ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা আজকের আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে মানব শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। মানব শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সম্পর্কে সবারই জানা উচিত। ক্যালসিয়াম সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্যালসিয়াম মানব শরীর গঠনের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য একটি খনিজ পদার্থ, যা হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে ও সঠিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে। মানব শরীরের ৯৯% ক্যালসিয়াম থাকে দাঁত ও হাড়ে আর বাকি ১% ক্যালসিয়াম থাকে ব্লাড, পেশি ও টিস্যুতে এবং তাদের সঠিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।
পেজ সুচিপত্র
ক্যালসিয়াম ঘাটতি কি
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনায় আমাদের প্রথমে জানা দরকার ক্যালসিয়াম ঘাটতি কি বা ক্যালসিয়াম ঘাটতি কাকে বলে। মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় ক্যালসিয়াম ঘাটতিকে হাইপোক্যালসেমিয়া বলা হয়। ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ হলে শরীরে এমন কিছু অবস্থার সৃষ্টি হয় যেখানে ব্লাডে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়।
ক্যালসিয়াম ঘাটতি হলে হাড়ের ভঙ্গুরতা, দূর্বল হয়ে যাওয়া (অস্টিওপোরোসিস), পেশীর সংকোচন-প্রসারণে বাঁধা, মস্তিষ্কের পরিবর্তন, স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে বাঁধা, রক্ত জমাট না বাঁধা, চোখে সানি পড়া, দাঁতের গঠনে পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার মতো কারণ হতে পারে।
ক্যালসিয়াম কেন গুরুত্বপূর্ণ
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আজকের আলোচনায় আমরা এখন জানবো শরীরে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে। শরীরের গঠন মজবুত করে ও শরীরের ভার বহন করে হাড়। এই হাড়ের গঠনের ৯৯% ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে রিমোটের মতো কাজ করে সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভে বাচ্চার সুস্থতা ও ত্রুটি কিভাবে বুঝবেন
মেটাবলিজমের মাধ্যমে প্রতিদিন ক্রমাগত পুনঃনির্মাণের মধ্য দিয়ে ক্যালসিয়াম হাড়ের ভিতর প্রবেশ করে ও বাহির হয়।হাড়ের ঘনত্বের মোট পরিমাণ শিশু কিশোরদের মধ্যে বৃদ্ধি পায়। এটি ৩০ বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এই সময় নতুন হাড় গঠনের ও পুরাতন হাড়ের খয়ের পরিমাণ সমান থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড় দ্রুত ভেঙ্গে যায় এটি ম্যানোপোজ পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি।
দৈনিক ক্যালসিয়াম গ্রহণের আদর্শ বা প্রস্তাবিত মাত্রা
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনায় এখন আমরা জানবো একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলার প্রতিদিন কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব
ক্যালসিয়াম গ্রহণের এই প্রস্তাবিত মাত্রা বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক বিভিন্ন পর্যায়ের উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে। নিম্নে বয়স অনুসারে দৈনিক ক্যালসিয়াম গ্রহণের প্রস্তাবিত বা আদর্শ মাত্রা প্রদান করা হলো।
- ০-১২ মাস বয়স (শিশু)ঃ এই বয়সী শিশুদের জন্য ক্যালসিয়াম গ্রহণের আদর্শ মাত্রা ২০০ থেকে ২৬০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন।
- ১-৮ বছর বয়স (শিশু)ঃ এই বয়সের শিশুদের ক্যালসিয়াম গ্রহণের আদর্শ মাত্রা ৭০০ থেকে ১০০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন।
- ৯-১৮ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েঃ এই বয়সটা হলো ছেলেমেয়েদের বাড়ন্ত বয়স। এই বয়সে একটু বেশি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়। এই বয়সে প্রতিদিন ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণের আদর্শ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
- ১৯-৫০ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-মহিলাঃ এই বয়সী পুরুষ মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার জন্য আদর্শ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে
- ৫১ বছর থেকে বেশি বয়স্ক পুরুষ-মহিলাঃ এই বয়সী পুরুষ মহিলার জন্য ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রতিদিন খাওয়ার জন্য আদর্শ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- গর্ভাবস্থা বা স্তনদানকারী মহিলাঃ গর্ভাবস্থায় বা স্তনদান কালে মহিলাদের বেশি বেশি করে সব খাবারের প্রয়োজন হয়। এই সময়ে ক্যালসিয়ামও একটু বেশি লাগে। এই সময় ক্যালসিয়াম গ্রহনের আদর্শ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই মাত্রা কম বেশি হতে পারে।
- অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের রোগ থাকলেঃ হাড়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ক্যালসিয়ামের দৈনিক গ্রহণের আদর্শ মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম বা আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ ক্যালসিয়াম গ্রহণের এই মাত্রা কম বেশি হতে পারে।দীর্ঘমেয়াদী ও অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ কিডনিতে পাথর সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর মাত্রায় ক্যালসিয়াম গ্রহণ ও সুষম অভ্যাস বজায় রাখা উচিত।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ
ক্যালসিয়াম ঘাটতি লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে কি ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় সে সম্পর্কে। আমার শরীরের গঠনতন্ত্রে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ যার অভাব দেখা দিলে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
- হাড় ও দাঁতের দুর্বলতাঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বা অভাবে অস্টিওপোরোসিস ও হাড়ের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায় এবং দাঁতের ক্ষয় রোগ শুরু হয়।
- মাংস পেশির খিচুনি ও ব্যথাঃ শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বা অভাব দেখা দিলে মাসোলে বিশেষ করে পায়ের পেশিগুলোতে খিচুনি হতে পারে অনেক সময় খিচুনি সহ ব্যথা হয়। এছাড়াও হাত-পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তা অনুভব হতে পারে।
- শারীরিক ক্লান্তিবোধ ঃক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে চরমভাবে শারীরিক ক্লান্তি বোধ হয় ও শরীরে অস্বস্তি লাগে।
- বুক ধড়ফড় করেঃ রক্তে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে বা পরিমাণ কমে গেলে হার্ট পাম্পের ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটে ফলে বুক ধরফর করে।
- ত্বক, চুল ও নখের সমস্যাঃ শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হলে ত্বক, চুল ও নখের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে ও আগা ফেটে যেতে পারে। নখ ভেঙ্গে দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোন কেনার সময় ১৩ টি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
- দুশ্চিন্তা ও উচ্চ রক্তচাপঃ দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ফলে হাইপারটেনশন ও দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় ফলে মেজাজ খিটখিটে হয় ও উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
- ঘুমের সমস্যাঃ দেহে ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে বুক ধড়ফড় করে, গাঁ, হাত-পা জ্বালা পোড়া করে, দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় ফলশ্রুতিতে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণ
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণগুলো কি সে সম্পর্কে। যেহেতু ক্যালসিয়াম শারীরিক গঠনের মূল খনিজ সুতরাং কোনো অবস্থাতেই শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি বাঞ্ছনীয় নয়। যে সকল কারণে শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি দেখা দেয় সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- খাদ্যাভ্যাসে ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য, যেমন - দুধ, ডিম, পনির,,দই ও সবুজ শাক-সবজি না খাওয়া।
আরো পড়ুনঃ সিজার কখন করাতে হয় ও নরমাল ডেলিভারির গুরুত্ব
- ভিটামিন ডি এর ঘাটতিঃ ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের অ্যাবজরপশন বৃদ্ধি করে। রোদে কম গেলে বা সূর্যের আলো শরীরে কম লাগলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হয়।
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও সোডা পানঃ কমল পানি ওগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডা থাকে হলে অতিরিক্ত কোমল পানীয় বা খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও মেন্টাল স্ট্রেস ঃ অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও মেন্টাল স্ট্রেসের কারণেও দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
- মেডিসিন গ্রহণঃ কিছু কিছু ঔষধ গ্রহণের জন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ক্যাসিয়ামের অভাব দেখা দেয়।
- হরমোনের তারতম্যঃ মহিলাদের বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের কারণে ও মেনোপোজ স্টেজে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির প্রতিকার
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আলোচনা করবো দেহে ক্যালসিয়াম ঘাটতির প্রতিকার সম্পর্কে অর্থাৎ কি কি করলে শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি প্রতিকার করা যায়। ক্যালসিয়াম ঘাটতির প্রতিকার সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- সুষম খাদ্যঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ। যেমন- দুধ, দই, পনির, সবুজ শাক-সবজি, ব্রকলি, গাজর, আঙ্গুর, কমলা লেবু, লেবু, বাদাম, তীর, সূর্যমুখীর বীজ, মরিঙ্গা বা সজনে পাতা, ডুমুর, চিয়া সিড, নরম কাটাযুক্ত ছোট মাছ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকা উচিত ।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার কয়েকটি সেরা আইডিয়া
- ভিটামিন ডিঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্য আলো গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে হতে পারে।
- ক্যাফেইন ও কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণঃ ক্যাফেইন ও কোমল পানীয় নিয়ন্ত্রণ করে হাড়ে ক্যালসিয়াম ধরে রাখার চেষ্টা করা
- নিয়মিত ব্যায়ামঃ প্রতিদিন নিয়মিত হালকা ব্যায়াম হাড়ের গঠন মজবুত করে ও ক্যালসিয়ামের অ্যাবজরপশন বাড়াতে সহায়তা করে।
- ডাক্তারের পরামর্শঃ ডাক্তারের পরামর্শ মতে প্রয়োজনে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির চিকিৎসা ও পরামর্শ
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতির চিকিৎসা ও পরামর্শ সম্পর্কে। কিছু কিছু ব্যবস্থা নিলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে স্বাভাবিক ও সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা যায়।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য-খানার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোন কারনে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ না হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।
ক্যালসিয়াম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
ক্যালসিয়াম ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো ক্যালসিয়াম সম্পর্কে সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা সম্পর্কে। যেগুলো নিয়ে আপনারা সচরাচর গুগল এ সার্চ করে থাকেন।
ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাবেন ?
ক্যালসিয়ামের অভাব হলে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে প্রয়োজনে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ও ভিটামিন ডি খেতে হবে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে দুধ, ডিম,পনির, সবুজ শাক-সবজি, ছোট মাছ ইত্যাদি।
ক্যালসিয়ামের অভাবে কি পিঠে ব্যথা হয় ?
ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শরীরের যেকোনো জায়গায় ব্যথা হতে পারে। পিঠে ব্যথার রোগীদের ক্নিনিক্যাল ডায়াগনোসিসে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাদ্য তালিকা ক্যালসিয়ামের অভাব রয়েছে। পিঠে ব্যথা করে এমন রোগীদের ডায়েট চাটে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কম পাওয়া যায়। সুতরাং বলা যায় ক্যালসিয়ামের অভাব হলে পিঠে ব্যথা হতে পারে।
ক্যালসিয়ামের অভাবে কি হাঁটুতে ব্যথা হয়?
ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। হাঁটু ও পা দেহের ভার বহন করে। সংকোচন-প্রসারণ কারণে হাঁটুতে অনেক প্রেসার পড়ে ফলে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাঁটুতে ব্যথা করতে পারে। হাঁটুর হাড় যত মজবুত হবে তত সহজে দেহের ভার বহন করতে পারবে।
আপেল কি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল?
না, আপেল ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল নয়। আপেল ক্যালসিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস নয় বরং আপেল ফাইবার ও ভিটামিনের জন্য বেশি পরিচিত।
উপসংহার
শরীর গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের অভাবে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণগুলি যদি আপনি নিজে নিজে অনুভব করতে পারেন তাহলে আর দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। এরকম আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। নিয়মিত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url