স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো আজকের আর্টিক্যালের আলোচ্য বিষয়। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নামে পরিচিত। তাই নিম্নোক্ত ছবি দেখে বুছতে পারছেন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোনের মধ্যে থেকে সঠিক মানের সঠিক দামের মোবাইল ফোন পছন্দ করা অত্যন্ত জটিল একটা বিষয়।

স্মার্টফোন কেনার সময় ১৩টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

বিশ্বের এতগুলো কোম্পানি উৎপাদিত সব ধরনের স্মার্ট ফোনের গুণগত মান একই রকম হবে না এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য বাছাই করে সঠিক মানের স্মার্টফোন কেনার সময় আমাদের কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ের  দিকে লক্ষ্য রাখতে  হবে। নিম্নে লক্ষণীয় টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্র

ক্যামেরার গুণগতমান

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হোল ক্যামেরা। মোবাইল র্ফোন কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এর ক্যামেরা কেমন? ক্যামেরার মান নির্ভর করে তার লেন্স, মেগাপিক্সেল, রেজুলেশন ও ফোকাস সিস্টেম এর উপর।

ভালো মানের ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন না হলে মানসম্মত ছবি উঠানো যায় না। ভালো মানের ঝকঝকে সুন্দর ছবি তুলে ইউটিউবিং করলে ভালো সাড়া পাওয়া যায়। স্মার্টফোনে টেলিফটো লেন্স যুক্ত ক্যামেরা থাকলে ভালো হয়।

ব্যাটারি ব্যাকআপ

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো পড়ে নিন। স্মার্ট ফোন কেনার সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত যেন লং টাইম চার্জ থাকে। বাজারে সাধারণত তিন হাজার মিলি এম্পিয়ার আওয়ার এর ব্যাটারি পাওয়া যায়। যাদের লং টাইম ধরে ফোনে

আরো পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারে শিশুদের কি কি ক্ষতি করে?

কাজ করতে হয় তাদের স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারি ৪০০০ থেকে ৫০০০ মিলি আম্পিয়ার আওয়ার হলে ভালো হয়। মোবাইলে চার্জার কেবল ইউএসবি টাইপ সি ও ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম আছে কি না দেখে নিতে হবে।

স্টোরেজ সিস্টেম

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে একটি হলো। স্টোরেজ সিস্টেম। স্মার্টফোন কেনার সময় এর ইন্টারনাল স্টোরেজ সিস্টেম কেমন তা দেখে নিতে হবে। স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ যত বেশি হবে

ফোনে তত বেশি অ্যাপস বা ডকুমেন্ট সেভ করে রাখা যাবে।স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বেশি হলে স্মার্টফোনটি দ্রুততার সহিত কাজ করে ও হ্যাং হয় কম, লোড নিতে পারে বেশি। শুধু তাই নয় ফোনটি স্মুথলি ব্যবহার করা যায়।

অপারেটিং সিস্টেম 

স্মার্টফোন কেনার সময় অবশ্যই দেখতে হবে কোন অপারেটিং সিস্টেমের ফোলটি আপনি কিনবেন। এখন বাজারে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: কম পুজিতে টাকা আয় করার ১০ টি লাভজনক ব্যবসার ধারণ

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অথবা উইন্ডোজ সিস্টেম। যে সিস্টেম ব্যবহারে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেই সিস্টেমের ফোন নেওয়া ভাল, এতে করে আপনি স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে মানসিকভাবে তৃপ্তি পাবেন।

ডিসপ্লের আকার বা সাইজ 

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা দেখে নিন। স্মার্টফোন কেনার সময় এর ডিসপ্লের  আকার বা স্কিনের সাইজ দেখা অত্যন্ত জরুরি। বাজারে  ৫ থেকে  ৬ ইঞ্চি স্কিন সাইজের মোবাইল পাওয়া যায়।

যে সাইজের স্কিন ব্যবহারে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেই সাইজের স্মার্টফোনটি নেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে ডিসপ্লের আকার বা সাইজ একটু বড় হলে টাসফোনে কাজ করে বেশি মজা পাওয়া যায়।

প্রসেসর 

প্রসেসর হলো স্মার্টফোনের ভিত্তি বা ফাউন্ডেশন এর মত। ফাউন্ডেশন যত মজবুত হবে বিল্ডিং তত শক্ত হবে। তাই প্রসেসরের উপর নির্ভর করে একটা স্মার্টফোনের পারফরমেন্স। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কোয়াটাকোর বা অফটাকোর এর মত অনেক আপডেট প্রসেসর বাজারে এসেছে। কোয়ালকন স্ন্যাপড্রাগন একটা ভালো মনে প্রসেসর।প্রসেসর বিভিন্ন মাপের হয়ে থাকে যেমন ৭, ১০, ১১, ১৪ ন্যানোমিটার।

স্মার্টফোনের প্রসেসর যেমন হয়

মাপ যত কম হয় প্রসেসর তত ভালো পারফর্ম করে। সেই হিসেবে ৭ নেনোমিটারের প্রসেসরই ভালো। তাহলে স্মার্টফোন কেনার সময় এ বিষয়টি ভালোমত খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রসেসরটি অফটাকোর ও ৭ নানোমিটারের কম হয়। মনে রাখতে হবে প্রসেসরটি যত ভালো হবে মোবাইল ফোনটি র‍্যাম এর মাধ্যমে তত ভাল পারফরম্যান্স শো করবে।

‍র‍্যাম  বা আর এ এম ( RAM )

র‍্যাম বা র‍্যানডম এক্সেস মেমোরি (RAM) এটি হলো মোবাইলের অস্থায়ী মেমোরি যা শুধু কাজ করার সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ডাটা ইনটেকের ক্যাপাসিটি রাখে. বর্তমান বাজারে ৪ জিবি থেকে শুরু করে উপরের দিকে র‍্যামের মোবাইল গুলো ভালো সার্ভিস দেয়।

আরো পড়ুন: মাসে 30 হাজার টাকা আয় করার দারুন সব সহজ উপায়।

স্মার্ট ফোন কেনার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে ‍র‍্যাম যেন ৪ জিবির নিচে না হয়। ৪ জিবির ওপরে র‍্যামের মোবাইলে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন র‍্যাম যত বেশি হবে স্মার্টফোনটি তত পারফরম্যানস শো করবে অর্থাৎ হ্যাং হওয়ার পসিবিলিটি কম থাকবে।

রম বা আর ও এম (ROM)

রম বা রিড অনলি মেমোরি (ROM) টি হল মোবাইলের স্থায়ী মেমোরি। এতে বিভিন্ন অ্যাপস, অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট ও ফাইলসহ সবকিছু সেভ হয়ে থাকে। তাই স্মার্টফোন কেনার সময় রম অবশ্যই ভালো করে দেখে নিতে হবে।বর্তমান সময়ে বাজারে ৫ জিবি থেকে

আরো পড়ুন: ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়।

শুরু করে ৫১২ জিবি পর্যন্ত রমের মোবাইল আছে। মোটামুটি একটি ভালো মানের স্মার্ট ফোন ৬৪ জিবি রম হলেই চলে। তাই স্মার্টফোন কেনার সময় রমের বিষয়টা ভালোমতো খেয়াল রাখতে হবে। রম বেশি হলে মোবাইলে পারফরম্যানস ভালো হয়।

ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি

ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি হলো মোবাইল ফোনের তারবিহীন চার্জিং বাবস্থা। টাসফোন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে ফোনটির ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তির আছে কিনা। ওয়ারলেস চার্জিং

আরো পড়ুন: ছাত্র জীবনে অনলাইনে ইনকাম করার ৮টি সহজ উপায়।

প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো সময় যে কোন অবস্থাতেি। ফোন চার্জ করা যায়। আশা করি বুঝতে পারছেন ওয়ারলেস চার্জিং প্রযুক্তি এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

স্মার্টফোন এর বডির গঠন

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলোর মধে শেল স্মার্ট ফোন কেনার সময় এর বডির গঠন খেয়াল করা উচিত। এটা প্লাস্টিক না সেগুলোজ না স্টিলের বডি তা দেখতে হবে।বডির যে গঠন আপনার কাছে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে হবে বা স্মার্ট মনে করেন সেই বডি ওয়ালা স্মার্টফোনটি নিবেন। সেলুলজের বডি দেখতে সুন্দর হয়।

মেমোরি কার্ড 

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।  আধুনিক স্মার্ট ফোনগুলোতে ইন্টারনাল মেমোরির পাশাপাশি মেমোরি কার্ড বা এসডি কার্ড ব্যবহার করা হয়। এই মেমোরি কার্ডগুলো যত ভালো মানের হয় মোবাইল তত ভালো পারফরম্যান্স করে। বর্তমানে বাজারে ক্লাস টু থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত মেমোরি কার্ড রয়েছে।

স্মার্টফোনের মেমোরি কার্ড যেমন হয়

এর মধ্যে ক্লাস টেন মেমোরি কার্ড সবচেয়ে ভালো। ভালো মানের পিকচার ধারুন ও ভালো মনের ভিডিও ধারণের জন্য ভালো মানের মেমোরি কার্ড দরকার হয়। তাই মোবাইল ফোন কেনার সময় মেমোরি কার্ডের বিষয়টা লক্ষ্য করতে হবে।

মূল্য বা দাম বা বাজেট

স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে একটি হল বাজেট। বাজেটের উপর নির্ভর করে একটা ভালো মানের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। একটা ভালো মানের স্মার্টফোন কিনতে

গেলে একটু ভালো মানের বাজেট দরকার হয়। তাই সবকিছু দেখে বুঝে মোটামুটি ভালো মূল্য বা দাম দিয়ে মোবাইফোন কিনলে স্মুথলি ব্যবহার করা যায় ও লংজিবিটি বেশি হয়।

আফটার সেল সার্ভিস

 স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবেস্মার্ট ফোন কেনার সময় এর ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি ও বিক্রয় পরবর্তী সেবাগুলো কেমন সেগুলো খেয়াল করতে হবে। যদি ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি বা বিক্রয় পরবর্তী সেবা না থাকে তাহলে ওই স্মার্টফোনটি পছন্দ হলেও না কেনাই ভালো।

মোবাইল ফোনগুলো ইলেকট্রিক জিনিস। এগুলো নষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বিক্রয় পরবর্তী সেবাগুলো নিশ্চিত হওয়ার পরে সেই ফোনটি কেনা উচিত।

লেখক এর কথা

উপরোক্ত বিভিন্ন ডিভাইস সম্পর্কে আলোচনা পর্যালোচনা থেকে একটা বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে স্মার্টফোন কেনার সময় প্রত্যেকটি বিষয়ে ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর কোন শেষ নেই'! তাই ভালো একটা  স্মার্টফোন কেনার জন্য যেমন ভালো একটা বাজেট দরকার তেমনি বিশ্বস্ত একটা সেল সেন্টার বা দোকান দরকার।

আশা করি স্মার্ট ফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন। সর্বোপরি আমার মতামত হলো বিশ্বস্ত দোকান থেকে ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কিনলে ভালো পারফরম্যান্স পেতে পারেন। কষ্ট করে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url