দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়। আপনি কি দ্রুত ওজন কমাতে চান? তাহলে ঝটপট দ্রুত ওজন কমানোর দশটি সহজ উপায় জেনে নিন। ওজন কমানোর জন্য বা চিকন হওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে মনস্থির করতে হবে যে আপনি সত্যিই ওজন কমাতে চান কিন? ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে মানতে হবে তা কিছুটা কষ্টকর হতে পারে।দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোটাই পড়ুন। দিনে দিনে কিছু কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করে নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথম প্রথম অস্বস্তিকর বা কষ্টকর মনে হতে পারে । তারপরে অভ্যাসগুলো মানতে মানতে একসময় স্বস্তিতে পরিণত হবে ও আপনার কমতে থাকবে।

পেজ সুচিপত্র

বিএমআই চার্ট দেখে আদর্শ ওজন জানতে হবে

ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে বি এম আই চাট দেখে একটা নোট খাতায় তারিখ দিয়ে  আদর্শ ওজন লিখে রাখতে হবে । আদর্শ ওজন থেকে যতটুকু ওজন বেশি সেটুকু কমাতে হবে । ওজন করার সময় প্রতিদিন একই রকমের কাপড় পরে থাকলে ভাল হয়। যেন কাপড়ের ওজনের কারনে দেহের ওজন কম বেশি না হয়।

আরও পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও সতর্কতা গুলো কি কি 

প্রতিদিন একই নিয়মে ওজন করতে হবে এবং ঔ খাতায় তারিখসহ লিখে রাখতে হবে। কি পরিমানে ওজন কমছে তা যেন দেখে আপনি বুঝতে পারেন। যদি আপনার বর্তমান ওজন ৮০ কেজি হয়, বিএমআই  চার্ট অনুযায়ি আদর্শ ওজন ৬৫।তাহলে আপনাকে  ওজন কমাতে হবে ১৫ কেজি। অর্থাৎ আপনাকে দ্রুত ১৫ কেজি ওজন কমানোর প্লান করতে হবে।

ওজন কমানোর জন্য বিজ্ঞানসম্মত  খাদ্য তালিকা 

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকায় একটা পরিবর্তন আনতে হবে। যেটা হতে হবে পুষ্টি বিজ্ঞান সম্মত। 

আরো পড়ুনঃ নিমপাতা ব্যবহারের উপকারিতাগুলো কি কি 

ওজন কমানোর জন্য প্রথম কাজটি হল খাদ্য - খানা নিয়ন্ত্রণ করা। খাদ্য - খানা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এরকম একটা খাদ্য তালিকা উপস্থাপন করা হলো। নিম্নের খাদ্য তালিকা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

সকালের নাস্তা

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় পড়ুন। সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যে নাস্তা করে নিতে হবে । সকালের নাস্তায় যা থাকবে, একটা রুটি, এক বাটি সবজি অথবা ওথ ও একটা ডিম সাথে থাকতে পারে একটা আপেল বা কলা। মন চাইলেও বেশি খাওয়া যাবে না।কথায় বলে খাওয়া কন্ট্রোল তো হেল্‌থ কন্ট্রোল। 

মিড মর্নিং নাস্তা

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খাবারের নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। মিড মর্নিং নাস্তা থাকবে একটা কমলা অথবা একটি কলা অথবা একটি আপেল অথবা তিনটি খেজুর। একটু কষ্ট হলেও নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

দুপুরের খাবারের তালিকা

দুপুরের খাবারের তালিকায় যা রাখতে হবে, এক কাপ ভাত বা রুটি তার সাথে এক বাটি সবজিে,এক পিস মাছ অথবা দুই পিস মাটন অথবা দুই পিস চিকেন সাথে থাকতে পারে ডাল ও ভেজিটেবল। আপনি যদি মনে করেন ওজন কমাতে হবে তাহলে এই খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে।

সন্ধ্যার নাস্তা 

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায়। দ্রুত ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য সন্ধ্যার নাস্তায় যা খাবেন টা হোল এক গ্লাস দুধ অথবা একটা ডিম অথবা একটা কেক। একটু কষ্ট হলেও ওজন কমানোর জন্য মেনে নিতে হবে।

রাতের খাবার বা ডিনার

ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার বা ডিনারের জন্যএকটি রুটি এক বাটি সবজি সাথে একটা ডিম অথবা এক পিচ মাছ খাব।এইভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খাদ্য গ্রহন করলে ওজন কমবেই। 

কিছু কিছু নাস্তা বর্জন করতে হবে

দ্রুত ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য কিছু কিছু নাস্তা বর্জন করতে হবে। এই নাস্তাগুলো প্রতিদিন খেতে থাকলে মেদ - ভুঁড়ি বেশি হয়ে ওজন যাবে।

আরও পরুনঃ সজনে পাতার উপকারিতাগুলো কি কি 

স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এধরনের নাস্তাগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে। নাস্তাগুলো হল মিষ্টি জাতীয় বিস্কুট, মিষ্টি খাদ্য,  সিঙ্গারা, পুরি, পিয়াজু, ফাস্টফুড ইত্যাদি।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চা খেতে হবে

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো বিজ্ঞানসম্মত উপায় চা খেতে হবে। চায়ে চিনি ও দুধ খাওয়া যাবে না। চিনি ছাড়া চা প্রথম প্রথম ভালো লাগবে না , তিতা মনে হবে। কয়দিন খেলে অভ্যাস হয়ে যাবে তখন চিনি ছাড়াই চা ভালো লাগবে।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চা খেতে হবেগ্রিন টি ওজন কমাতে সহায়তা করে। গ্রিন টি অথবা লাল চা খেতে হবে। চা খুব বেশি গরম খাওয়া উচিত নয় । মিডিয়াম গরম চা খাওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য যে চিনি বা দুধ খেলে মেদ বাড়বে আর গ্রীন টি ও লাল চা খেলে ওজন কমবে।

ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো  

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় এর মধ্যে আরও একটি অন্যতম উপায় হল ফাস্টফুড ও কোমন পানীয় না খাওয়া। ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফাস্ট ফুড ও কোমল

আরও পড়ুনঃ কম পুঁজিতে টাকা আয় করার জন্য লাভজনক ব্যবসার ধারনা 

পানীয় পরিহার করা উচিৎ। এগুলোতে প্রচুর ফ্যাট থেকে যা আমাদের শরীরকে স্থুলো করে দেয় । ফাস্ট ফুড বা কোমল পানীয় যত কম খাওয়া হবে  শরীর তত সুস্থ থাকবে আস্তে আস্তে ওজন কমে যাবে ।

প্রোটিন জাতীয় খাবার কম খেতে হবে

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এই খাবারগুলো খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। এই খাবারগুলো পরিমিত পরিমাণে খেলে শরীর - স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ওজন কমিয়ে আপনি থাকবেন প্রানবন্ত ও ফুরফুরে মেজাজের।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে   

শরীর সুস্থ রাখার জন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খুব বেশি দরকার হয় না। আবার  এই খাবার বেশি পরিমানে খেলে শরীর খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যায় । তাই আমরা পরিমিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেয়ে শরীর সুস্থ রাখব ।

বেশি করে পানি পান করতে হবে

আমাদের শরীরের প্রায় সত্তর শতাংশ পানি । তাই পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে যাতে করে আমাদের শরীরের ভেতরে জৈব ক্রিয়া সম্পন্ন করে টক্সিন জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের হয় এবং স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখে ।

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন কমানো। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে।বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম হতে পারে যেমন দড়ি নাচ, দৌড়াদৌড়ি, সাঁতার কাটা, যৌগব্যায়ম, নিয়মিত খেলাধুলা ইত্যাদি।

নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবেএমন ব্যায়াম করতে হবে যেন শরীর থেকে ঘাম ঝরে। এই ধরনের পরিশ্রমূলক ব্যায়ামগুলো শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ ঘামের মাধ্যমে বের করে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরিমাণ মতো খেতে হবে ও কাইক পরিশ্রম করে ওজন কমাতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে

দ্রুত ওজন কমানোর আরো একটি সহজ উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাতের বেলায় ঘুমানো। স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমাতে। দিনের বেলায় ঘুমালে ওজন বেড়ে যেতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনন্দিন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো দরকার।

ঘুম কম হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন  টেনশন বেড়ে যেতে পারে , হজম ঠিকমত না হতে পারে, শরীর মন ফ্রেশ থাকে না । এতে করে স্বাস্থ্য বেড়ে যেতে পারে । তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে মানসিক এবং শারিরীক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

পরিশেষ

দ্রুত ওজন কমানোর ১০ টি সহজ উপায় সম্পর্কে ইতোমধ্যে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জেনে গেছেন।  ওজন কমাবো এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । খাবার  নিয়ন্ত্রণ করে কায়িক পরিশ্রম বাড়ানোর মাধ্যমে শরীর  স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে হবে  । এমন খাবার খাওয়া যাবে না যেটা স্বাস্থ্যকে আরো স্থুল করবে। লক্ষ করুন উপরের  ছবিতে স্বাস্থ্যবতি ছিল, নিয়ম কানুন মেনে ব্যায়াম করে শেষের ছবিতে হয়েছে রুপবতি।

শেষকথা ওজন কমান সুস্থ থাকুন। আমি বলতে চাই ওজন কমিয়ে আদর্শ ওজন অর্জনের মাধমে সুস্থতার সহিত বাঁচতে হবে। ওপরের সবকিছু মেনে স্বাস্থ্য বা ওজন কমানোর যুদ্ধে আমার সাথে আপনারাও আছেন তো । মনে রাখবেন শরীর ফিট তো আপনি হিট ।আশা করি দ্রুত ওজন কমানোর দশটি সহজ উপায় আপনাদের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য উপকারে আসবে। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। ধন্নবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url