ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নাম সময়সূচী ও ভাড়া ২০২৫
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নাম সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। আপনারা অনেকেই ঢাকা টু বরগুনার আমতলী রুটের লঞ্চের খবরাখবর জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার জন্য সড়ক পথে বাস মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা থাকলেও যানজট ও কোলাহল মুক্ত জার্নির জন্য লঞ্চ যোগাযোগ ভালো। যেহেতু আপনি লঞ্চের খবর জানতে চাচ্ছেন সেজন্য এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এখানে পড়ে ঢাকা টু বরগুনা নৌপথের সকল খবরাখবর সম্পর্কে জেনে নিন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন রাজধানী ঢাকা শহরের সাথে নদী-নালা সমুদ্রের শহর বরগুনার আমতলীর মধ্যে নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চের নাম, লঞ্চের সময়সূচি ও ভাড়া বিভিন্ন তথ্যাবলী সম্পর্কে। নৌপথে কোলাহলমুক্ত ভাবে নদীনালার বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে জার্নি করা যায়। এ ধরনের জার্নিতে মন-প্রাণ ভালো থাকে ও যানজট নাথাকার কারণে স্বস্তি পাওয়া যায়। চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনা যাওয়া যাক।
পেজ সুচিপয়র
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নাম
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নাম জানার জন্য আপনারা গুগলে সার্চ করে থাকেন। যেকোনো জায়গায় যে যানবাহনে যাবেন সেই যানজটির নাম জানাটা জরুরী অর্থাৎ নৌপথে গেলে লঞ্চের নাম জেনে সে লঞ্চটি কখন ছাড়ে? ভাড়া কত? কত সময় লাগে? ইত্যাদি বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খোঁজখবর নিয়ে যাত্রা করা যায়। সেজন্য যাত্রীগণের সুবিধার্থে ঢাকা টু বরগুনার আমতলী রুটের লঞ্চের নামগুলো নিম্নে প্রদান করা হলো।
- এম ভি পূবালী ১,
- এম ভি সুন্দরবন ৭,
- এম ভি ইয়াদ ৩,
- এম ভি ইয়াদ ৭,
- এম ভি শরিয়তপুর ৩।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের সময়সূচি
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের সময়সূচী জানা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনারা যে লঞ্চে জার্নি করবেন তার সময়সূচি জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি লঞ্চঘাট বা টার্মিনালে সময়ের আগে পৌঁছে লঞ্চ ধরে আরামে যাত্রা করতে পারবেন। এজন্য সকল যাত্রীকে সময়ের মূল্য দিয়ে সময়মতো ঘাটে পৌঁছে ধরতে হবে ঢাকা টু বরগুনার লঞ্চের সময়সূচি নিম্নে তালিকা আকারে উপস্থাপন করা হলো।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের সময়সূচী
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উল্লেখ্য যে লঞ্চের সময়সূচি যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
আগের দিনে এই রুটে তিন থেকে পাঁচটি লঞ্চ চলাচল করতো কিন্তু বর্তমানে পদ্মা সেতু হওয়ার পরে যাত্রী সংকটের কারণে এম ভি পূবালী ১ ও এম ভি সুন্দরবন ৭ লঞ্চ চালু আছে।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের ভাড়ার তালিকা
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের ভাড়ার তালিকা জানার জন্য আপনারা ইতিমধ্যে সার্চ করা শুরু করেছেন। আপনি ঠিক জায়গাতেই সার্চ করেছেন। যখন আপনি কোন যানবাহনে কোথাও জার্নি করবেন তখন অবশ্যই তার ভাড়াটা আগে থেকেই জেনে নিবেন। ভাড়াটা জানা থাকলে আপনি কেমন খরচের মধ্যে টিকিট কাটবেন সেটা সহজেই ধারণা করে নিতে পারবেন। ভাড়া কম বেশি হওয়াটা নির্ভর করে পথের দূরত্ব, লঞ্চের অবস্থা এবং কেবিন বা আসন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে। আপনি আপনার বাজেট অনুসারে জার্নি সাজিয়ে ফেলুন। এই রুটে লঞ্চের ভাড়া কমানো হয়েছে। নিম্নে ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নতুন ভাড়ার তালিকা প্রদান করা হলো।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের ভাড়ার তালিকা
সিটের নাম |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিশেষ দ্রষ্টব্য ভাড়া যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের টিকিট কাটার নিয়ম
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের টিকিট কাটার নিয়ম জানা থাকলে আপনি সহজেই টিকিট কেটে নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। ঢাকা টু বরগুনা রুটের লঞ্চের টিকিট কাটার জন্য লঞ্চঘাট গুলোতে পৌঁছে টিকিট কেটে নিতে পারেন অথবা মোবাইলে লঞ্চের টিকিট বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন অথবা যদি কোন কারণে টিকিট কাটতে নাও পারেন তাও লঞ্চে উঠে গেলে ভিতরেই দেখবেন লোকজন টিকিটের জন্য আপনাকে জিজ্ঞেস করবে টিকিট কেটেছেন কিনা। সেখান থেকেও আপনি টিকিট কেটে নিতে পারবেন। সবগুলো লঞ্চেই শুধুমাত্র কেবিনের সিটগুলো বুকিং দিয়ে রাখা যায় কিন্তু ডেকের সিটগুলো বুকিং দিয়ে রাখা যায় না।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের মোবাইল নাম্বার
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চে যাওয়ার জন্য অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার মত সময় হয়ে ওঠেনা। সেজন্য যদি মোবাইল নাম্বার থাকে তাহলে কাজের ফাঁকে যে কোন সময় ফোন করে ঢাকা টু বরগুনা রুটে লঞ্চ চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিতে পারবেন। মোবাইল নাম্বার থাকলে প্রয়োজনবোধে মোবাইলে লঞ্চের টিকিট বুকিং দিতে পারবেন। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে নিম্নে ঢাকা টু বরগুনার আমতলী রুটের লঞ্চের সাথে যোগাযোগ করার জন্য লঞ্চের মোবাইল নাম্বার প্রদান করা হলো।
লঞ্চের মোবাইল নাম্বার
|
|
|
১ |
|
|
|
এম ভি সুন্দরবন ৭ |
|
৩ | এম ভি ইয়াদ ৩ |
ঢাকা টু বরগুনা নৌপথের দূরত্ব কত
নদী পথে লঞ্চে জার্নি করার জন্য আপনাদের অনেকেই কৌতূহলবশত গুগলে সার্চ করেন ঢাকা টু বরগুনা নদী পথের দূরত্ব কত সে সম্পর্কে? আপনি এখানে এই আর্টিকেলটিতে পেয়ে যাবেন এই প্রশ্নের উত্তর। বর্ষা মৌসুমে যখন সাগর ও নদীগুলো পানিতে টুইটুম্বর হয়ে থাকে তখন নদীপথের দূরত্ব কিছুটা বেড়ে যায় আবার শীত মৌসুমে যখন সাগর ও নদীর পানি কমে যায় তখন এর দূরত্ব কিছুটা কমে যায়। এই দুই মৌসুমের নৌপথের দূরত্বের গড় করে ঢাকা টু বরগুনার নৌপথের দূরত্ব হলো ১৬৫ কিলোমিটার।
ঢাকা টু বরগুনা নৌপথে কত সময় লাগে
ঢাকা টু বরগুনা নৌপথে যেতে কত সময় লাগে এটা আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ আপনারা যারা নৌপথে ঢাকা থেকে বরগুনা যাবেন তাদের জন্য সময়ের একটা ব্যাপার থাকে, কখন লঞ্চে উঠবেন? কখন পৌঁছাবেন? কত ঘন্টা যাত্রা করবেন? সবকিছু মিলিয়ে এ টাইম টেবিলটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপনারা যারা নৌপথে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে বরগুনা যাবেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে বর্ষা মৌসুম, শীত মৌসুম ও নদীর স্রোতের অনুকূল-প্রতিকূল বিবেচনা করে ঢাকা থেকে বরগুনা যেতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা।
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চ চলাচল সম্পর্কে আপনারা সাধারন কিছু প্রশ্ন গুগলে সার্চ করে থাকেন। প্রশ্নগুলো সাধারণ মনে হলেও বেশ গুরুত্ব বহন করে। এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আর্টিকেলের এ পর্বটি লেখা। ঢাকা টু বরগুনার আমতলী ল ঞ্চ যোগাযোগ সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর নিম্নে প্রদান করা হলো।
প্রশ্ন ঃএই লঞ্চে খাওয়া-দাওয়ার সুব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর ঃজ্বি, এই লঞ্চে খাওয়া-দাওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
প্রশ্ন ঃএই লঞ্চে কেবিনের ভাড়া কত?
উত্তর ঃএই লঞ্চের ভাড়া পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ভাড়া ডেকে ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিল ১৩০০ টাকা এবং ডাবল কেবিন ২৫০০ টাকা।
প্রশ্ন ঃঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের কেবিল মোবাইলে বুকিং করা যায় কি?
উত্তর ঃলঞ্চের কেবিন মোবাইলে বুকিং করা যায় কিন্তু ডেকের সিটি মোবাইলে বুকিং করা যায় না।
প্রশ্ন ঃ এই লঞ্চে নামাজের সুব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর ঃ জ্বি, এই লঞ্চে নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের চার তলার ছাদে নামাযের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে একসাথে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক নামাজ পড়তে পারেন।
প্রশ্ন ঃলঞ্চে জার্নি করার সময় কোন বিছানা বা কম্বল ও বালিশ নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি?
উত্তর ঃলঞ্চের কেবিনে জার্নি করার জন্য বিছানা বা কম্বল নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেবিনে বিছানা রেডি থাকে কিন্তু ডেকে যারা জার্নি করবেন তাদের জন্য বিছানা বা কম্বল ও বালিশ নিলে ভালো হয়।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, বেশ কিছুদিন ঢাকা টু বরগুনা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পরে ভাড়া কমিয়ে পুনরায় চালু হয়েছে। লঞ্চ জার্নি অনেক আনন্দের, অনেক মাজার! সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। যাত্রাপথে ভালো থাকার জন্য লঞ্চে অন্যের দেওয়া কোন কিছু খাবেন না। মালপত্র ও লাগেজ নিজ দায়িত্বে রেখে লঞ্চ ভ্রমন করুন। স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হন সুস্থ থাকুন।
আশা করি, ঢাকা টু বরগুনা লঞ্চের নাম সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা এই রুটের লঞ্চ চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এতথ্যগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করার জন্য আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন, যেন অন্যেরাও এতথ্যগুলো জানতে পারেন। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url