পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। পেঁপে বহু গুনে গুণান্বিত, উপকারী এবং অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল ও সবজি। পেঁপে এমন একটি ফল যা কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁচা বা পাকা উভয় অবস্থাতেই পেঁপে মানব দেহের জন্য উপকারী।
পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন পেঁপের পুষ্টিগুণ, পেঁপের উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া নিরাপদ কি না? মানবদেহে পেঁপের অপকারিতা, কাঁচা পেঁপে নাকি পাকা পেঁপে, কোন ধরনের পেঁপের পুষ্টিগুণ বেশি, এ ধরনের সকল‌ বিষয় সম্পর্কে। উক্ত বিষয়গুলো জানার জন্য অনুগ্রহ নিচের দিকে পড়ুন।
পেজ সূচীপত্র

পেঁপের পরিচিতি

পেঁপের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে যেনে নেওয়া দরকার পেঁপের পরিচিতি সম্পর্কে। পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবজি ও পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁচা পেঁপে গাঢ় সবুজ বর্ণের হয় ও পেকে গেলে হলুদ বা কমলা বর্ণ ধারণ করে।

পেঁপের উপরের দিকে একটু সরু ও নিচের দিকে একটু মোটা হয়। এর ভিতরে কালো রঙের ছোট ছোট বিচি থাকে। অঞ্চলভেদে পেঁপে গুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত। পেঁপের আঞ্চলিক নাম গুলো নিম্নরূপ -

  • পাপাইয়া,
  • আরানড খরবুষা,
  • অমৃততুম্বি,
  • হুঁইয়া। ইত্যাদি।

পেঁপের পুষ্টিগুণ

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি ও ফল। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের নাম ও পুষ্টির পরিমাণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুন ঃ শিমের পুষ্টিগুণ ও পনেরোটি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে রয়েছে

  • খাদ্যশক্তি বা এনার্জি - ৩২ কিলোক্যালরি, 
  • আমিষ  - ০.৬ গ্রাম,
  • স্নেহ  বা ফ্যাট - ০.১ গ্রাম,
  • খনিজ পদার্থ - ০.৫ গ্রাম,
  • ফাইবার বা আঁশ - ০.৮ গ্রাম,
  • শর্করা - ৭.২ গ্রাম,
  • ভিটামিন সি - ৫৭ মিলিগ্রাম,
  • পটাশিয়াম - ৬৯ মিলিগ্রাম,
  • সোডিয়াম - ৬ মিলিগ্রাম,
  • আয়রন - ০.৫ মিলিগ্রাম,
  • ভিটামিন এ,
  • ভিটামিন বি১,
  • ভিটামিন বি২,
  • ভিটামিন বি৬,
  • ভিটামিন বি৯,
  • ভিটামিন ডি,
  • ভিটামিন ইং,
  • ক্যালসিয়াম,
  • পটাশিয়াম,
  • আয়রণ,
  • পেপসিন,
  • অ্যালবুমিন,
  • পাপাইন এনজাইম,
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
  • কায়মোপাপাইন এনজাইম। ইত্যাদি।

১.গর্ভাবস্থায় পেঁপে নিরাপদ কি না

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব পেঁপে গর্খাভাবস্থায় খাওয়া নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে। পেঁপে অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি ও ফল। তবে এই ফলটি গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে খুব বেশি নিরাপদ নয়।

আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করনীয় বর্জনীয় ও নির্দেশকা।

গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে পেঁপে খেলে জরায়ু সংকোচন বেড়ে যেতে পারে। এতে করে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ হতে পারে, গর্ভস্থ বাচ্চার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে। এই সমস্যাগুলো এড়ানোর জন্য গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে না খাওয়াই উত্তম।

সুত্র ঃ ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস।

২.পেঁপের যত উপকারিতা

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব পেঁপের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে। পেঁপে এমন একটি খাদ্য যা কাঁচা বা পাকা যেভাবে খাওয়া হউক কেন মানব শরীরে এক উপকারিতা অনেক।

পেঁপের যত উপকারিতা

পেঁপেতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান ও এনজাইম রয়েছে যার কারণে আমাদের শরীরে এত বেশি উপকার করে থাকে। পেঁপের ঔষধিগুনের পাশাপাশি রয়েছে কিছু ভেষজগুণ। পেঁপের বিভিন্ন উপকারিতাগুলো ধারাবাহিকভাবে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

৩.পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সে সম্পর্কে। গবেষনা লব্ধ,ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে পেঁপে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আরো পড়ুন ঃ লাউয়ের পুষ্টিগুণ ও ১৫ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন প্রকারের মিনারেল যেগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়া উচিত।

৪.চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখে পেঁপে

পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন। যেগুলো আমাদের চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চোখকের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং চোখের গ্লুকোমা দূর করে।

আরো পড়ুন ঃ লাল শাকের পুষ্টিগুণ ও ১৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।

যে সমস্ত লোকদের রাতে দেখতে সমস্যা হয় অর্থাৎ রাতকানা রোগ আছে বলে মনে করেন তারা নিয়মিত পেঁপে খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত পেঁপে খেলে দৃষ্টি সমস্যা যাবে চলে।

৫.বাত ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে  শরীরের বাত ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে সে সম্পর্কে। পেঁপেতে তে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি এজেন্ট।

আরো পড়ুন ঃ ফুলকপির পুষ্টিগুণ ও ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

পেঁপেতে বিদ্যমান পাপাইন নামক এক ধরনের এনজাইম। যা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি শরীরের বিষ-ব্যথা ভালো হয়। এছাড়াও কেটে গেলে, পুড়ে গেলে বা আঘাত পেলে পেঁপে পাতা পেস্ট করে লাগালে স্বস্তি পাওয়া যায়।

৬.পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সে সম্পর্কে। পেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার ও আঁশ।

পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেযেগুলো আমাদের খাবারগুলো হজম করতে সহায়তা করে। পেঁপেতে বিদ্যমান পাপাইন নামক এনজাইম পাকস্থলীতে আমিষ হজমে সহায়তা করে, ফলে কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও মল ত্যাগে স্বস্তি ফিরে।

৭.ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে পেঁপে। বিশেষ করে কাঁচা পেঁপে ওজন নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট কার্যকরী। পেঁপেতে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি হলেও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম।

যার কারনে শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি জমতে পারে না কারণে দেহের আনিস বা কার ঘরে খুব দ্রুত ডাইরেক্ট হতে সহায়তা করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৮.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

কাঁচা পেঁপে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাঁচা পেপে বা কাঁচা পেঁপের জুস প্রতিনিয়ত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় পাশাপাশি ইনসুলিন এর পরিমাণ বাড়ে ও এর এক্টিভিটিস ত্বরান্বিত হয়।

যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা প্রতিদিন নিয়মিত ও পরিমাণমত কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাছে পেঁপে না খাওয়াই ভালো কাজ হবে বেঁধে সুগার থাকে।

৯.ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে সে সম্পর্কে। গবেষণায় দেখা গেছে যে,

পেঁপে খেলে রক্তের সরবরাহ ঠিক থাকে। ব্লাডে জমে থাকা সোডিয়াম নিঃসরণে সহায়তা করে যা হার্টের রোগের জন্য দায়ী নিয়মিত পেঁপে খেলে ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে।

১০.কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে 

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব পেঁপে কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে সে সম্পর্কে। কাঁচা পেঁপে, পেঁপের রস ও কচি পেঁপের বিচি খেলে কৃমির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

১১.মুখ ও দন্ত রোগের জন্য উপকারী

মুখ ও দন্ত রোগের জন্য পেঁপে বেশ উপকারী। পেঁপেতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি যেগুলো

মুখের রোগ ভালো করে, মাড়ির স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে, হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও পেঁপেতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠনকে মজবুত করে।

১২.হজম বৃদ্ধি করে পেঁপে

হজম বৃদ্ধি করতে পেঁপে তুলনাহীন। পেঁপেতে রয়েছে পাপাই নামক এনজাইম ও পেপসিন যেগুলো খাদ্য গ্রহণের পরে খাদ্যগুলোকে হজম করতে সহায়তা করে।

কাঁচা পেঁপে বা কাঁচা পেঁপের জুস খেলে খুব দ্রুত খাবার হজম হয়। এছাড়াও পেঁপের ফাইবার গুলো দ্রুত খাদ্য হজমে করে ও বদহজমের সমস্যা দূর করে।

১৩.চুলের যত্নে পেঁপে

পেঁপে, চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী। পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেলস যেগুলো মাথায় চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল ঘন, কাল ও উজ্জ্বল করে। চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে ও চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, চুল হয় চুল হয় প্রাণবন্ত।

১৪.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পেঁপে। পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লাভোনয়ে, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইনসহ অন্যান্য আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। যেগুলো শরীরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

পেঁপের এই উপকারগুলো সরাসরি ক্যান্সার কমাতে না পারলেও ক্যান্সারের সেল বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে ক্যান্সার বিস্তার লাভ করতে পারে না অন্য একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে বিটা ক্যারোটিন ফুসফুস ও প্রোস্টেটের ক্যান্সার কমাতে সহায়তা করে।

১৫.হাড়ের গঠন সুন্দর করে

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও ১৯টি স্বাস্থ্য উপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব পেঁপে খেলে হাড়ের গঠন সুন্দর হয় সে সম্পর্কে। পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পাপাইন ও ভিটামিন সি।

যেগুলো হাড়ের গঠন মজবুত করে, হাড়ের ক্ষয় রোগ দূর করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে খেলে অষ্টিও আরট্রাইটিস ও রিমাটেড আর্থাইটিস রোগ স্বস্তি পাওয়া যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য সকলের পেপৈ খাওয়া উচিত।

১৬.ত্বকের যত্নে পেঁপে

পেঁপের অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি উপকারিতা হলো পেঁপে খেলে ত্বক সুন্দর থাকে। পেঁপেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,

এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও মিনারেলস যেগুলো ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে তোকে উপর দাগ সব দূর করে তোকে আরো সুন্দর করে লাবণ্য বাড়িয়ে তোলা।

১৭.টক্সিন জাতীয় পদার্থ 

টক্সিন জাতীয় পদার্থ নিঃসরণে বিশেষভাবে সহায়তা করে পেঁপে। বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে পুষ্টিবিদের মতে 

পেঁপেতে এমন কোন বিশেষ ধরনের পদার্থ রয়েছে যার কারণে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে অর্থাৎ পেঁপে শরীরের ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।

১৮.মাংস সিদ্ধ করতে 

মাংস সিদ্ধ করতে রান্নার কাজে কাঁচা পেঁপে বেশ গুরুত্ব বহন করে। পেঁপেতে বিদ্যমান পাপাইন এনজাইম মাংস সিদ্ধ করতে সহায়তা করে। যদি অনেক সময় হিট দেওয়ার পরেও মাংস সিদ্ধ হতে সমস্যা মনে হয় তাহলে ওই মাংষের সাথে কয়েক টুকরা কাঁচা পেঁপে কেটে দিলে মাংসগুলো খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।

১৯.পেঁপের ভেষজ গুণ 

পেঁপের ভেষজ গুণগুলোর মধ্যে  অন্যতম গুন হলো -

  • পেঁপের কচি পাতার রস বা কচি পেঁপের বিচি খেলে কৃমি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে কচি পাতার রস বা কাঁচা পেঁপে খেলে হজম সমস্যা দূর হয়।
  • কচি পেঁপের আঠা পানির সাথে মিশিয়ে মাথার চুলে ব্যবহার করলে উকুন চলে যায়।
  • কচি পেঁপের আঠা চিনির সাথে মিশিয়ে খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
  • পাকা পেঁপে, মধু ও টক দই একসাথে মিশিয়ে  মুখমনডলে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

পেঁপের অপকারিতা

পেঁপের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা আলোচনায় এখন আমরা জেনে নেব পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা সমূহ। পেঁপের অপকারিতা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।

  • গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে ভ্রুনের ক্ষতি হয়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বেশি পরিমাণে পাকা পেঁপে খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
  • কিছু কিছু লোকজনের ক্ষেত্রে পেপেতে এলার্জি হতে পারে, তাদের জন্য পেঁপে না খাওয়া ভালো।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে পাকা পেঁপে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
  • খালি পেটে পেঁপে খাওয়া উচিত নয়, খালি পেটে পেঁপে খেলে পেটের মধ্যে বিভিন্ন রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।

উপসংহার 

পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপকারী একটা ফল ও সবজি। এই ফলটির বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপকারিতার কারণে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত এবং শরীর-স্বাস্থ্য্ ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পেঁপে খাওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করি আজকের এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে, আর আপনার ভালোলাগাটা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না। যেন তারাও পেঁপে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারে। আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url