ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। ধনেপাতা ঔষধি গুন ও পুষ্টি মানসম্পন্ন এবং মসলা জাতীয় এক প্রকার সবুজ উদ্ভিদ। অনেকেই আছেন যারা ধনে পাতা ছাড়া যে কোন তরকারির মজাই পান না। ধনেপাতার সুঘ্রাণ ও স্বাদ যে কাউকে আকৃষ্ট করে। এ গাছের ফল মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং সবুজ পাতা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয় ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ধনেপাতা ও ধনে বীজ প্রত্যেকেই কোন কোন ভাবে পছন্দ করেন। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার পছন্দ আরো বেড়ে যাবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে ধনে পাতার পুষ্টিগুন, ধনে পাতা খাওয়ার নিয়ম, ধনে পাতা খাওয়া উপকারি, ধনে পাতা খাওয়ার অপকারিতা বা সতর্কতাসহ বিভিন্ন তথ্যমূলক বিষয়গুলো সম্পর্কে। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্র
ধনে পাতার পরিচিতি
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার ধনে পাতার পরিচিতি সম্পর্কে। এ পাতা চিনেন না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। সুপরিচিত এই গাছ সবুজ ও সুগন্ধযুক্ত এক ধরনের তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ। ধনে পাতাগুলো ছোট ছোট, সবুজ ও মসৃণ হয়। সরু আকৃতির অনেকগুলো ডালপালা হয়। ছোট ছোট থোকায় থোকায় সাদা সাদা ফুল ফোটে। ফুল থেকে দানা আকৃতির ফল হয়।
এই ফলের ভিতরে থাকে বীজ। যেগুলো কাঁচা অবস্থা সবুজ এবং পরিপূর্ণ হয়ে পেঁকে গেলে বাদামি বর্ণ ধারণ করে, যা মসলা ও মুখরোচক খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধনে পাতা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন -
- ধনিয়া পাতা,
- ধনে পাতা,
- বিলেতি ধনিয়া পাতা,
- বন ধনিয়া পাতা,
- চাটনি পাতা,
- ধনে পাতার ইংরেজি নাম কোরিয়ানডার (Coriander),
- ধনে পাতার বৈজ্ঞানিক নাম কোরিয়ানড্রাম স্যাটিভাম (Coriandrum sativum)।
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ
ধনে পাতা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ও ঔষধি গুণে ভরপুর এক ধরনের গাছের পাতা, যা আমরা মনের অজান্তেই বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। ধনেপাতায় নিম্নোক্ত পুষ্টি উপাদান, বিভিন্ন প্রকারের খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন ঃ রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম ও পুষ্টিগুণ।
- খাদ্য শক্তি বা এনার্জি,
- কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা,
- প্রোটিন বা আমিষ,
- ফাইবার,
- ভিটামিন এ,
- ভিটামিন সি,
- ভিটামিন কে,
- ভিটামিন বি১,
- ভিটামিন বি২,
- ক্যালসিয়াম,
- পটাশিয়াম,
- ম্যাগনেসিয়াম,
- ক্লোরিন,
- জিংক,
- ফসফরাস,
- আয়রন,
- পলি ফে নল,
- ফাইটোকেমিক্যাল,
- এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এসেন্সিয়াল অয়েল,
- বিশেষ করে লিনোলেনিক এসিড,
- পামেটিক অ্যাসিড,
- লিনোলেয়িক এসিড,
- স্টিয়ারিক এসিড, ইত্যাদি।
- ধনে পাতায় কোলেস্টেরল নেই।
ধনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব কিভাবে খাবেন ধনে পাতা সে সম্পর্কে। ধনেপাতা সুগন্ধযুক্ত সবজি ও মসলা জাতীয় এক ধরনের উদ্ভিদ। এটি খাওয়ার কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। যার যেভাবে রুচি হবে সে সেভাবেই খেতে পারবেন। ধনেপাতা খাওয়ার বিভিন্ন উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
আরও পড়ুন ঃ কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও সতর্কতা।
- ধনে পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- রান্না করে খাওয়া যায়।
- ধনে মসলা হিসেবে খাওয়া হয়।
- ডাউলের সাথে রান্না করে খাওয়া যায়।
- কাঁচা মরিচ, পিয়াজ ও ধনে পাতা চাটনি করে খাওয়া যায়।
- শুধু ধনে পাতা ভর্তা করে খাওয়া যেতে পারে।
- ধনে পাতা সালাদ করে খাওয়া যায়।
- স্যুপ বানিয়ে খাওয়া যায়।
- চাটনি বানিয়ে খাওয়া যায়।
- ধনে পাতা বিভিন্ন রেসিপি সাথে ব্যবহার করে খাওয়া যায়।
- ধনে পাতা চায়ের সাথে খাওয়া যায়।
- ধনেপাতা দিয়ে সালসা তৈরি করেও করা যায়।
বি ঃ দ্র ঃ ধনেপাতা কাঁচা খেলে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। কাঁচা ধনেপাতার পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ মাত্রায় ঠিক থাকে।
১.ধনে পাতার উপকারিতা
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব ধনে পাতা খেলে যে সকল উপকারিগুলো পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। ধনেপাতা শুধু রান্নার স্বাদ ও সুগন্ধই বৃদ্ধি করে না, এতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এতে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানগুলো মানব দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য কঠিন ও জটিল রোগের উপশম করে। আসুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাক ধনে পাতার উপকারিগুণগুলো।
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনায় এখন আলোচনা করব ধনে পাতা খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সে সম্পর্কে। ধনেপাতায় রয়েছে বিভিন্ন, ধরনের মেনারেলস, এন্ট্রি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন ঃ নিমপাতা ব্যবহারের উপকারিতা গুলো কি কি?
৩.পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি হয়
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব ধনেপাতা খেলে পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি হয় সে সম্পর্কে। ধনেপাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক তেল ফ্যাটি এসিড ও ফাইবার যেগুলো খাবার পরে খুব দ্রুত খাদ্য হজমে সহায়তা করে। গ্যাস বা অম্ল কমায় ফলে পাকস্থলী বা পরিপাকতন্ত্রের উপকার হয়।
আরও পড়ুন ঃ মধুর পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।
৪.কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব ধনে পাতা খেলে কিডনির কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে। ধনে পাতায় এমন কোন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান আছে যার কারণে ধনে পাতা খেলে শরীরের বিষক্রিয়া ও ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ নিঃসরণে সহায়তা করে। যেগুলো কিডনি মাধ্যমে রেচন প্রক্রিয়ায় অপসারিত হয়। ফলে কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে।
আরও পড়ুন ঃ শিমুলের মূল খাওয়ার ২৪ টি উপকারিতা।
৫.ত্বকের জন্য উপকারি
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব ধনে পাতা খেলে ত্বকের উপকার হয় সে সম্পর্কে। ধনে পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন।
ধনে পাতায় উক্ত উপাদান গুলো বিদ্যমান্যের কারণেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে ব্রণ, এলার্জি ও ফুসকুড়ি দূর করে, ত্বক মসৃণ, মলিন ও সুন্দর হয়। মুখের বলি রেখা দূর করে ও লাবণ্য ধরে রাখে। এজন্য বয়সের ছাপ বুঝা যায় না।
৬.রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে
রক্ত পরিশোধনে ধনে পাতার উপকারিতা অনেক। ধনে পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন এন্ট্রি অক্সিডেন্ট গুলো রক্তে বিদ্যমান বিভিন্ন টক্সিক বা বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে দূর করতে সহায়তা করে। ফলে রক্ত পরিশোধন হয় বা রক্ত পরিষ্কার হয়। ধনে পাতা খেলে রক্ত রোগের ঝুঁকি কমে।
৭.হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব ধনে পাতা খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে সে সম্পর্কে। ধনে পাতা রয়েছে পটাশিয়াম ও এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট যেগুলো উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে কোন কোলেস্টেরল নেই। ফলে কোলেস্টেরল বাড়ার কোন সুযোগ নেই, বরং কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৮.টক্সিক পদার্থ নিঃসরণ
টক্সিক পদার্থ নিঃসরণে ধনে পাতার যথেষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে। ধনে পাতা নিয়মিত ও পরিমাণ মতো প্রতিদিন খেলে শরীরের বিদ্যমান টক্সিক পদার্থগুলোকে ডিটক্সিফাই করার মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসরণ করে।
৯.শরীরের প্রদাহ ও ব্যথা কমায়
শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে ধনে পাতা। ধনে পাতায় রয়েছে বিভিন্ন এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি এজেন্ট। ফলে ধনেপাতা খাওয়ার পরে এই এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি এজেন্টগুলো শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে ও বাত-ব্যথা কমিয়ে শরীর ভালো রাখতে সহায়তা করে।
১০.কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ধনে পাতা যথেষ্ট উপকারী। এমনিতেই ধনেপাতায় কোন ধরনের কোলেস্টেরল নেই, ফলে ধনে পাতা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এপাতা খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে, ফলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।
১১.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
ধনে পাতার পুষ্টিগুণ ২০ টি উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ও অপকারিতা আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব ধনে পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে সে সম্পর্কে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে ধনে পাতার রস রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং এটি ইনসুলিনের নিঃসরণকে উন্নত করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১২.চুলের জন্য উপকারি
চুলের জন্য যথেষ্ট উপকারী ধনে পাতা। ধনে পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন গুলোর কারণেই মূলত: চুল ঝরে পড়া রোধ হয়, চুল সুন্দর, সিল্কি, ঘন, কালো ও উজ্জ্বল হয়।
১৩.মৃগী রোগের জন্য উপকারি
মৃগী রোগের জন্য যথেষ্ট উপকারী এই ধনে পাতা। গবেষণায় দেখা গেছে এটি মৃগী রোগের খিঁচুনি ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করতে পারে।
১৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে
ক্যান্সার প্রতিরোধে যথেষ্ট সহায়তা করে ধনে পাতা। এ পাতায় বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ, এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, এসকরবিক এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে।
১৫.ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়
ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে ধনে পাতা যথেষ্ট উপকারি। এই ধনে পাতার অ্যান্টিসেপ্টিক ও এন্টিফাঙ্গল গুনাগুণ রয়েছে। ফলে ত্বকের যে কোনো ধরনের চুলকানি ও চামড়ার জ্বালাপোড়া কমাতে ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
১৬.ঋতুস্রাবে উপকার হয়
বিভিন্ন ঔষধি গুনে গুণান্বিত ধনে পাতা খেলে ঋতুস্রাবে রক্ত সঞ্চালনে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে বিদ্যমান আয়রনের কারনে রক্তস্বল্পতা কমাতে সহায়তা করে।
১৭.মুখের রোগ নিরাময়
ধনে পাতার রয়েছে এন্টি সেপটিক ঔষধিগুণ। যে গুণের কারণে মুখের ভিতর আলসার নিরাময়ে যথেষ্ট উপকারী। নিয়মিত ধনে পাতা খেলে এ ধরনের সমস্যা গুলো নিরাময় হয়।
১৮.চোখের উপকারি
ধনে পাতা খেলে চোখের উপকার হয়। ধনে পাতায় বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন এন্ট্রি অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ। যেগুলো চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও দৃষ্টি ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
১৯.স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখে
স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে ধনে পাতার যথেষ্ট উপকারি। ধনে পাতা খেলে মস্তিষ্কের নার্ভ গুলো সচল রাখতে সহায়তা করে এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। এছাড়াও ধনে পাতায় বিদ্যমান ভিটামিন কে অ্যলঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ উপকারি।
২০.ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে ধনে পাতা। এতে খুবই অল্প পরিমাণে ক্যালরি আছে ফলে ধনে পাতা খেলে বড়িতে ফ্যাট জমতে পারে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধনে পাতা ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য আদর্শ খাদ্য উপাদান হতে পারে।
ধনে পাতা খাওয়ার অপকারিতা বা সতর্কতা
ধনে পাতা বহুগুণে গুণান্বিত ও ঔষধি মানসম্পন্ন একটি উপাদান। যা খেলে শরীরের অনেক উপকার হয় কিন্তু এই ধনে পাতা বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এজন্য ধনের পাতা খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত। ধনে পাতা মাত্রা অতিরিক্ত খেলে যে ক্ষতিগুলো হয় সেগুলো নিম্নরূপ -
- ধনে পাতা বেশি খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
- ধনে পাতা পরিমাণে বেশি খেলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে ধনে পাতা খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
- ধনেপাতা খেলে অনেকের এলার্জি হতে পারে।
- ধনে পাতা বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম বা ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনে পাতা খাওয়ার কারণে ভ্রূণের বা বাচ্চা শরীরে ক্ষতির উদ্যোগ বাড়তে পারে।
- বেশি পরিমাণে ধনে পাতা খেলে এতে বিদ্যমান উদ্ভিদজ তেলের কারনে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি করতে পারে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, ধনে পাতা সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন ধনে পাতার বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও উপকারিগুণ সম্পর্কে। নিঃসন্দেহে ধনে পাতা অত্যন্ত ভালো একটি খাদ্য উপাদান তবে বেশি খেলে ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়ার আগে একজন পুষ্টিবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাওয়া শুরু করুন।
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ধনে পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। রক্তে দিনে দিনে জমতে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ ও টক্সিক উপাদানগুলো ডিটক্সিফাই করতে যথেষ্ট উপকারী এই ধনে পাতা। সেজন্য পরিমাণ মতো ও নিয়মিত ধনে পাতা সেবন করুন স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।
তথ্যগুলো সংগৃহীত
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url