই তথ্যগুলো লেখা। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
Very importance post