আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন আনারসের পুষ্টিগুণ, আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা, আনারস খাওয়ার নিয়ম, কোন কোন খাবারে সঙ্গে আনারস খাওয়া যায় না, ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আনারসের পরিচিতি
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনা করার আগে জেনে নেব আনারসের পরিস্থিতি সম্পর্কে। আমাদের বাংলাদেশে আনারস চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অর্থাৎ সবাই আনারস চিনেন।
তারপরেও একটু বলে রাখি। আনারস পুষ্টি সমৃদ্ধ বহুগুণে গুণান্বিত রসালো একটি ফল। এ ফলটির উপরে ও নিচে গুচ্ছ আকারে পাতা থাকে। আনারসের সারা গা ও পাতা সুচালো কন্টক যুক্ত।
এক নজরে আনারস -
- ফলের নাম ঃ আনারস,
- আনারসের আঞ্চলিক নামঃ আনাস, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি।
- আনারসের ইংরেজি নাম ঃ Pineapple (পাইনআপেল),
- আনারসের বৈজ্ঞানিক নাম ঃ Ananas comosus (আনানাস কমোসাস),
- আনারসের রং ঃ হলুদ, খয়েরী ও কালচে বর্ণের হয়।
- আনারসের প্রথম চাষবাদ ঃ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে,
- সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপাদন হয়ঃ কোস্টারিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপাইনে,
- বাংলাদেশে ঃ ময়মনসিং জেলায় বেশি।
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জেনে নিব এর পুষ্টিগুণ ও পুষ্টি মান সম্পর্কে। আনারস যেমনি রসালো ও মাংসল শাঁশ যুক্ত ফল তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিম্নে আনারসের পুষ্টি উপাদান ও পুষ্টিমানগুলো তুলে ধরা হলো। প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসের পুষ্টিমান -
আরো পড়ুনঃ জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
- এনার্জি - ৫০ কিলোক্যালরি,
- কার্বোহাইড্রেট - ১৩.১২ গ্রাম,
- সুগার - ৯.৮৫ গ্রাম,
- ফাইবার - ১.৪ গ্রাম,
- ফ্যাট -০. ১২ গ্রাম,
- প্রোটিন - ০.৫৪ গ্রাম,
- থায়ামিন (বি১) - ০.০৭৯ মিলিগ্রাম,
- রিবোফ্লেভিন (বি২) - ০.০৩২ মিলিগ্রাম,
- নিয়াসিন (বি৩) - ০.৫ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন বি৫ - ০.২১৩ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন বি৬ - ০.১১২ মিলিগ্রাম,
- ফোলেট (বি৯) - ১৮ মাইক্রোগ্রাম,
- কোলিন - ৫.৫ মিলিগ্রাম,
- ভিটামিন সি - ৪৭.৮ মিলিগ্রাম,
- ক্যালসিয়াম - ১৩ মিলিগ্রাম,
- আয়রন - ০.২৯ মিলিগ্রাম,
- ম্যাগনেসিয়াম - ১২ মিলিগ্রাম,
- ম্যাঙ্গানিজ - ০.৯২৭ মিলিগ্রাম,
- ফসফরাস - ৮ মিলিগ্রাম,
- পটাশিয়াম - ১০৯ মিলিগ্রাম,
- সোডিয়াম - ১ মিলিগ্রাম,
- জিংক - ০.১২ মিলিগ্রাম,
- জলীয় অংশ বা পানি - ৮৬ গ্রাম। ইত্যাদি।
সুত্রঃ ইউ এস ডি এ।
আনারস খাওয়ার নিয়ম
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব আমার খাওয়ার নিয়ম বা কিভাবে খাবেন আনারস সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ পালং শাকের পুষ্টিগুণ ও ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আনারস খাওয়ার ধরা বাঁধা কোন নিয়ম নেই। আনারস নিম্নোক্ত বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। আনারসের পাতা, ডাটা, ফল সবই মানব দেহের জন্য উপকারী।
- আনারস খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়।
- আনারস খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে খাওয়া যায়।
- আনারসের কচি পাতা শিল-পাটায় পিষে রস খাওয়া যায়।
আনারস খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব আনারসের উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে। এর পুষ্টিগুণ, পুষ্টি উপাদান, পুষ্টিমান ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আগের আলোচনা আমরা জেনেছি।
এই পুষ্টি উপাদান গুলো মানব দেহের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আনারস মানব দেহে নানাবিধ উপকার করে থাকে। এই উপকারিতা গুলো ধারাবাহিকভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
১. ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধ করে
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব আনারস ভাইরাস জনিত রোগ প্রতিরোধে উপকারিতা সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা
আনারসে বিদ্যমান ভিটামিন সি ঠান্ডা জনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। বিশেষ করে ফ্লু, সর্দি, হাঁচি ও জ্বর ইত্যাদি।
২. পুষ্টির অভাব পূরণ করে
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব পুষ্টির অভাব পূরণে আনারসের ভূমিকা সম্পর্কে। আনারস বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া শ্রমিকের বেতন কত এবং কোন কাজে চাহিদা বেশি।
এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, খনিজ পদার্থ, এন্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেলস, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা উপাদান। যেগুলো শরীরে পুষ্টির অভাব পূরণ করতে পারে।
৩. শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে
আনারস পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল। এছাড়াও এতে ফ্যাট বা চর্বি নাই বললেই চলে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আনারস খেলেও শরীরের ওজন বাড়ে না।
আরো পড়ুনঃ অর্থসহ ছেলে শিশুর ইসলামিক নামের তালিকা ও ইংরেজিঃ বানান।
পক্ষান্তরে আনারস আঁশযুক্ত হওয়ার কারণে খাওয়ার পরে পেট ভরা ভরা মনে হয় ও পরবর্তী খাওয়ার প্রবনতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
৪. রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব আনারস খেলে রক্তনালীতে রক্তে জমাট বাঁধতে বাধা দেয় সে সম্পর্কে। সব সময় রক্ত শিরা ও ধমনীর মধ্যে দিয়ে চলাচল করে।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয়
দাঁতের সবচেয়ে শক্ত অংশ এনামেল। এই এনামেল ক্যালসিয়াম দ্বারা তৈরি। আনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও মিনারেলস।
যেগুলো দাঁতের গঠন ঠিক রাখে, দাঁতের ক্ষয় রোগ রোধ করে এবং মাড়ির স্কার্ভিও ও মুখের বেরিবরি প্রতিরোধ করে দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা দেয় আনারস।
৬. চুলের উপকার করে
চুল মানুষের জন্য অন্যরকম একটা সৌন্দর্যের জিনিস। সবাই চায় চুল ভালো থাকুক, চুল লম্বা ও ঘন হোক কিন্তু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে চুল ঝরে যায়। আনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই, এন্ট্রি-অক্সিডেন্ট
বিটা ক্যারোটিন, অন্যান্য খনিজ পদার্থ ও ফ্যাট জাতীয় উপাদান। যে গুলো চুলের পুষ্টি যোগায়, মাথার ত্বককে খুশকি মুক্ত করে চুল ঝরে পড়া রোধ করে এবং চুল হয় কালো,ঘন ও লম্বা।
৭. ত্বকের উপকার করে
আনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন ই ও এন্ট্রি-অক্সিডেন্ট। যেগুলো ত্বকের বিভিন্ন রকমের ছোপ বা দাগ দূর করে।
ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনে, ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়। ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে।
৮. চোখের জন্য উপকারী
চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আনারসের ভূমিকা অনেক। আনারসের বিদ্যমান বিটা ক্যারোটিন চোখের ম্যাকুলার ডিসঅর্ডার বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সহায়তা করে
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে আনারস খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন শতকরা ৩০ ভাগ কমে যায়। আনারসের বিদ্যমান ভিটামিনের চোখের জ্যোতি ঠিক রাখে।
৯. জন্ডিসের জন্য উপকারী
ঔষধি গুনসম্পন্ন আনারস খেলে জন্ডিসে উপকার পাওয়া যায়। জন্ডিস রোগ ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খেতে বলা হয়।
আনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স গুলো রুচি বাড়াতে সহায়তা করে এবং লিভারের সুরক্ষা দেয় ও জন্ডিস থেকে মুক্তি মেলে।
১০. ডায়রিয়া থেকে উপশম পাওয়া যায়
যে সকল লোকজন মাঝেমধ্যেই ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তারা নিয়মিত কয়েকদিন আনারসের কচিপাতার রস ও বোহেয়রার গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
১১. আনারস কুষ্ঠ রোগে উপকারি
কুষ্ঠ রোগ নিরাময় আনারসের উপকারিতা হয়েছে। কচি আনারস পাতার রস অথবা পাকা আনারসের রস নিয়মিত কয়েকদিন কুষ্ঠ রোগে বা চর্ম রোগে উপরে লাগালে কুষ্ঠ রোগে উপকার উপকার পাওয়া যায়।
১২. হাড়ের সমস্যা জনিত রোগ প্রতিরোধ করে
আনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও অন্যান্য মিনারেলস যেগুলো হাড়ের গঠনে সহায়তা করে। হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ করে। ম্যাঙ্গানিজ কানেক্টিড টিস্যুর কিয়াকলাপকে ত্বরান্বিত করে
একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ আনারসের রস খেলে দেহের প্রায় ৭৫ শতাংশ ম্যাঙ্গানিদের অভাব পূরণ হয়। সেজন্য প্রতিদিন নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে আনারস সকলেরই খাওয়া উচিত।
১৩. ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে
মানবদেহে বিদ্যমান ফ্রিরেডিক্যালগুলো প্রতিনিয়তই অক্সিডেশানের মাধ্যমে কোন না কোন রোগের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ক্যান্সার। আনারসের এন্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, অন্যান্য মিনারেলস
এবং আনারসের জলীয় অংশ অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে ফলে ফ্রিরেডিক্যালগুলো সঠিক ক্রিয়া করতে পারে। সে জন্য ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগগুলো প্রতিরোধ করে থাকে।
১৪. বাত ব্যথা থেকে মুক্তি মিলে
শরীরের ব্যথা দূর করতে আনারস ও আনারসের পাতার ব্যবহার অতুলনীয়। আনারসে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম ও এন্টি ইনফ্লামেটরি এজেন্ট শরীরের ব্যথা বা ফুলা কমাতে সহায়তা করে।
আনারস নিয়মিত খেলে ও কচি পাতা বেটে ফুলা ও ব্যথার উপরে লাগালে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
১৫. আনারস কিডনি রোগের জন্য উপকারি
আনারসের পুষ্টিগুণ ও ২০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা পড়ুন। আনারস কিডনি রোগের জন্য উপকারি। যে সমস্ত কিডনি রোগীদের কিডনিতে পাথর আছে তারা যদি নিয়মিত আনারসের রস খান তাহলে কিডনির পাথর অপসারনে সহায়তা করে।
১৬. বদহজমের চিকিৎসায় উপকারী
হজম শক্তি বাড়াতে বা বদহজমের চিকিৎসায় আনারস অত্যন্ত কার্যকরী আনারসে ব্রোমেলিন নামক এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে বোধহরম প্রতিরোধ করা সেজন্য বদজন থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত আনারস খেতে পারেন।
১৭. কৃমি নাশক হিসেবে কাজ করে
কৃমি নাশক হিসেবে আনারসের জুড়ি মেলা ভার। কয়েকদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে আনারসের রস বা আনারসের কচিপাতা শিল-পাটায় বেটে রস খেলে খুব সহজেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায় অর্থাৎ বলা যায় কৃমি নাশক হিসেবে আনারস যথেষ্ট কার্যকরী।
১৮. হার্ট সুস্থ রাখে আনারস
হার্ট সুস্থ রাখে আনারস কথাটা শুনতে অবাক মনে হলেও এটাই সত্য। আমাদের দেহের রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের চান্স বেড়ে যায়।
আনারসে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ফ্রিরেডিকালের কার্যকারিতা বাড়িযে রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। হার্ট স
১৯. আনারস ক্ষুধা মন্দা দূর করে
আনারস ক্ষুধা মন্দা দূর করে। আনারসে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। আনারসের রসের সঙ্গে বীট লবণ মিশিয়ে সাত থেকে আট দিন নিয়মিত সেবন করলে অরুচি ভাব দূর হয়, ক্ষুধা মন্দা কেটে যায় ফলে খাবারের রুচি বাড়ে।
২০. শ্বাসকষ্ট নিরাময় করে
আনারস শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসকষ্ট নিরাময় করে। আনারসের রসের সঙ্গে বহেরা, শুকনো আদা, ভাজা রসুন, জিরা গুঁড়া ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে শ্বাসকষ্ট নিরাময় হয়।
আনারস সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন
আমার সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন আপনারা প্রায় গুগলে সার্চ করে থাকেন আপনি আমার সম্পর্কে তো এ ধরনের সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর আলোচনা করা হলো
প্রশ্নঃ আনারস খাওয়ার পরে দুধ খেলে কি হয়?
উত্তরঃ আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে কোন বিক্রিয়া হয় না। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে সমস্যা হতে পারে, আসলে এ বিষয়টি সত্য নয়। কারণ আনারস একটি এসিডিক ও টক জাতীয় ফল। টক, দুধের মধ্যে মিশালে দুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
দুধ ফেটে যেতে পারে। দুধ ও আনারস একসঙ্গে মিশালে দুধ নষ্ট হয়ে যায়। আর নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ খেলে বদহজম হতে পারে, পেট খারাপ হতে পারে। তবে দুধ ও আনারস একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়ার কোন আশঙ্কা নেই।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আনারস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। আপনার জানাটা অন্যের মাঝে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না। আনারস অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল হলেও অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না।
আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানানোর অনুরোধ রইল। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন আর্টিকেলে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তথ্যগুলো সংগৃহীত, সুত্রঃ ইউ এস ডি এ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url