দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়। ভাগ্যের উন্নয়ন, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ও স্ট্যান্ডার্ড লাইফ লিড করার জন্য মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে প্রবাসে গিয়ে কষ্ট সহ্য করে অর্থ উপার্জন করেন। সেজন্য প্রবাসে যাওয়ার আগে ভালো করে জানতে হবে সেই দেশে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং সে কাজের বেতন কত?
দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি দেশ। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়াতে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং বেতন কত? এছাড়াও আরো জানতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত খরচ লাগে? দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা প্রোসেসিং কিভাবে করতে হয়? কিভাবে শিখবেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা? ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।
পেজ সুচিপত্র
দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এই সম্পর্কিত আলোচনা এখন আমরা আলোচনা করব দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়া পর্যন্ত যুক্তিতে ডেভেলপমেন্ট একটি কান্ট্রি এই দেশের প্রতিটি মানুষ অনেক পরিশ্রমে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।
লেবার ল অনুসারে প্রতিটি শ্রমিককে প্রতিদিন নূন্যতম ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয় অর্থাৎ মাসে ২৬ দিনে ২০৯ ঘন্টা কাজ করতে হয়। দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে একজন নতুন প্রবাসীর কাজ খুঁজে পেতে একটু সময় লাগলেও পরবর্তী সময়ে কাজ পাওয়া সহজ হয়। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি নিম্নে ধারাবাহিকভাবে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ,
- ড্রাইভিং এর কাজ,
- জাহাজ শ্রমিক,
- নির্মাণ শ্রমিক,
- পাইপ ফিটিং এর কাজ,
- ফ্যাক্টরি শ্রমিক,
- প্যাকেজিং এর কাজ,
- মেকানিক্যাল শ্রমিক,
- ওয়েল্ডিং এর কাজ,
- কৃষি কাজ,
- নার্স,
- গৃহকর্মীর কাজ,
- ক্লিনার এর কাজ,
- গবাদিপশু পালন এর কাজ।
কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কিত আলোচনায় আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে কোরিয়ান ভাষা কেন শিখতে হবে সে সম্পর্কে। কোরিয়ান ভাষা খুব বেশি কঠিন নয় তবে প্রবাসীদের কাছে নতুন, সেজন্য মনে হয় অনেক কঠিন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এইচআরডি (হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট) জনশক্তি আমদানি করার সময় খুব বেশি করে যে বিষয়টি লক্ষ্য করে সেটি হল লোকজন কোরিয়ান ভাষা বুঝতে, বলতে ও লিখতে পারে কিনা, এ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হয়।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি।
অবসরপ্রাপ্ত ট্রেইনার (বিকেটিটিসি, মিরপুর ও আইএমটি, মুন্সীগঞ্জ) এবং বোয়েসেলের প্রি-ডিপার্চার প্রশিক্ষক ফারুক আহমেদ এর সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি টিটিসি (টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার) কোরিয়ান ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ আছে। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিভাগ বা জেলা পর্যায়ের শহরে কোরিয়ান ভাষা শেখার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকেও কোরিয়ান ভাষা শিখে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ যাদের বেশি
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কিত আলোচনা এখন আলোচনা করব দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার ও সুযোগ কোন ধরনের লোকগুলো দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে। দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য যে সকল বাংলাদেশীরা সুযোগ পাবেন সেগুলো নিম্নরূপ-
- শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এসএসসি পাস বা সমমান বা ভোকেশনাল বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি।
- বয়স সীমাঃ ১৮ থেকে ৩৯ বছর।
- ভাষাঃ কোরিয়ান ভাষা বোঝার, লেখার ও বলার পারদর্শীতা আছে এমন ব্যক্তি।
আরো পড়ুন ঃ প্রবাসীদের জন্য কোন দেশ সেরা ও বেতন কত।
- দৃষ্টিশক্তিঃ কালার বা রং বুঝার স্বক্ষমতা।
- কোরিয়া প্রবাসীঃ যারা আগে দক্ষিণ কোরিয়া ই ৯ ভিসা বা ই ১০ ভিসায় গিয়ে সব মিলা ৫ বছরের বেশি থাকেননি বা অবৈধভাবে বসবাস করেননি এমন ব্যক্তি।
- পাসপোর্টঃ যাদের কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদি বৈধ ও হালনাগাদ এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) আছে এমন ব্যক্তি।
- অপরাধঃ দেশীয় ফৌজদারি আইন মোতাবেক কোন অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়নি বা ব্জেল-জরিমানা বা শাস্তি হয়নি এমন ব্যক্তি।
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের বেতন কত
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ বিষয়টি আলোচনায় এখন আমরা জানবো দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি একটি দেশে ছোট-বড় বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থাকে।
কাজের নাম - মাসিক গড় বেতন টাকায় (আনুমানিক)
- সফটওয়্যার ডেভলপার = ৪ লক্ষ ৭০ হাজার,
- ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার = ৪ লক্ষ ২৫ হাজার,
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার = ৪ লক্ষ,
- নার্স (সেবক-সেবিকা) = ৩ লক্ষ ৭০ হাজার,
- টিচার বা শিক্ষক = ৩ লক্ষ ২০ হাজার,
- একাউন্টেন্ট অফিসার = ৩ লক্ষ,
- মার্কেটিং ম্যানেজার = ২ লক্ষ ৯০ হাজার,
- গ্রাফিক্স ডিজাইনার = ২ লক্ষ ৭০ হাজার,
- ব্যাংক ট্রেলার = ২ লক্ষ ৫০ হাজার,
- ক্লিনার কর্মী = ১ লক্ষ ৭০ হাজার,
- রেস্টুরেন্ট কর্মী = ২ লক্ষ ২৫ হাজার,
- হোটেল কর্মী = ২ লক্ষ ১০ হাজার,
- ফ্যাক্টরি শ্রমিক = ২ লক্ষ ৫ হাজার,
- নির্মাণ শ্রমিক = ১ লক্ষ ৭০ হাজার,
- ইলেকট্রিশিয়ান = ১ লক্ষ ৬৫ হাজার,
- কৃষিকাজ = ১ লক্ষ ৪০ হাজার।
বিঃ দ্রঃ বিভিন্ন কারণে বেতনের কমবেশি হতে পারে। এগুলো ফিক্সড বেতন নয়, বেতনের ধারণা মাত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বনিম্ন বেতন কত
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব দক্ষিণ কোরিয়া কাজের সর্ব নিম্ন বেতন কত যে সম্পর্কে। আপনারা আগেই জেনেছেন কাজের ধরন কোম্পানির অবস্থা কর্মীর যোগ্যতা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী একটি উন্নত দেশ।
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করতে হয়।
উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এই দেশে শ্রমিকদের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট কর্ম নীতিমালা। একজন শ্রমিক এক দিনে সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। এই কাজের জন্য শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা আছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবে ওভারটাইম কাজের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কেউ চাইলে ওভারটাইম কাজ করে তার ইনকাম বাড়িয়ে নিতে পারেন।
লটারি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কিত আলোচনায় আমরা এখন জানবো লটারি ছাড়া আর কোন কোন ওয়েতে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় সে সম্পর্কে। সহজ উপায় হলো লটারি।! লটারির সকল নিয়ম কানুন মেনে আপনি সিলেক্ট হলে যেতে আর কোন বাধা নেই। ভিসা প্রসেসিং করে যেতে পারবেন দক্ষিণ কোরিয়া।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভ্রমণঃ ঘুরে আসুন বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক শহর দুবাই থেকে।
লটারি ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি ভাবে লোক পাঠানো হয়। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার কর্তৃক সার্কুলারের মাধ্যমে অনেক সময় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে তাদের সকল ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে যোগ্যতার ভিত্তিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল যাওয়ার জন্য অনুমোদন পাবেন ও ভিসা প্রসেসিং করে যেতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন কত এই শিরোনামটি আলোচনায় আমাদের জানা দরকার দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় ও কি কি কাগজপত্র লাগে। দক্ষিণকোরিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয়।
আবেদনটি অফলাইন বা অনলাইন দুই ভাবেই করা যায়। এই আবেদন করার সময় নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো ফর্মের সাথে জমা দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ টাফনিলের কাজ খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা।
- কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ আছে এরকম পাসপোর্ট ও পূরনকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম।
- জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট।
- সদ্য তোলা পাস পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ডাক্তার কর্তৃক ফিটনেস সার্টিফিকেট ও পুলিশ কর্তৃক ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- আর্থিক লেনদেনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সেই কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে)।
- আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত কাগজপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)।
উপরোক্ত সকল কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা প্রসেসিং হতে ১২ থেকে ১৮ দিন সময় লাগে। তবে কাগজপত্রে ভুল থাকলে অনেক বিড়ম্বনা শিকার হতে হয়। সেজন্য ফরম পূরণ করার সময় প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিক ও নির্ভুল ভাবে দিতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে সম্মানিত কোন পেশা
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এই সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা জানবো দক্ষিণ কোরিয়ায় কোন কাজের সম্মান সবচেয়ে বেশি বা কোন পেশার লোকজনকে বেশি সম্মান প্রদর্শন করা হয় সে সম্পর্কে।দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে সম্মানিত পেশা হিসেবে আইন পেশাকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
যদি কেউ আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে, আইন পরিচালনা করে তাহলে তাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় আলাদা ভাবে সম্মানিত করা হয়। সেজন্য বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ এইচ এস সি পাশের পরে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কোন 'ল' কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করে সেখানে আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়ে তোলে তাহলে সবচেয়ে বেশি সম্মান পাওয়া যায় ও ইনকাম বেশি করা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা খরচ পড়ে
দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে বা কত টাকা খরচ পড়ে এ সম্পর্কে।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ ও আনুষঙ্গিক কাজকর্ম কমপ্লিট করতে সবকিছু মিলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়।
ভিসা তৈরি, ভিসা প্রসেসিং ও বিমান ভাড়া সহ দক্ষিণ করিয়া যেতে ক্ষেত্র বিশেষে সর্বনিম্ন প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার টাকার মান কেমন
দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়া মহাদেশের একটি উন্নত ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানীর নাম। দেশটির মুদ্রার নাম ওয়ন (Won)। দক্ষিণ কোরিয়া দেশটি বাংলাদেশের তুলনায় উন্নত হলেও এর মুদ্রার মান বাংলাদেশের চাইতে অনেক কম।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১ ওয়ন বা ১ টাকা বাংলাদেশের ০.০৮৪৯০৮ টাকার সমান। সুতরাং বুঝতেই পারছেন দক্ষিণ কোরিয়ার টাকার মান বাংলাদেশের তুলনায় কত কম! নিম্নে ১ ওয়ন (টাকা) থকে ১০০০ ওয়ন (টাকা) বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করে তার মান নিম্নে প্রদান করা হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ন (টাকা) = কনভার্টেড বাংলাদেশী টাকা
- ১ ওয়ন = ০.০৮৪৯০৮ টাকা,
- ৫ ওয়ন = ০.৪২৪৫৪ টাকা,
- ১০ ওয়ন = ০.৮৪৯০৮ টাকা,
- ২৫ ওয়ন = ২.১২২৭ টাকা,
- ৫০ ওয়ন = ৪.২৪৫৪ টাকা,
- ১০০ ওয়ন = ৮.৪৯০৮ টাকা,
- ৫০০ ওয়ন = ৪২.৪৫৪ টাকা,
- ১,০০০ ওয়ন = ৮৪.৯০৮ টাকা।
বিঃ দ্রঃ সুত্র গুগল, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪।
উপসংহার
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজে চাহিদা বেশি, কোন কাজের বেতন কত, দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রার মান কত, দক্ষিণ কোরিয়া কোন কাজের সম্মান বেশি, দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা কিভাবে শিখতে হয়, ইত্যাদি বিষয়গুলো।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। আর্টিকেলটি সম্পর্কিত আপনার মতামত, পরামর্শ বা কোন জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url