গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আজকের আর্টিকেলে বিষয়বস্তু। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস ও দ্বিতীয় তিন মাস সম্পর্কিত আর্টিকেল দুটি পড়ে গর্ভাবস্থায় সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়েছেন। আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করবো প্রেগনেন্সির থার্ড টামিস্টার সম্পর্কে।
আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে আপনি গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে (২৯ সপ্তাহ থেকে ৪০ সপ্তাহ) কি কি করনীয়? কি কি বর্জনীয়? গর্ভে বাচ্চার গ্রোথ ঠিক আছে কিনা? বাচ্চা ডেলিভারির প্রস্তুতি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
পেজ সুসিপত্র
আপনার (গর্ভবতীর) অনুভূতি কেমন
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব তৃতীয় তিন মাসে গর্ভবতীর অনুভূতি সম্পর্কে।
আস্তে আস্তে আনন্দ আরো ঘনীভূত হচ্ছে। আপনিও ধীরে ধীরে সন্তান প্রসবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো গর্ভকালীন সময় পরিপূর্ণ করে আর কিছুদিন পরেই আপনি মা হবেন।
দ্বিতীয় তিন মাসের সময় যে সকল সমস্যাগুলো অনুভব করেছিলেন তৃতীয় তিন মাসেও ঐ একই রকমের সমস্যাগুলো অব্যাহত থাকতে পারে। আপনার গর্ভে সন্তান বড় হচ্ছে তার বেশি পরিমাণে জায়গা দরকার হচ্ছে।
গর্ভে বাচ্চা বড় হওয়ার কারণে পেটের আশেপাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপরে চাপ বাড়ছে। এ থেকে পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় গর্ভে আপনার সন্তান সুস্থ আছে ও ভালো আছে। এতে করে প্রস্রাবের চাপ বাড়তে পারে।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসের লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা জেনে নিব গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসের লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাস ও তৃতীয় তিন মাসের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো প্রায় একই।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাসে করর্নীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা।
তৃতীয় তিন মাসে কিছু কিছু লক্ষণ কমে যেতে থাকে আবার কিছু কিছু লক্ষণ প্রকট আকারে দেখা দিতে পারে। তৃতীয় তিন মাসের লক্ষণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট যেতে পার,
- বুক জ্বালাপোড়া বেশি হতে পারে,
- ব্লিডিং হতে পার,
- নাভি বিস্তৃত হয়ে যেতে পারে,
- ঘন ঘন প্রস্রাবের ভাব হতে পারে,
- স্তন নরম নরম হয়ে যাবে,
- তলপেটে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে,
- ঘুমের সমস্যা হতে পারে,
- শ্রেণীতে ও উরুতে ব্যথা বাড়তে পারে,
- ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে,
- শরীর বেশি ফুলে যেতে পারে,
- আঙ্গুল, মুখ ও পায়ের গোড়ালি ফুলে যেতে পারে,
- বমির ভাব বা বমি কমে যায়,
গর্ভাবস্থায় উল্লেখিত সমস্যাগুলো বেশি পরিমাণে অনুভূত হলে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নিতে হবে।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসের মাসিক লক্ষণ
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসের লক্ষণ সমূহ কি কি সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়।
তিনটি গর্ব অবস্থায় লক্ষণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একরকম হয় না। তবে কিছু কিছু প্রায় একই রকম মনে হতে পারে। গর্ভাবস্থায় তৃতীয় তিন মাসের মাস ওয়াইজ লক্ষণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- সপ্তম মাস ঃ গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে শরীরের বিভিন্ন অংশ রস ধরে বা ফুলে যায়, যেমন - মুখ, হাত ও পা।
- অষ্টম মাস ঃ গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে গর্ভবতী মহিলার নড়াচড়া একটু কমে যায়, চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় এবং মুখে দাগগুলো বেশি অনুভূত হয়।
- নবম মাস ঃ গর্ভাবস্থায় নবম মাসে মাঝেমধ্যে বা নিয়মিত লেবার পেন হয়। কোমরে ও পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। এ সময় সন্তান প্রসবের রাস্তার দিয়ে অনেক সময় পানি চলে আসে যা সন্তান প্রসবের সময় হয়েছে এমনটি বুঝায়।
গর্ভবতী মায়ের যত্ন
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব তৃতীয় তিন মাসে গর্ভবতী মায়ের যত্ন সম্পর্কে। আপনার গর্ভধারণের নয় মাস পূর্ণ হয়েছে অর্থাৎ আপনার শিশুটি গর্ভে পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছে গেছে।
শিশুর পুরোপুরি বিকাশ ও বৃদ্ধি হয়েছে। এতে করে আপনার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ বেড়ে যেতে পারে। অস্বস্তি বোধগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন ও নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলুন।
- অতিরিক্ত বুক জ্বালাপোড়া করলে খাদ্য অভ্যাস ও শরীর চর্চা পরিবর্তন করুন, ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন। এন্টাসিড জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
- ঘুম কম হলে অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে সেজন্য ন্যাচারালি বিভিন্ন উপায়ে ঘুমের চেষ্টা করুন। ঘুম ঠিক রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
- পা বা পায়ের গোড়ালি বেশি পরিমাণে ফুলে গেলে শুয়ে থাকা অবস্থায় নিচে বালিশ দিয়ে রাখুন, পা ঝুলিয়ে বসা থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভাবস্থায় কি ধরনের খাবার খাবেন
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব গর্ব অবস্থায় তৃতীয় তিন মাসে গর্ভবতীর কি ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে।
একজন গর্ভবতী মা নিজেকে ক্লান্ত না করে নিয়মিত হালকা শরীর চর্চা করবেন এবং পুষ্টিকর ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাবেন, যাতে করে গর্ভের সন্তান পুরোপুরি সব ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম জিংক ও আয়রণসহ ভিটামিন পায়।
আরো পড়ুনঃ মধুর গুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।
প্রথম ও দ্বিতীয় তিন মাস অপেক্ষা তৃতীয় তিন মাসে বেশি পরিমাণে (৪০০ ক্যালোরি) ক্যালরির প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী মায়ের নিম্নোক্ত খাবার গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
- ভাত,
- রুটি,
- কলা,
- সুজি,
- পেয়ারা,
- বাদাম,
- দই,
- পনির,
- মাখন,
- দুধ,
- ডিম,
- মাছ,
- মাংস,
- ভিটামিন যুক্ত সকল খাবার,
- সকল ধরনের সবজি,
- রুচি সম্মত সকল খাবার। ইত্যাদি।
আপনার সন্তানের বৃদ্ধি কি ঠিকমতো ঘটছে
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা জেনে নিব গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে সন্তানের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও সতর্কতা।
গর্ভের সন্তান বিকাশের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন গর্ভাবস্থায় থেকে আলোতে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। তৃতীয় তিন মাস ও শিশু জন্মের মাঝখানে যে বিষয়গুলো ঘটে সেগুলো নিম্নরূপ-
- হাড় শক্ত হতে শুরু করে,
- মাথায় অল্প অল্প করে চুল গজাতে শুরু করে।
- চোখ আলোর পরিবর্তন বুঝতে পারে,
- একটু জরালো ভাবে লাথি মারতে পারে,
- হাতের মুষ্টি খুলতে পারে বা ধরতে পারে,
- শরীর প্রসারিত করতে পারে,
- মস্তিষ্ক, ফুসফুস ও স্নায়ুতন্ত্রের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে,
- অঙ্গগুলো পুষ্ট ও গোলাকার হতে শুরু করে,
- রক্ত সংবহনতন্ত্র সম্পূর্ণ ভাবে গঠিত হয়ে থাকে,
- সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রয়োজন অনুসারে চর্বি যুক্ত হয়ে থাকে,
- পেশিগুলো সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়ে যায়। ইত্যাদি।
ভ্রূণের বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম-বেশি হতে পারে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে তৃতীয় তিন মাসের শুরুতে গর্ভে সন্তান প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার বা ১৪ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং ওজন হয় প্রায় ১ থেকে ২ কেজি বা ২ থেকে ৪ পাউন্ড।
আপনি যখন সন্তান ডেলিভারি বা প্রসব করবেন তখন আপনার নবজাতক শিশু প্রায় ৪৬ থেকে ৫১ সেন্টিমিটার বা ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি লম্বা হবে আর ওজন হবে প্রায় ৩ কেজি বা ৭ পাউন্ড।
যেসব বিষয়ে গর্ভবতীকে খেয়াল রাখতে হবে
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীকে যে সকল বিষয়ে খেয়াল রেখে চলতে হবে সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পেটের বাম পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ।
একজন গর্ভবতী মাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে এবং যে কোন সমস্যা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
- হঠাৎ করে বেশি পরিমাণে ফুলে গেলে,
- গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়া হঠাৎ কমে গেলে,
- অতিরিক্ত বিল্ডিং হলে,
- মাথা ব্যাথার পাশাপাশি চোখের সামনে আলোর ঝিলিমিলি দেখা গেলে,
- পানি ভেঙ্গে যাচ্ছে অথচ প্রসব বেদনা নেই এমন অবস্থায় সৃষ্টি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে,
- এসময় ফলস পেইন দেখা দিতে পারে, এঅবস্থায় ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে,
- বাচ্চার পজিশন ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাম করা।
গর্ভাবস্থায় করণীয় কি
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় করনীয় বা তৃতীয় তিন মাসে কি কি করা যায় সে বিষয়ে সম্পর্কে।
- একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- সব সময় টাটকা ফলমূল ও পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত।
- অতিরিক্ত ক্যালরি যোগানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কিচমিচ, খেজুর, বাদাম খাওয়া উচিত।
- ধর্মীয় চর্চা বেশি বেশি করা উচিত।
- দিনে কমপক্ষে দু'ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে।
- গর্ভবতী মাকে দৈনিক কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে
গর্ভাবস্থায় বর্জনীয় কি
গর্ভাবস্থায় তৃতীয় তিন মাসে করনীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা সমূহ আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় বর্জনীয় বা কি কি কাজ বর্জন করা উচিত সে সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় নিম্নোক্ত কাজগুলো বর্জন করা উচিত।
- দূরের জার্নি একেবারেই করা উচিত নয।
- ভার উত্তোলন বা ভারী কাজ একেবারেই করা উচিত নয়।
- দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়।
- লবণ ও বেশি লবণযুক্ত খাবার বর্জন করা উচিত।
- এ সময় জাগালো অতিরিক্ত তৈলাক্ত কেবিনযুক্ত খাবার বর্জন করা উচিত।
- অতিরিক্ত শর্করা বা মিষ্টি যুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
- কাঁচা বা আধা সিদ্ধ শাক-সবজি বর্জন করা উচিত।
গর্ভকালীন চেকআপ
একজন গর্ভবতী মাকে পুরো গর্ভকালীন সময়ে কম পক্ষে ৪ বার চেকআপ করানো উচিত।
- গর্ভবতী হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ১ম চেকআপ করাতে হবে।
- গর্ভের ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় চেকআপ করাতে হবে।
- গর্ভের ৮ মাস হলে তৃতীয় চেকআপ করাতে হবে।
- গর্ভের ৯ মাস পূর্ণ হলে চতুর্থ চেকআপ করাতে হবে।
ফলস লেবার পেইন
গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে কখনো কখনো ব্যথা অনুভব হতে পারে। এই ব্যথা সত্য বা মিথ্যা প্রসবের উপসর্গও হতে পারে। এই মিথ্যা প্রসব বেদনাকেই ফলস লেবার পেইন বা ব্রাক্সটন হিক্স বলা হয়।
ব্রাক্সটন হিক্স এর নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই। এই সমস্যা দেখা দিলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
- একটু পানি পান করতে পারেন।
- শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন অর্থাৎ শুয়ে থাকলে বসতে পারেন, বসে থাকলে শুতে পারেন।
- একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন।
- বই পড়তে পারেন।
- খোঁশ গল্প করে ব্যথা ভোলার চেষ্টা করতে পারেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করো যদি ব্যাথা না কমে বা ঘন ঘন ব্যথা করতে থাকে তাহলে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডেলিভারি বা প্রসব হয়ে যাওয়া
সন্তান ডেলিভার বা প্রসব হওয়ার সময়টা অত্যন্ত কষ্টকর। এ সময় আপনি তলপেটে সংকোচনসহ প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবেন। বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েরা সন্তান প্রসব করেন গর্ভাবস্থার ৩৮ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে।
জরায়ুর পেশী নিয়মিত সংকোচনের ফলে ঋতুস্রাবের মত বোধ হয় সাথে তীব্র যন্ত্রণা থাকে। এসময় আরো কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন -
- জরায়ুর পেশী সংকোচনের ফলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
- নিজেকে হালকা বোধ মনে হয়।
- বাচ্চা ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে।
- গোলাপি রঙের স্রাব ভাঙতে থাকে।
- ঝিল্লি ফেটে গিয়ে পানি ভাঙ্গা শুরু হয়।
লেখকের কথা
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।
আর যদি আর্টিকেলটি শেয়ার করে দেন তাহলে অন্যরা উপকৃত হবে। মা হওয়ার জার্নিতে আপনাকে ধন্যবাদ। সদ্যপসূত সন্তান ও প্রসূতি মা উভয়েই সুস্থ থাকবেন, সুস্বাস্থ্য থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
তথ্যগুলো সংগৃহীত
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url