সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। অনেকেই ভাগ্য পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গমন করেন। সৌদি আরবে গিয়ে অনেকেই কাজ পান আবার অনেকেরই কাজ পেতে দেরি হয়। তাই, কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাওয়ার আগে একটু ভালো করে খোঁজখবর নিতে হবে, সেখানে কোন কাজে চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন বেশি এ সম্পর্কে।

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি

আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে সেখানকার কাজের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আপনি নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন।। সৌদি আরবে নতুন লোকদের কাজ খুঁজে পেতে একটু সময় লাগে। বিশেষ করে যারা ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব গমন করেন। আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে জনে নিন সেখানে কোন কাজের বেতন বেশি এবং কোন কাজের চাহিদা বেশী?

পেজ সূচিপত্র

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি 

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা জানবো সেখানে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে। সৌদি আরব পবিত্র মক্কা নগরীর পবিত্র দেশ। মরুভূমিতে পরিপূর্ণ এই দেশটিতে রয়েছে অনেক ধরনের কাজের চাহিদা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাজ, যেগুলোর চাহিদা অনেক বেশি সেগুলো উল্লেখ করা হলো। 

  • ইলেকট্রিক্যাল কাজ,
  • প্লাম্বিং কাজ,
  • অটোমোবাইল কাজ,
  • ওয়েল্ডিং এর কাজ
  • ওয়ার্কশপ এর কাজ,
  • এসি টেকনিশিয়ান এর কাজ,
  • রেস্টুরেন্ট এর কাজ,
  • ড্রাইভিং এর কাজ,
  • হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর কাজ,
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ,
  • ফ্যাক্টরি কর্মীর কাজ,
  • গৃহকর্মীর কাজ।

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি 

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই শীর্ষক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি অর্থাৎ কোন কাজে কেমন বেতন দেয় সৌদি সরকার সে সম্পর্কে। সাধারণ ভাবে আমরা সবাই জানি যে কাজের চাহিদা বেশি তার একটু মূল্য বেশি।

আরো পড়ুনঃ ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় ও কি কি কাগজপত্র লাগে।

যে কাজগুলো একটু কঠিন বা যে কাজগুলোর চাহিদা বেশি সেই কাজের বেতন বেশি। উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি সৌদি আরবে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি। উক্ত কাজগুলোর বেতন বেশি হলেও শ্রমিকের দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন কম-বেশি হয়ে থাকে।

অধিক বেতন পেতে চাইলে অধিক দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবে যেতে পারেন। কাজের চাহিদার উপর নির্ভর করে ও দক্ষতা ভিত্তিতে শ্রমিকের বেতন নিম্নো আলোচনা করা হলো।

ইলেকট্রিক কাজ ও বেতন 

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই আলোচনায় এখন আলোচনা করব ইলেকট্রিক্যাল কাজ ও বেতন সম্পর্কে। সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি আগে থেকেই যদি এই ইলেকট্রিশিয়ানের কাজগুলো ভালোমতো আয়ত্ত করে সৌদি আরবে যান তাহলে অল্পতেই সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করতে হয়।

আমরা সবাই জানি সারা বিশ্বে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ একই ধরনের। দক্ষতার সহিত কাজগুলো করলে এর চাহিদা সৌদি আরবে অনেক বেশি। এই কাজে দক্ষতার ভিত্তিতে বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। ভাল একজন ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন সৌদি আরবে প্রতিমাসে ৩ হাজার রিয়াল থেকে সাড়ে ৩ হাজার রিয়াল।

সৌদি আরবে প্লাম্বিং কাজ ও বেতন

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো প্লাম্বিং কাজ ও বেতন কাঠামো সম্পর্কে। ভৌগোলিক অবস্থান থেকে জানা যায় সৌদি আরব পাহাড়-পর্বত ও মরুভূমির দেশ। মরু প্রান্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দূর দূরান্তে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়।

সৌদি আরবে প্লাম্বিং কাজ ও বেতন

এজন্য এখানে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি প্লাম্বারের কাজ ভালো মতো জানেন তাহলে সৌদি আরবে খুব অল্প সময়ে সফল হতে পারবেন। সৌদি আরবে দক্ষ ভালো প্লাম্বিং শ্রমিকের বেতন মাসে ২২০০ রিয়াল থেকে ৩২০০ রিয়াল।

সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজ ও বেতন

আমরা আগে থেকেই জানি সৌদি আরব পাহাড় পর্বত ও মরুভূমির দেশ। এই দেশের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশের দূরত্ব অনেক, এছাড়াও উন্নত দেশ হওয়ার কারণে এই দেশে প্রচুর গাড়ি ব্যবহার হয। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সৌদি আরবে প্রায় ৬ মিলিয়নেরও বেশি গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িগুলো যেকোনো সময়ে ত্রুটি হতে পারে বা নষ্ট হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ভ্রমণঃ ঘুরে আসুন বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক শহর দুবাই থেকে।

সেজন্য দরকার পড়ে অটোমোবাইল কাজ জানে এমন লোকের। এই গাড়িগুলো মেরামত করার জন্য প্রয়োজন হয় দক্ষ জনশক্তির। সেজন্য সৌদি আরবে অটোমোবাইল কাজের অনেক ডিমান্ড রয়েছে।  সৌদি আরবে এরকম দক্ষ একজন প্রবাসীর মাসিক বেতন প্রায় দুই হাজার রিয়াল থেকে আড়াই হাজার রিয়াল।

সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং এর কাজ ও বেতন 

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং এর কাজ ও বেতন সম্পর্কে। প্রতিনিয়তই সৌদি আরবে নতুন নতুন কনস্ট্রাকশননের কাজ হয় ও এখানে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়।

এই কনস্ট্রাকশন ও তেল উত্তলনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ওয়েল্ডিং করার দরকার হয়। এতে করে সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষতা থাকলে প্রতিমাসে প্রায় ১৫০০ রিয়াল থেকে ২০০০ রিয়াল বেতন পাওয়া যায়।

ওয়ার্কশপের কাজ ও বেতন

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব সৌদি আরবে ওয়ার্কশপের কাজ ও বেতন সম্পর্কে। সৌদি আরব একটি উন্নত দেশ। এই দেশে ওয়ার্কস এর কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ওয়ার্কশপের কাজগুলো ভালোমতো জানেন।

আরো পড়ুনঃ প্রবাসীদের জন্য কোন দেশ সেরা ও বেতন কত?

তাহলে সৌদি আরবে অনেক ডিমান্ড পাবেন ও ভালো ইনকাম করতে পারবেন। পাশাপাশি আপনি নাকি নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন সৌদি আরবে ওয়ার্কশপের একজন ভালো দক্ষ কর্মীর বেতন আনুমানিক ১৮০০ থেকে ২২০০ রিয়াল পর্যন্ত।

এসি টেকনিশিয়ানের কাজ ও বেতন

সৌদি আরব মরুভূমি দেশ হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা অনেক বেশি অন্তত গরম প্রচুর সেজন্য প্রত্যেকটি জায়গাতেই বাসা বাড়িতে অফিস আদালতে এসি ব্যবহার করা হয় এই এসি গুলো প্রতি নিয়তের ত্রুটি বিচ্যুতি হয়।

এই এসি গুলো সারার জন্য দক্ষ এসি টেকনিশিয়ান ও জনশক্তির প্রয়োজন সেজন্য সৌদি আরবে দক্ষ এসি টেকনিশিয়ানের ডিমান্ড বেশি দক্ষ এসি টেকনিশিয়ানের বেতন প্রতি মাসে ২২০০ থেকে ২৬০০ রিয়াল

রেস্টুরেন্টের কাজ ও বেতন

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই শীর্ষক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব রেস্টুরেন্টের কাজের চাহিদা ও বেতন সম্পর্কে। রেস্টুরেন্টের কাজের চাহিদা অনেক বেশি। এই কাজের জন্য তেমন কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। সহজেই রেস্টুরেন্ট কর্মী হিসেবে পাওয়া যায়।

এই কাজে ১০ ঘন্টা ডিউটি ডিউটি করতে হয়। এখানে ওভার টাইম কাজ করে ইনকাম বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সার্ভিসের মাধ্যমে কাস্টমারকে খুশি করতে পারলে টিপস পাওয়া যায় ফোনে ইনকাম বেড়ে যায় সৌদি আরবে একজন রেস্টুরেন্টের কর্মীর মাসিক বেতন ১৫00 রিয়াল থেকে ২০০০ রিয়াল পর্যন্ত হয় ।

সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার বেতন কত

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এই আলোচনায় এখন আমরা জানবো সৌদি আরব কোম্পানি ভিসার বেতন কত সে সম্পর্কে। যে কাজগুলো চাহিদা বেশি সেই কাজের দক্ষতা অর্জন করে কোম্পানির

সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার বেতন কত

সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভিসা নিতে পারলে ভালো হয়। কোম্পানী ভিসার বেতন প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৫ টাকা থাকে ২.০০ লক্ষ টাকা। তবে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ২.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন হতে পারে।

উল্লেখিত কাজগুলো ছাড়াও সৌদি আরবে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের বেতনের কম বেশি হয়ে থাকে।  এই বেতন কাঠামো সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে উল্লেখ করা হলো। যেগুলো কাজের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

  • কাজের নাম  -  আনুমানিক মাসিক বেতন (রিয়াল)
  •  ইলেকট্রিক কাজের বেতন  =  ৩০০০ - ৩৫০০ রিয়াল 
  • হোটেল ভিসা বেতন  =  ১৪০০ - ২২০০ রিয়াল,
  • প্লাম্বার কাজের বেতন  =  ২২০০ ‌-  ৩২০০ রিয়াল,
  • ড্রাইভিং ভিসার বেতন  =  ১৪০০ - ১৭০০ রিয়াল,
  • ক্লিনার ভিসা বেতন  =  ১১০০ - ১৬০০ রিয়াল,
  • ফ্যাক্টরি কর্মীর বেতন =  ১৬০০  - ২১০০ রিয়াল,
  • কোম্পানী ভিসার বেতন =  ২২০০ - ৩০০০ রিয়াল,
  • কনস্ট্রাকশন কর্মীর বেতন =  ১৪০০ -  ১৭০০ রিয়াল,
  • গৃহকর্মীর বেতন - ১২০০  =  ১৬০০ রিয়াল,
  • রেস্টুরেন্ট কর্মীর বেতন  =  ১৫০০ - ২০০০ রিয়াল।

পরিশেষ

সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা ও বেতন বেশি এ সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিস্তারিতভাবে কাজে ও বেতনের ধারণা জানতে পেরেছেন। উল্লেখিত কাজগুলোর মধ্যে যে কাজটি আপনার ভালো লাগে ওইটাতেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে সৌদি আরব গেলে খুব তাড়াতাড়ি সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আশা করি সবাই আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনার ভালো লাগাটা দয়া করে সকলের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url