চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরির প্রধান উপায় হল চিনি। আমরা কম-বেশি সকলেই মিষ্টিজাতীয় খাদ্য পছন্দ করি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও খুশির খবরে মিষ্টিজাতীয় খাদ্যই যেন প্রধান আপ্যায়ন। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্যই স্বাস্থ্যের শত্রু!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেশি চিনি খাওয়ার স্বাস্থ্যগত ভালো কোন উপকারিতা নেই। চিনি খাওয়ার কারণে দিনে দিনে শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চরক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকসহ মারাত্মক সব রোগ-ব্যাধি। চলুন জেনে নেই চিনি মানব শরীরে কি ধরনের ক্ষতি করে।
পেজ সূচীপত্র
চিনি কি বা চিনি কাকে বলে
চিনি সাদা বর্ণের দানাদার সুমিষ্ট পদার্থ যা গাছ বা ফলের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে আখ বা ইক্ষুর রস থেকে চিনি তৈরি করা হয়। এছাড়াও চিনির দুইটি বনজ উৎস হলো বিট ও ব্যাপল।
চিনির রাসায়নিক নাম সুক্রোজ এবং রাসায়নিক সংকেত C12H22O11, ১ অণু গ্লুকোজের সঙ্গে ১ অণু ফ্রুক্টোজ মিলে তৈরি হয় ১ অণু সুক্রোজ বা চিনি। ঔষধে ব্যবহার করার জন্য চিনিগুলো রসায়নাগারে প্রস্তুত করা হয়।
দৈনিক কতটুকু চিনি খাওয়া উচিৎ
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে এ সম্পর্কিত আলোচনায় প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক কতটুকু চিনি খাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে। চিনি একটি উপাদান যা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়। যার উপকারিতার চাইতে মানব শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব বেশি।
আরো পড়ুন ঃ অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন সুস্থ ও পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দৈনিক যে পরিমাণ চিনি খেলে স্বাস্থ্যে উপরে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না, তার একটা তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো।
- প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩৭ গ্রাম যা ৯ চমচের সমান চিনি খেতে পারবেন।
- প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মহিলাদের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ গ্রাম যা ৬ চামচের সমান চিনি খেতে পারবেন।
উক্ত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে চিনি খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বি ঃ দ্র ঃ চিনি না খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
চিনির বিকল্প খাবার
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২ টি ক্ষতি করে সেগুলো আলোচনায় এখন আমরা দেখে নিব চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য চিনির বিকল্প খাবার কি খাওয়া যায় সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুন ঃ পানি কম খেলে শরীরের যে ১২টি ক্ষতি হয়।
চিনির বিকল্প হিসেবে বা চিনি পরিবর্নিতে নিম্নোক্ত মিষ্টিজাত খাবারগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে -
- চিনির বিকল্প হিসেবে মধু খাওয়া যেতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে কলা খাওয়া যেতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর খাওয়া যেতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে কাঁঠাল খাওয়া যেতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে মিষ্টি স্বাদের ফল দিয়ে ফলের জ্যাম বানিয়ে খাওয়াতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে স্টিভিয়া খাওয়া যেতে পারে,
- চিনির বিকল্প হিসেবে আখের রস খাওয়া যেতে পারে। ইত্যাদি।
১.রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে সে সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব চিনি খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে সে সম্পর্কে। যেসকল খাবারে গ্লাইসেনিক ইনডেক্স দ্রুত বাড়ে তারমধ্যে সাদা চিনি অগ্রগণ্য। খাওয়ার পরপরই চিনি খুব দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে মিশে যায়।
শারীরিক প্রয়োজনে রক্তের কিছু পরিমাণ গ্লুকোজ কোষে প্রকাশ করে, বাকি গ্লুকোজগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশ চর্বি হিসেবে জমা হতে থাকে। এভাবে বারবার বেশি চিনি খাওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।
২.রক্ত চলাচলে বাঁধা
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে সে সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব চিনি রক্ত চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে অধিক পরিমাণে চর্বি জমে।
আরো পড়ুন ঃ ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ ও ১৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
এই চর্বিগুলো রক্ত নালিতেও জমতে থাকে এমনকি রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। ফলে রক্তনালী ন্যাংটো বা সরু হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে না। এতে করে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাঁধা পায়।
৩.ওজন বৃদ্ধি করে
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চিনি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার বা কোমল পানীয় শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুন ঃ পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
অধিক চিনি যুক্ত খাবারগুলোতে অন্যান্য খাবারের মতো ফাইবার বা আঁশ কম থাকে ফলে এই অধিক চিনিযুক্ত খাবারগুলো সরাসরি শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৪.চিনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে তার মধ্যে অন্যতম একটি ক্ষতি হলো চিনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি বা চিনিযুক্ত খাদ্য খেলে তাৎক্ষণিকভাবে ইন্সুলিনের সিক্রেশন ও ব্লাডে গ্লুকোজের শোষণ বেড়ে যায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
আরো পড়ুন ঃ শীতে শরীর সুস্থ রাখার সহজ ১৪টি টিপস।
গবেষণায় দেখা গেছে যে কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে দৈনিক ১৫০ ক্যালোরির বেশি এনার্জি পায় তাহলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১.১ শতাংশ বেড়ে যায়। কথায় বলে "ডায়াবেটিস ইজ দা মাদার অফ অল ডিজিজন"। চিনি পরিহার করুন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিমুক্ত জীবন গড়ুন।
৫.দ্রুত ফ্যাট বা চর্বি জমে
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে তার সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব চিনি খেলে দ্রুত শরীরে ফ্যাট বা চর্বি জমে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত চিনি খেলে দ্রুত ও বেশি পরিমাণে ক্যালরি আসে।
ক্যালরির কিছু অংশ কাজে লাগে বাকি অংশগুলো জমা হতে থাকে। এইগুলো শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন-তলপেটে, চিবুক ও অন্যান্য অর্গানগুলোতে জমা হতে থাকে, এতে করে খুব দ্রুত শরীর স্থুল হয়ে যায়।
৬.দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে তার মধ্যে একটি হলো চিনি বেশি পরিমাণে খেলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। গবেষকদের মতে মুখের ভিতরে যে ব্যকটেরিয়ার থাকে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো চিনি খেতে বেশি পছন্দ করে।
চিনি খাওয়ার সময় বাই প্রোডাক্ট হিসেবে এসিড তৈরি করে। এই এসিডগুলো দাঁতের এনামেলকে নষ্ট করে ও মুখের ভিতর রোগের সৃষ্টি করে। এছাড়াও অতিরিক্ত চিনি খেলে মুখের ভিতরে এক ধরনের ইস্ট বা ছত্রাক তৈরি হয় যা জীহবা লাল হয়ে যাওয়ার মতো রোগ তৈরি হয়।
৭.ত্বকের সমস্যা
চিনি মানুষের শরীরে যে ১২টি ক্ষতি করে সে সম্পর্কিত আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব চিনি খেলে ত্বকের সমস্যা হয় সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে ত্বকে খুব সহজেই
বলি দেখা পড়ে যায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে অল্পতেই কম বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যায়। ফলে অল্প বয়সেই বেশি বয়স্ক মনে হয়।
৮.হাই ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
হাই ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় চিনি। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে রক্তের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়ে। এতে করে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়, এতে করে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পায়।
ডাক্তার মালটম্যান এর মতে অধিক চিনি যুক্ত খাদ্য গ্রহণের কারণে ব্লাডের এইচডিএল কমে যায় পাশাপাশি রক্তের এলডিএল বেড়ে যায়। যে কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, বিধায় হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৯.ফ্যাটি লিভার বা লিভারের ক্ষতি করে
লিভারের ক্ষতি করে চিনি! যে সকল খাদ্য সামগ্রী লিভারের ক্ষতি করে তার মধ্যে অগ্রগণ্য হলো অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাদ্য। ডাক্তার মালিকের মতে অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে, যার কারণে লিভার ফ্যাটি লিভারে পরিণত হয় এবং বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপ ব্যাহত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মতে অধিক চিনি গ্রহনের জন্য নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ও লিভার সিরোসিসের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। গবেষণামতে ধারণা করা হয় লিভার রোগের সংখ্যা ১৯৮০ সালের তুলনায় এখন প্রায় দ্বিগুণ যার প্রথম প্রধান কারণ হলো অধিক চিনি যুক্ত খাদ্য।
১০.ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়ায়
তিনি মানুষের শরীরে যে দশটি ক্ষতি করে সেগুলো আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব এনে ফেলে ডিপ্রেশন বাড়ে সে সম্পর্কে। গবেষণা ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ডিপ্রেশন বা বিভিন্নতা বৃদ্ধির জন্য
যে সকল খাদ্য দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হলো অতিরিক্ত চিনি। মাইনের কার্যক্রম ব্যাহত হয় হলে মোট সুইমিং হয় ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি পরিহার করুন ডিপ্রেশন মুক্ত জীবন গড়ুন।
১১.চিনি ব্রেইনের ক্ষতি করে
তিনি ব্রেনের ক্ষতি করে! মানব শরীরে চিনির ক্ষতি সম্পর্কে আমরা এখন জেনে নিব চিনি কিভাবে ব্রেনের ক্ষতি করে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা রিপোর্ট অনুসারে চিনি জাতীয় মিষ্টি খাদ্য আমাদের ব্রেনের লিমবিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করে।
অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের কারণে ব্রেনের প্লেজার সেন্টারকে উদ্বুদ্ধ করে যা ড্রাগের মতো কাজ করে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের কারণে এমনটি চলতে থাকলে ব্রেনের ক্ষতি হয়। এর ফলে এলজিমার্স ডিজিজ হতে পারে ও স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে।
১২.চিনি সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন
চিনির স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিক খুঁজতে গিয়ে আমরা অনেকেই চিনি সম্পর্কে সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা গুগলে সার্চ করে থাকি। চিনি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন নিম্নে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন ঃ ১০০ গ্রাম চিনিতে কি পরিমাণ ক্যালরি থাকে?
উত্তর ঃ১০০ গ্রাম চিনিতে ৩৮৭ কিলো ক্যালরি এনার্জি বা খাদ্যশক্তি থাকে।
প্রশ্ন ঃ চিনি খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর ঃ চিনি হল এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা শরীরের শক্তি যোগায়, তবে সময়ের সাথে সাথে অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে।
প্রশ্ন ঃ দুধের সাথে চিনি খাওয়া কি ক্ষতিকর?
উত্তর ঃ শরীরে পুষ্টির যোগান হিসেবে ফল, সাদা দুধ ও সাধারণ দইয়ের মত খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয় যা প্রাকৃতিকভাবেই শর্করা সমৃদ্ধ থাকে। কাজেই দুধে চিনি মিশানোর আলাদা কোন স্বাস্থ্য উপকারিতা নেই।
প্রশ্ন ঃ চিনির চেয়ে ভালো মিষ্টি কোনটি?
উত্তর ঃ খাদ্য তালিকা থেকে পরিশোধিত শর্করা কমাতে বা বাদ দিতে চাইলে, সে ক্ষেত্রে সুইটনার ব্যবহার করেন তাহলে স্টিভিয়ার যা চিনির বিকল্প বা স্টিভিয়ার মিশ্রণ ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।
প্রশ্ন ঃ এক চা-চামচ চিনিতে কত ক্যালরি এনার্জি থাকে?
উত্তর ঃপুষ্টিবিজ্ঞানদের মতে, এক চা-চামচ চিনিতে ১৯ (ঊনিশ) ক্যালোরি এনার্জি থাকে।
প্রশ্ন ঃ চায়ের সাথে চিনি খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর ঃপুষ্টিবিজ্ঞানদের মতে, চায়ে যত বেশি চিনি খাবেন, দিনে দিনে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি ততই বাড়বে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা মানব শরীরে চিনির ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। উক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় চিনি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান। সেজন্যই হয়তো চিনি কে বলা হয় "হোয়াইট পয়জন"।
আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোন মতামত থাকলে কমেন্টস বক্সে জানাতে পারেন। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া পরিহার করুন সুস্বাস্থ্যের সহিত জীবন যাপন করুন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url