শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এ আর্টিকেলটি লেখা। আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন শসার পুষ্টিগুণ, খাওয়ার নিয়ম, স্বাস্থ্য উপকারিতা, অপকারিতাসহ ও অন্যান্য তথ্যাদি সম্পর্কে।
শসা এক ধরনের সবজি যা প্রত্যেকের খাবারের সাথে কম - বেশি থাকে। শসার রয়েছে বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ। এই শসাগুলো একটু নিয়ম নীতি মেনে খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকারে আসে।
পেজ সুচিপত্র
শসার পরিচিতি
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা জানার জন্য আমাদের প্রথমমেই জানা দরকার এই সবজিটি সম্পর্ক। শসার ইংরেজি নাম চুচুমবার (Cucumber) শসা ও খিরা দুটি একই প্রজাতির ফল জাতীয় সবজি। শসা ও খিরার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাও একই রকমের।
শসা 🥒 সাধারণত লম্বা লম্বা, গায়ে সাদা লম্বা দাগ ও উপরে বোঁটার দিকে চার পাশে কালচে রঙের হয়ে থাকে। শসা পাকলে হলুদ রং ধারণ করে। এর ভিতরের অংশ সাদা ও মধ্য ভাগে সাদা লম্বাটে বিচি থাকে। আমরা সকলেই শসা চিনি। গ্রাম অঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় শসাকে সোম্যাস বলে।
শসা কোথায় পাওয়া যায়
বহু পুষ্টিগুণে গুণান্বিত ও স্বাস্থ্য উপকারি শসা বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই উৎপাদন হয়। বিশেষ করে নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও পাহাড়ি অঞ্চলে শসা ও খির বেশি উৎপাদন হয়।
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
বাংলাদেশের প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে রিচ ফুড বা খাবারের সাথে সালাত হিসেবে প্রাধান্য পেয়ে থাকে শসা। হাটে বাজারে প্রায় প্রত্যেকটা সবজির দোকানেই সহজ লভ্য এই শসা কিনতে পাওয়া যায।
শসার পুষ্টিগুণ
শসা এমন একটি সবজি যা হরেক রকমের পুষ্টিগণে ভরপুর। এই পুষ্টিগুণের কারণেই শসা বা খিরা আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী। শসাতে এতো পুষ্টি উপাদান আছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন জেনে নিন শসার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। শসাতে যে সমস্ত পুষ্টি মেলে সেগুলোর নাম নিম্নে প্রদান করা হলো।
শসাতে রয়েছে
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন কে
- ভিটামিন বি১
- ভিটামিন বি৫
- ভিটামিন বি৬
- ভিটামিন বি৭
- ভিটামিন বি৯
আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
- বিটা ক্যারোটিন
- ফোলেট
- লিউটিন
- আয়রন
- কপার
- সালফার
- আঁশ বা ফাইবার
- এন্ট্রি অক্সিডেন্ট
- ক্যালসিয়াম
- ফসফরাস
- মিনারেলস
- জিংক
- ট্যানিন
- সিলিকা
- ফ্ল্যাভোনয়েড
- সিকোইসোলারিসিরেসিনোল
- ল্যারিসিরেসিনোল
- পিনোরিসিরেসিনোলযে
- প্রাকটিন
- জলীয় অংশ বা পানি ৯০-৯৬ শতাংশ।
- ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ১৩ শতাংশ
শসা খাওয়ার উপকারিতা
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। বহু পুষ্টিগুণে গুণান্বিত এই সবজি আমাদের শরীরে বহুবিধ উপকার করে থাকে। সহজলভ্য এই সবজিটি রূপচর্চায় ও মেদ-চর্বি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সহায়ক।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে আমাদের শরীরে অস্বাস্থ্যকর ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণের কারণে যে সকল টক্সিন জমা হয় তা দূর করার জন্য শসার রয়েছে যথেষ্ট উপকারিতা। শসার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো এখন আমরা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো।
শসা খেলে পানির ঘাটতি পূরণ হয়
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতাগুলো আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসা খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয় সে সম্পর্কে। শসায় রয়েছে ৯০ শতাংশ পানি। তীব্র তাপদাহে ও গরমে প্রাণ যখন যায় যায়,
আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোন কেনার সময় ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
পানির হাহাকার ঠিক সেই সময় যদি শসা খান তাহলে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা রোধ করে শরীরকে সতেজ করে এই শসা। পানি শূন্যতা রোধ করার পাশাপাশি শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালেন্স ঠিক রাখে।
চোখের জ্যোতি বাড়ে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতয়ার মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হলো চোখের জ্যোতি বাড়ে শসা খেলে। শসায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং প্রদাহ নিরোধক বিভিন্ন উপাদান, যেগুলো চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও ছানি রোধে সহায়তা করে। শসা গোল করে কেটে চোখের উপরে লাগিয়ে রাখলে চোখের পাতার কালো দাগ দূর হয়।
কিডনি সুস্থ রাখে শসা
শসার পুষ্টিগুন ও খাওয়ার উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো কিডনি সুস্থ রাখে শসা সে সম্পর্কে। বিভিন্ন রিচফুড খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন জমা হয়। শসা আমাদের শরীরে প্রকৃতির ঝাড়ুর মতো কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ ডুমুরের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা
এই টক্সিনগুলোকে ডিটক্সিফাই করে বের করে দেয় এই শসা। এছাড়াও ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনি বা মূত্রথলির অবাঞ্ছিত ছোট ছোট পাথরগুলো গলিয়ে বের করতে সহায়তা করে এই শসা। তাই নিয়মিত শসা খেলে কিডনি সুস্থ থাকে।
বাতব্যথা থেকে মুক্তি মিলে শসা খেলে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতগুলোর মধ্যে একটি উপকারিত হল বাতব্যথার মুক্তি মেলে শসা খেলে। শরীরের বাতব্যথা বা গেঁটেবাত হওয়ার জন্য দায়ী হলো ইউরিক অ্যাসিড। শসাতে বিদ্যমান সিলিকা শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায় ফলে বাতব্যথা বা গেঁটেবাত কমে যায়।
শসা খেলে ওজন কমে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হলো শসা খেলে ওজন কমে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে ওজন কমানোর জন্য সবচাইতে কার্যকারী উপাদান হলো উচ্চমাত্রার পানিযুক্ত ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। এই খাবারের তালিকা এক নম্বরে আছে শসা ও খিরা।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়
শসাতে রয়েছে ৯০ থেকে ৯৬ শতাংশ পানি আর ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম, মাত্র ১৩ শতাংশ। শসার জলীয় অংশ ও কম ক্যালরি চর্বি কাটাতে সহায়তা করে। সেজন্য যারা শরীরের অবাঞ্ছিত মেদ-চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে চান তারা নিয়মিত শসা খান।
শসা খেলে হজম বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শসার পুষ্টিগুন ও খাওয়ার উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জানবো শসা খেলে হজম বাড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সে সম্পর্কে। শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও এরোপসিন নামক এনজাইম।
যেগুলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও মলত্যাগে সহায়তা করে। ফলস্বরূপ অম্বল, গ্যাস অ্যাসিডিটি ও পেটের রোগ কমে যায়। ফলে শরীর-স্বাস্থ্য-মন সবই ভালো থাকে।
রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
শসার পুষ্টিগুন ও খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হলো শসা রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মধ্যে এই শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্লুইড।
এছাড়াও শসাতে রয়েছে স্টেরল নামক উপাদান যা রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শসায় বিদ্যমান এই উপকারী উপাদান গুলো রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
শসা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসা ডায়াবেটিস বা সুগার নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে সে সম্পর্কে। হরেক রকমের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি হওয়ার পরও শসাতে সুগার নেই, ক্যালোরির পরিমাণ কম ও জলীয় অংশের পরিমাণ বেশি। সেজন্য নিয়মিত শসা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে বিশেষজ্ঞরা মত পোষণ করেছেন।
হাড়ের গঠন মজবুত করে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতাগুলো আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসা খেলে হাড়ের গঠন মজবুত করে সে সম্পর্কে। একটু বয়স বাড়তে শুরু করলেই হাড়ের বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন-হাড়ের ক্ষয় রোগ, জয়েন্ট পেন ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ মোনাস ১০ এর কাজ খাওয়র নিয়ম ও সতর্কতা
এই রোগ গুলো মহিলাদের বেশি হয়। এই সমস্যা সমাধানে শসার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। হরেক রকমের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শসায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে। এই ভিটামিন কে ক্যালসিয়ামের অ্যাবজরপশন বাড়িয়ে দেয় ফলে হাড়ের গঠন মজবুত হয় হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
ত্বক, চুল ও নখ ভালো রাখে
শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে রিবোফ্লেভিন, ভিটামিন সি, জিংক ও ভিটামিন বি নাইন যেগুলো ত্বক, চুল ও নখের উজ্জ্বলতা বাড়ায। ত্বক, চুল ও নখ ভালো রাখতে ও সৌন্দর্য বাড়াতে প্রতিনিয়ত শসা খান।
ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসা খেলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ হয় সে সম্পর্কে। শসা পানিপূর্ণ ও ভিটামিনযুক্ত একটি ফল ও সবজি।
শসা নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরের প্রায় সব ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
মুখ পরিষ্কার রাখে ও দুর্গন্ধ মুক্ত করে শসা
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হলো হরেক রকম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শসা খেলে মুখ পরিষ্কার রাখে ও দুর্গন্ধ মুক্ত করে। দুর্গন্ধযুক্ত মুখ ও মাড়ি চিকিৎসায় শসা যথেষ্ট কার্যকরী।
শসায় বিদ্যমান সাইটোকেমিক্যাল এর মত উপাদান মুখের রোগগুলো দূর করে, মুখে দুর্গন্ধ মুক্ত করে ও বিভিন্ন সংক্রামন প্রতিরোধ করে। সেজন্য নিয়মিত শসা খেলে আপনার মুখের নিঃশ্বাস হবে দূর্গন্ধ মুক্ত, আপনি থাকবেন প্রাণবন্ত।ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো শসার ক্যান্সার প্রতিরোধক গুনাগুণ সম্পর্কে। শসাতে ক্যান্সার প্রতিরোধক কিছু উপাদান রয়েছে
( যেমন - সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল, পিনোরিসিরেসিনোলযে ইত্যাদি ) যেগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ( যেমন - জরায়ু, মুত্রগ্রন্থী ও স্তন ) ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
কি ভাবে খাবেন শসা বা শসা খাওয়ার নিয়ম
শসার পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারীতা নিয়ে আলোচনয় এখন আপনাদের জানাবো শসা কিভাবে খাবেন বা শসা খাওয়ার নিয়ম কি। শসা একটি ফলজ সবজি যা খাওয়ার কোন ধরা-বাধা নিয়ম নেই। যার যেভাবে রুচি হবে সে সেভাবে খাবেন।
শসা কাঁচাও খাওয়া যেতে পারে আবার রান্না করেও খেতে পারেন। শসা কচি অবস্থায় খোসা সহ খাওয়া যায়। শসা খাওয়ার কিছু নিয়ম নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- শসা সুন্দর করে পরিষ্কার করে ধুয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে সালাত হিসেবে খেতে পারেন।
- শসা কুঁচি কুঁচি করে কেটে গাজরের সাথে সালাত বানিয়ে খেতে পারেন।
- ফালা ফালা বা গোল গোল চাকা চাকা করে কেটে শসা খেতে পারেন।
- তরকারির মতো করে শসা রান্না করে খেতে পারেন।
- শসার স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।
- যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটা খুব কার্যকরী তবে একটু কষ্ট করে স্যুপ তৈরি করতে হবে। স্যুপ তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১-২টি শসা, ২-৩ চামচ দই, ১ চামচ মৌরি, ১ চামচ কাগজি লেবুর রস ও পরিমাণ মতো পানি। এই সবগুলো একসাথে ব্লেন্ড করে নিয়মিত প্রতিদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- শসা ও গাজর একসাথে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন।
- শসা ও টমেটো একসঙ্গে কেটে সালাড করে খেতে পারেন।
- শসা ও টমেটোর জুস বানিয়েও খেতে পারেন।
শসার দাম বা মূল্য কত
উপকারি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শসা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন ফসল হলেও বর্তমানে সারা বছরই শসা বাজারে পাওয়া যায়। হরেক রকমের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই শসা গুলোর দুই রকমের দাম পরিলক্ষিত হয়। সিজন সময় অর্থাৎ বর্ষাকালে এক ধরনের দাম থাকে আর সিজন ছাড়া অন্য সময় আরেক ধরনের দাম থাকে।
- সিজন সময়ঃ সিজনে শসাগুলো ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
- অন্য সময়ঃ ডাল সিজনে শসা গুলো ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
উপসংহার
আশা করি শসা সম্পর্কিত আজকের এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা শসার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ও আপনাদের ভালো লেগেছে। নিয়ম নীতি মেনে শসা খাবেন সুস্থ থাকবেন।
বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন তারা নিয়মিত শসা খাবেন। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
বিঃ দঃ কালেক্টেড ফ্রম এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন সার্ভিস।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url