অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। লবণ খাবারের স্বাদ বাড়াতে একটা প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য উপাদান। খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি হলে খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায় তেমনি লবণ বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন লবণ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে, খাবার লবনের নাম কি? একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত? এই খাবার লবনই দেহের সোডিয়াম পটাশিয়াম এর সমতা রক্ষা করে অর্থাৎ ইলেকট্রোলাইটেসর ব্যালেন্স করে, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।

সুচিপত্র

লবণ কি বা লবণ কাকে বলে

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬ টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় আমরা প্রথমেই জেনে নিবো লবণ সম্পর্কে অর্থাৎ লবণ কি?বা লবণ কাকে বলে? সে সম্পর্কে। মূল আলোচনা টেবিল সল্ট বা খাবার লবণ নিয়ে। এ লবণ দানাদার ও সাদা বর্ণের হয়।
লবণ হলো একটি রাসায়নিক যৌগ যা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) দ্বারা গঠিত। এই লবণগুলে প্রাকৃতিক খনিতে পাওয়া যায় আবার সামুদ্রের পানিতেও পাওয়া যায়। লবণগুলো আয়োডিন যুক্ত হওয়া উচিত। লবণ বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন - 
  • নৃণ,
  • নুন,
  • নিমক,
  • লবণ,
  • লবন,
  • লোনা,
  • খাবার লবন,
  • টেবিল সল্ট,
  • খনিজ লবণ,
  • হ্যুলাইট, ইত্যাদি।
নাম যেটাই হোক লবণের স্বাদ কিন্তু একটাই, সেটা হলো নোনতা।

দৈনিক কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত

দৈনিক কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত এ আলোচনায় আমরা কয়েকটি গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণে যে নির্ধারিত পরিমান নিরধারণ করা হয়েছে সেগুলো আলোচনা করব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ১ চা চামচ বা ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন ঃ ফেক্সো ১২০ এর কাজ খাওয়ার নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দাম ও সর্তকতা।

সংস্থাটির তথ্য মতে একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৩১০ মিলিগ্রাম লবণ গ্রহণ করে যা ডব্লিউএইচও এর নির্ধারিত মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। সংস্থাটির নির্ধারিত সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা হলো দিনে দুই হাজার মিলিগ্রামের কম যা প্রায় পাঁচ গ্রাম লবণের সমান।

প্রতিদিন কোন বয়সে কতটুকু লবণ খাওয়া যেতে পারে তার একটা তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো।

বয়স - লবণের পরিমাণ - 
  • ১ থেকে ৩ বছর - ২ গ্রাম প্রতিদিন,
  • ৪ থেকে ৬ বছর - ৩ গ্রাম প্রতিদিন,
  • ৭ থেকে ১০ বছর - ৫ গ্রাম প্রতিদিন,
  • ১১ বছর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক - ৫ গ্রাম প্রতিদিন বা ১ চা চামচের একটু কম,
  • ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের  - ১ গ্রামের কম প্রতিদিন।
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএস এর তথ্য অনুযায়ী
১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের লবন না খাওয়াই ভালো। কারণ এদের কিডনি সুসংঘটিত থাকে না বিধায় তারা লবণ হজম ও শোষণ করতে পারে না।

১.লবণ কম খাওয়া ক্ষতিকর

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১ ৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব লবণ কম খেলে শরীরের কি ধরনের ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। লবণ শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান।

আরো পড়ুন ঃ আক্কেল দাঁত কি? আক্কেল দাঁত কেন উঠে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে লবণ কম খাওয়া ক্ষতিকর। সংস্থাটির মতে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে লবণ কম খেলে দেহের নিম্নোক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে ব্যাহত হয়, এমনকি মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে।
প্রয়োজনের তুলনায় লবণ কম খেলে -

  • শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালেন্স ঠিক থাকে না,
  • স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে ব্যহত হয়,
  • পেশির-সংকোচন প্রসারণ ব্যহত হয়,
  • কোষে প্লাজমার ঘনত্ব ঠিক থাকে না,
  • দেহের অ্যালকালির মাত্রা বজায় থাকে না, 
  • কোষের সঠিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়,
  • দেহে পানির সমতা বজায় থাকে না।

২.অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা জেনে নিব লবণ খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি সে সম্পর্কে। লবণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক
অতিরিক্ত পরিমানে খেলে স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ বা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ মতে অতিরিক্ত লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ বাড়তে পারে, পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে, হতে পারে অস্টিওপোরোসিস। মাত্রাতিরিক্ত লবণ সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো নিম্নে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো।

৩.ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্ত চাপ বাড়ে সে সম্পর্কে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে  দেখা গেছে যে,

আরো পড়ুন ঃ ঢেঁকি চাটা লাল চাল এর পুষ্টিগুণ উপকারিতা।

অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে, ফলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে। বেশি লবন খাওয়ার কারণে ঔষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং প্রেসার অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হতে পারে।

৪.পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব বেশি পরিমাণে লবণ খেলে পাকস্থলীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে সম্পর্কে।

আরো পড়ুন ঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে এই লবণের কারণে পাকস্থলীর গাত্রে এক ধরনের আলসার বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়।এই ক্ষত বা আলসারর পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে ফলে পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

৫.অস্টিওপোরোসিস হতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত লবণ তথা সোডিয়াম হাড়ের

আরো পড়ুন ঃ মাটির পাত্রে পানি রেখে পান করলে মিলবে ১৪ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ক্যালসিয়াম শোষণ কমিয়ে দেয়। এই ক্যালসিয়ামগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং হাড়গুলোকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে ফেলে। যার কারণে হাড়গুলোতে দিনে দিনে  অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।

৬.হার্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খেলে হার্টের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিকঅতিরিক্ত লবণ রক্তের ঘনত্ব বাড়ায়, শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ব্লাডের ঘনত্ব বেশির কারণে হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭.শরীরে পানি ধরে রাখ

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব বেশি পরিমাণে লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখে সে সম্পর্কে। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে এই লবণগুলো

শরীরের খসে খসে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে, ফলে শরীর ফুলে যায় এবং ফুলা ফুলা ভাব মনে হয়। সে জন্য অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করুন শরীর সুস্থ রাখুন।

৮.ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব মাত্রাতিরিক্ত লবণ সেবনে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে।

ডায়াবেটিস বাড়ার মূল কালপিট হল সুগার বা গ্লুকোজ বা শর্করা! বেশি পরিমাণে লবণ খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেড়ে যেতে পারে।

৯.মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব লবণ বেশি খেলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত সোডিয়াম ও গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম শোষণ ব্যহত হয়ে যেতে পারে পরে ফলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

১০.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় এবং রোগ প্রত প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ বেড়ে যেতে পারে।

১১.ইউরিনে সমস্যা হতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম গ্রহণের ফলে ইউরিনের বা মূত্রের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কারনে মূত্রের ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে, মূত্রথলিতে পাথর হতে পারে, মূত্রনালীর ইনফেকশন হতে পারে এমনকি কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে।

১২.ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খেলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই লবণগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। ফলে অ্যালার্জি হতে পারে, ত্বকে দাউদ বা রেস হতে পারে এমনকি একজিমার মতো রোগ হতে পারে।

১৩.গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খেলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে ফলে পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হতে পারে। অতিরিক্ত লবণ কাপ পরিহার করুন শরীর সুস্থ রাখুন

১৪.শরীরের স্থূলতা বেড়ে যেতে পারে 

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে শরীরের স্থূলতা বেড়ে যেতে পারে অর্থাৎ শরীর মোটা হয়ে যেতে পারে। শরীর শুস্ক হয়ে যেতে পারে, অ্যাজমা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।

১৫.যে সকল খাবারে  অতিরিক্ত লবণ থাকে

খাবারের স্বাদ বাড়ায় লবণ। আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি একটি উপাদান, যার অভাবে আমাদের শরীর সঠিকভাবে ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন করে না কিন্তু লবণ বেশি হলে আবার নানান রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এখন আমরা জেনে নেব যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে। যেমন -
  • পিজা,
  • মশলা বা লবণ দেওয়া বাদাম,
  • বিভিন্ন প্যাকেট জাত খাবার,
  • সস,সসেজ,
  • রুটি,
  • কেচাপ,
  • হোটেল রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের খাবার,
  • সয়াসস,
  • স্যুপ,
  • ফাস্টফুড,
  • টিপস,
  • কুকিজ,
  • ডিম,
  • ডিম ভাজি,
  • অমলেট,
  • সলটেড বিস্কুট,
  • টেস্টিং সল্ট। ইত্যাদি।

আমরা সকলেই মনের অজান্তে এই খাবারগুলো খেয়ে নিই, ফলে শরীরের লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

সূত্র ঃ সিডিসি, ইউকে।

১৬.অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমাতে যা করা উচিত 

অতিরিক লবণ খাওয়া কমানো খুবই জরুরি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শুধুমাত্র মুখের স্বাদ এতে বাড়তি কোনো উপকার হয় না। পুষ্টিবিদ তাসনিম বলেন অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমানোর জন্য

আমাদের সকলকেই প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়া জাত মুখরোচক খাবার পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমানোর জন্য বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানী ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক কিছু পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ।

  • বাসায় রান্না করার সতেজ খাবার খেতে হবে, যে খাবারে ইচ্ছামতো লবণের পরিমাণ কমানো যায়।
  • সকল প্যাকেট জাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • খাবারের টেবিলে লবণ রাখা যাবে না।
  • বাদাম, চিপস বা এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার সময় লবণ পরিহার করতে হবে।
  • খাবারে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্যসম্মত মসলা (মরিচ, গোল মরিচ, রসুন, লেবুর রস ইত্যাদি) ব্যবহার করে লবণের ব্যবহার কমাতে হয়।
  • ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, চিপস, পাউরুটি ইত্যাদি দিনে দিনে লবণ ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
  • নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে পাতে লবণ খাওয়া পরিহার করুন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে এতক্ষণে আপনারা লবণ কম খাওয়ার ক্ষতিকর দিক ও লবণ বেশি খাওয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। লবণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা উপাদান,  বা যায়, যার প্রভাবে আমাদের শরীর সচল থাকে।

আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন। আজকের এই নেখা সম্পর্কিত কোন মতামত থাকলে কমেন্টস বক্সে জানানোর অনুরোধ রইল। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমাণ মতো লবণ খান  সুস্থ থাকুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url