পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। পুঁইশাকে রয়েছে অতুলনীয় পুষ্টিগুণ। আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারীতাসহ এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যাদি।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাপুঁইশাক সারা বছরই কম বেশি পাওয়া গেলও এটি মূলত: গরম ও বর্ষাকালের একটি সবজি। এই সবজি দেশ জুড়ে সব এলাকাতেই পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু, দামে সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় এটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।

পেজ সূচীপত্র

পুঁইশাকের পরিচিতি

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করবো পুঁইশাকের পরিচিতি সম্পর্কে। পুঁইশাকের ইংরেজি নাম হল বেসিলা এলবা (Basella Alba)। পুঁই এক প্রকার নরম, বহু শাখাযুক্ত, লতা জাতীয় উদ্ভিদ বা গাছে।

এই গাছের লতাগুলো খুব দ্রুত বেগে ১০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে বাড়তে পারে। এ গাছের পাতা ও ডান্টি বা ডাটা শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলেই এর নাম হলো পুঁইশাক। এর পাতা ও বীজে মৃদু সুগন্ধ পাওয়া যায়।

পুঁইশাকের পাতাগুলো হরতন বা লাভ আকৃতির হয়ে থাকে। এই শাকের পাতা ও ডাটাগুলো সবুজ বর্ণেরই বেশি হয় কোন কোন ক্ষেত্রে বেগুনি বা লাল বর্ণেরও দেখা যায়। এই পাতাগুলো মসৃণ ও খানিকটা পিচ্ছিল হয়।

পুঁইশাকের ফুলগুলো সাদা ও লাল রঙের হয়, ফুলগুলো পরিপূর্ণ হয়ে নিষিক্তকরণের মাধ্যমে মটর দানার মত বীজে পরিণত হলে অর্থাৎ পরিপক্ক বিচিগুলো বেগুনি বা লাল রং ধারণ করে। রঙের উপর ভিত্তি করে পুঁইশাক দুই ধরনের হয়। যেমন -

  • ১. সবুজ রঙের পুঁইশাক।
  • ২. বেগুনী বা লাল রঙের পুঁইশাক।

পুঁইশাকের জাত ও ফলন

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো পুঁইশাকের বিভিন্ন জাত ও ফলন সম্পর্কে। জাত ও ফলম ভালো হলে সবজি চাহিদা মিটবে তথা পুষ্টিরও চাহিদা মিটবে।

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

জাত: কৃষি গবেষণা তথ্য অনুসারে আমাদেরদেশে অনেক জাতের পুঁইশাক রয়েছে, এর মধ্যে উন্নত জাতের পুঁইশাক হলো দুইটি। যথা -

  • ১. বারি পুঁইশাক-১
  • ২. বারি পুঁইশাক-২

ফলন: জাত ভেদে উন্নত জাতের এই পুইশাকগুলো বানিজ্যিক ভাবে চাষে প্রতি শতকে ১৯০ থেকে ২০০ কেজি পর্যন্ত উৎপাদন বা ফলন হয়ে থাকে। বেশি ফলন বা উৎপাদনের কারণে সহজেই শাক-সবজির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও পুষ্টিমান

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো এ শাকের পুষ্টিগুণ ও পুষ্টিমান সম্পর্কে। মানব স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুঁইশাকের রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। বহু পুষ্টিগুনে গুণান্বিত পুইশাকে কি পরিমান পুষ্টি রয়েছে অর্থাৎ এর পুষ্টিমান নিম্ন প্রদান করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কলার পুষ্টিগুণ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে 

  • প্রোটিন আছে - ২.২ গ্রাম।
  • কার্বোহাইড্রেট আছে - ৪ গ্রাম।
  • আয়রন আছে - ১০ মিলিগ্রাম।
  • জলীয় অংশ আছে - ৯২ গ্রাম।
  • খনিজ রয়েছে - ১.৪ গ্রাম।
  • এনার্জি রয়েছে - ২৭ কিলো ক্যালরি।
  • ফ্যাট বা চর্বি নাই বললেই চলে মাত্র -  ০.২ গ্রাম।
  • ক্যালসিয়াম রয়েছে - ১৬৪ মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন সি রয়েছে - ৬৪ মিলিগ্রাম।
  • ক্যারোটিন রয়েছে - ১২৭৫০ মাইক্রো গ্রাম।
এছাড়াও পুইশাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।

পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো পুঁইশাকের উপকারিতা সম্পর্কে। বহুবিধ পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ সমৃদ্ধ এই শাক মানব শরীরে নানাবিধ উপকার করে থাকে।‌

ভেষজগুণ ও পুষ্টিগুণের কারণে প্রত্যেকের কাছে পুঁইশাকের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।পুঁইশাকের উপকারিতাগুলো নিম্নে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো

  • নিয়মিত পুঁইশাক খেলে অশ্বরোগ, পাইলস, ফেসটুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • পুঁইশাকে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখে।
  • পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে মল ত্যাগ সহজ করে। ফনে কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে।
  • পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন সি সর্দি উপশম করে ও মুখের রোগ নিরাময় করে।
  • যারা প্রতিনিয়ত মাথা ব্যথায় ভোগেন তারা নিয়মিত অভিশাপ খেলে মাথা ব্যাথার উপশম হতে পারে
  • এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা আমাদের মুখে রুচি বাড়ায় ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঠিক রাখে।পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা
  • যারা মুখে ব্রণের সমস্যায ভুগছেন তারা নিয়মিত পুঁইশাক খেলে উপশম পেতে পারেন।
  • পুইশাকে বিদ্যমান বিভিন্ন ভিটামিনের কারণে শরীরের খোঁজ পাঁচড়া অথবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণ ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে।
  • ভেষজগুণ সম্পন্ন পুঁইশাকের পাতা ও সমগ্র গাছ। পুঁইশাকের পাতা মূত্রকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • পুঁইশাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি নিরাময় করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • পুঁইশাকের রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি ইফেক্ট। শরীরের কোন অংশে আঘাত পেলে বা ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে উপশম হয়।
  • অর্শ রোগ ও অতিরিক্ত স্রাবে পুঁইশাকের পাতার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
  • গনোরিয়া রোগে পুঁইশাক যথেষ্ট উপকারী।

পুঁই বীজ বা বিচি বা ফলের পুষ্টিগুণ 

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জানবো পুঁই বীজ বা বিচি বা ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। পুই বীজগুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের হলেও পরিপক্ক হয়ে পাঁকলে নীলাভ কালো ধারন করে। পুঁই বিচির বাইরের রং যেটাই হোক ভিতরের রং কিন্তু লাল টুকটুকে।

পুঁইশাক ও ডাটা খাওয়া যায় এটা আমরা সকলেই জানি। পুঁই বীজ খাওয়া যায় কিনা এটা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানি না। আবার অনেকেই পুঁই ফল খাওয়া যায় এটা জানি কিন্তু এ বিচি শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা সম্পর্কে জানা নেই।

আরো পড়ুনঃ লটকন ফল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা 

আসুন পুঁই বীব্জের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই এই পুঁই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক ও এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পুঁই ফলের উপকারিতা গুলো নিম্নরূপ।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পুঁই ফল: পুঁই ফলের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক কার্যকরী। যাদের কষ্ট্য-কাঠিন্য আছ তারা নিয়মিত পুঁই ফল খেলে উপকৃত হবেন।
  • রক্ত শূন্যতা পূরণ: পুঁই ফলে বিদ্যমান আয়রণ, আয়রণ ডেসিসিয়েন্সি রক্তশূন্যতা দূর করে। নতুন রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: পুঁই বিচিতে বিদ্যমান জিংক ও এন্ট্রি অক্সিডেন্ট গুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ব্লাড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে: পুঁই বীজে বিদ্যমান এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: পুঁইশাকের বীজ ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়।
  • গর্ভবতী মাহিদের জন্য নিরাপদ: পুঁই বীজে বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড বা ফোলেট গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তানের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ও ব্রেইন গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে খাদ্য তালিকায় অন্যান্য খাবারের সাথে পুঁই বীজ রাখা উচিৎ।

গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মহিলাদের জন্য নিরাপদ ও উপকারী পুঁইশাক 

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারীতা আলোচনায় এখন আমরা জানবো পুঁইশাক গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মহিলাদের জন্য নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে। এই শাকে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অন্যান্য মিনারেলস গর্ভবতী মায়ের ও সন্তান জন্য যথেষ্ট উপকারী।

আরো পড়ুনঃ আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

গর্ভবতী অবস্থায় প্রত্যেক মহিলার কমবেশি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। পুঁইশাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আয়রণ গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারী মাদের রক্ত স্বল্পতা দূর করে।

পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারী মায়ের মুখের রুচি বাড়ায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।লসিয়াম গর্ভের সন্তান ও নবজাতকের হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।

উপরোক্ত আলোচনাগুলো দেখে বুঝা যায় পুঁইশাক গর্ভবতী মা ও স্তনদানকারি মা উভয়ের জন্যই নিরাপদ। গর্ভবতী মা ও স্তন্যপানকারী মা উভয়েরই পরিমিত পরিমানে পুঁইশাক নিয়মিত খাওয়া উচিত।

পুঁইশাকের দাম বা মূল্য কত

পুইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করবো পুঁইশাকের দাম কত সে সম্পর্কে। এত পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ সম্পন্ন উপকারী পুঁইশাকের দাম সব সময় ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই থাকে।

আরো পড়ুনঃ মধুর পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

বাজারে পুঁইশাক কেজি হিসেবে বিক্রয় করা হয়। এ শাকের দুই রকম দাম লক্ষ্য করা যায়। বর্ষাকালে দাম একটু কম থাকে আর শীতকালে একটু বেশি থাকে।

  • বর্ষাকালে দামঃ কেজি প্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
  • শীতকালে দামঃ কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

পুঁইশাক খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন পুঁইশাক

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো পুঁইশাক খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন পুঁইশাক। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও জনপ্রিয় একটি সবজি এই পুঁইশাক।পুঁইশাক খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন পুঁইশাকএই সবজিটি এমন ভাবে রান্না করে বা ভাজি করে খেতে হবে যেন এর পুষ্টিগুণ ও পুষ্টিমান অক্ষুন্ন থাকে। এই সবজি কিভাবে খাবেন সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। 

  • পুঁইশাকের সঙ্গে ইলিশ মাছ রান্না করে খেতে পারেন।
  • পুঁইশাকের সাথে ডাল ভুনা করে খেতে পারেন। 
  • চিংড়ি মাছের সাথে পুঁইশাক রান্না করে খেতে পারেন।
  • ছোট মাছ বা গুড়া মাছ দিয়ে পুঁইশাক চচ্চড়ি বা ভাজি করে খেতে পারেন।
  • অন্যান্য মাছের সাথেও পুঁইশাক ঝোর করে খেতে পারেন।
  • শুধু পুঁইশাক ভাজি বা চচ্চড়ি করেও খেতে পারেন।
  • স্যুপ ঘন করার জন্য রসুন ও খমরিচের সাথে পুঁইশাক ভাজা হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
  • কোন কোন এলাকায় ধু্ঁধুঁল ও পাটিশাকের সাথে পুঁইশাকের সুপ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

বিঃদ্রঃ শাক-সবজি একটু কম সিদ্ধ করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

পুঁইশাক কোথায় পাওয়া যায় 

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করবো পুঁইশাক কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই এই শাক চাষ হয়।

বলা যেতে পারে প্রত্যেকটি সবজির দোকানেই পুঁইশাক পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় সবজি বিক্রেতারা ফেরি করেও এই শাক বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন থাকেন।

পুঁইশাকের অপকারিতা 

বহু পুষ্টিগুণ ও ঔষধিমান সম্পন্ন পুঁইশাক ও এর বিচির তেমন কোন অপকারিতা বা ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু লোকজনের জন্য সতর্কতার সহিত খাওয়া উচিত। পুঁইশাক খাওয়ার সতর্কতা গুলো নিম্নরুপ।

  • অক্সালেট সমৃদ্ধ সবজি পুঁইশাক বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে অক্সালেটের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে মানবিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • যাদের আগে থেকেই কিডনিতে সমস্যা আছে তাদের সতর্কতার সহিত কম পরিমাণে পুঁইশাক খাওয়া উচিত।
  • পুইশাকে পিউরিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে পুঁইশাক খেলে শরীরের পিউরিনের পরিমাণ বাড়তে পারে ফলে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে শরীরে বাত ব্যথা বাড়তে পারে।

লেখকের কথা

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা পুঁইশাক ও পুঁই বীব্জ এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন ও ভালো লেগেছে। আপনার ভালোলাগাটা অনুগ্রহ করে অন্যদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কথা জানার পরে একটা প্রবাদের কথা মনে পড়ছে। লোকে বলে "মাছের রাজা রুই শাকের রাজা পুঁই"। সবাই রুই দিয়ে পুঁই খাবেন, বিচি খেতে ভুলবেন না কিন্তু। সবাই সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url