মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ জেনে নিন
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ জানার জন্য আপনি হয়তো এখন গুগলে সার্চ করছেন। তাহলে আপনি ঠিক ওয়েবসাইটে চলে আসছেন। এখানেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার সেই কাঙ্খিত তথ্য অর্থাৎ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও সেগুলো কাজ। এই তথ্যগুলো জানা আপনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার জন্য খুবই দরকার। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম, এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলোর কাজ কি? মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত? মানব দেহে হাড়ের সংখ্যা কত? এবং এ সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে। এই তথ্যগুলো জানলে আপনার ভালো লাগবে এবং কাজ সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে দিন।
পেজ সুচিপত্র
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ জানার জন্য এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন। মানব দেহ বিভিন্ন অঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত। অনেকগুলো অঙ্গ একত্রিত হয়ে তৈরি হয়ে মানবদেহ। এই অঙ্গগুলোর যেমন ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রত্যেকটি অঙ্গের আলাদা আলাদা কাজ। মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর নাম ও কাজ নিম্নে ধারাবাহিকভাবে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করা হলো।
- মস্তিষ্ক (Brain),
- মাথার খুলি (Skulp),
- কান (Ear),
- চোখ (Eye),
- নাক (Nose),
- হৃদপিণ্ড (Heart),
- ফুসফুস (Lungs),
- শিরা (Atari),
- ধমনী (Vain),
- যকৃত (Liver),
- পাকস্থলী (Stomach),
- অন্ত্র (Intestine),
- কিডনি (Kidney),
- মূত্রাশয় (Urinary Bladder),
- হাড় (Bons),
- ত্বক (Skin), ইত্যাদি।
মস্তিষ্ক (Brain) ঃ মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী অঙ্গটি হলো মস্তিষ্ক। মানবদেহের সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। স্মৃতি, ব্যথা-বেদনা, অনুভূতি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচড়া, পেশির মুভমেনট, চিন্তাভাবনা, কাজে পরিকল্পনা সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। এক কথায় বলা যায় মস্তিষ্ক মানব দেহের রিমোটের মত কাজ করে। মস্তিষ্ক তিনটি ভাগে (অগ্র মস্তিষ্ক, মধ্য মস্তিষ্ক ও পশ্চাৎ মস্তিষ্ক) বিভক্ত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
মাথার খুলি (Skulp) ঃ মাথার খুলি বা স্কাল্প হলো মস্তিষ্কের কভার বা আবরণ। মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অর্থাৎ মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখে মাথার খুলি। মস্তিষ্ক যেন বাহির থেকে আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এই খুলির মধ্যেই ব্রেনটি থাকে। বলা যায় মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয় মাথার খুলি। ছোট-বড় ২২ টি হাড়ের সমন্বয়ে এই খুলিটি গঠিত। মুখের আকৃতি ধরে রাখে খুলি।
কান (Ear) ঃ কান বা কর্ণ হলো মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। কাল হলো এমন একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে আমরা শব্দ শুনতে পাই। কানের সাহায্যে আমরা চতুর্দিকের শব্দ শুনে থাকি। কাল শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। কান বিভিন্ন ছোট ছোট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত।
আরও পড়ুন ঃ কড লিভার অয়েল খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা ও সর্তকতা।
চোখ (Eye) ঃ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ সম্পর্কে। কথায় বলে চোখ না থাকলে দুনিয়া আন্ধার অর্থাৎ চোখ দিয়ে আমরা সবকিছু দেখি। চোখ শরীরের বাহিরে অবস্থিত এজন্য চোখে আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে জন্য সবসময় চোখের ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থেকে যত্ন নিতে হবে।
নাক (Nose) ঃ মানবদেহের আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো নাক বা নাসিকা। নাকের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রকমের গন্ধ শুঁকতে পারি বা গন্ধ সম্পর্কে টের পাই। নাক বা নাসিক রন্ধ দিয়ে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করি ও ছাড়ি। নাসিকা বা নাকের সাথে শ্বাসনালী যুক্ত হয়ে ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
হৃদপিণ্ড (Heart) ঃ মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি হলো হৃদপিণ্ড বা হার্ট। হাতের মধ্যেই রক্ত পরিশোধিত হয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করে বলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ হয়, ফলে শরীর সুস্থ থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের হৃদপিণ্ড প্রতি মিনিটে ৭২ বার রক্ত পাম্প করে অর্থাৎ হৃদ-স্পন্দন হয়।
আরও পড়ুন ঃ টাফনিলের কাজ খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা।
ফুসফুস (Lungs) ঃফুসফুস হলো মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। ফুসফুসে বাতাসের গ্যাসীয় এক্সচেঞ্জ হয়ে থাকে অর্থাৎ মানবদেহের নাসিকা রন্ধ দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে এই বাতাসের গ্যাসীয় এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইডযুক্ত দূষিত বাতাস বের করে দেয়।
শিরা (Atari) ঃ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ শিরায় সম্পর্কে। শিরা হলো এমন একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে হৃদপিন্ডের পাম করা অক্সিজেন সমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
ধমনী (Vain) ঃ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ আলোচনার এ পর্যায়ে জানিয়ে দেবো ধমনীর কাজ সম্পর্কে। ধমনী হলো এমন একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে শরীরের পেরিফেরির বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডযুক্ত রক্ত হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে।
যকৃত (Liver) ঃযকৃত হলো মানবদেহের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। যকৃত দেহের সকল বিপাকীয় কার্যক্রম ও হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যকৃত রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও টক্সিন পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। যকৃতের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
পাকস্থলী (Stomach) ঃমানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একটি হলো পাকস্থলী। খাদ্য খানা খাওয়ার পরে পাকস্থলীতে জমা থাকে। এখানে খাদ্য হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে মলাশয়ে জমা হয়।
অন্ত্র (Intestine) ঃঅন্ত্র হলো মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। পাকস্থলীতে খাদ্য খানা হজমের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে খাদ্যের বিভিন্ন রস যা এটিপি অন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে শোষিত হয় এবং শক্তির যোগান দেয়।
কিডনি (Kidney) ঃকিডনি হলো মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। কিডনি দেহের ফিল্টারের ন্যায় কাজ করে। এই কিডনিগুলো অনেক অঙ্গ নিয়ে গঠিত। রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহে সকল টক্সিন পদার্থ কিডনি দিয়ে বের হয় এবং শরীর সুস্থ রাখে।
আরও পড়ুন ঃ তিতা খাবারে গুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
মূত্রাশয় (Urinary Bladder) ঃমূত্রাশয় হলো কিডনির মাধ্যমে তৈরিকৃত প্রস্রাব জমা রাখার থলি। তৈরিকৃত প্রস্রাব কিডনিতে জমা হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ইউরেথা দিয়ে আউট সাইডে পাস হয়।
হাড় (Bons) ঃ হাড় হলো মানব দেহের সবচেয়ে শক্ত অস্থি যা শরীরের কাঠামো তৈরি করে ও ভর বহন করে। ছোট-বড় বিভিন্ন হাড়ের সমন্বয় মানব দেহ গঠিত। এই হাড়ের উপরেই ভর করে শরীর দাঁড়িয়ে থাকে। মানুষের হাঁটা, চলা-ফেরা সবকিছু নির্ভর করে এই হাড়ের উপর। হাড়ের ভিতরের অস্থির মজাতে রক্ত কণিকা তৈরি হয়।
ত্বক (Skin) ঃ ত্বক হলো মানুষ সারা শরীরের বাইরের আবরণ যা শরীরকে বাহিরের আঘাত থেকে রক্ষা করে, জীবাণুর আক্রমণ হতে বাধা দেয়, ঘামের মাধ্যমে টক্সিন পদার্থ বের করে দেয়, প্রকৃতির তাপমাত্রার সাথে ভারসাম্য রেখে শারীরিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
মানব দেহের অঙ্গের নাম
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম জানার জন্য আপনারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকেন। এই আর্টিকেলটিতে আপনারা মানব দেহের উপরোক্ত অঙ্গগুলো ছাড়াও আরো কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম জানতে পারবেন। অনেকে আবার google এ সার্চ করে থাকেন মানবদেহের অঙ্গ কয়টি সে সম্পর্কে। ছোট বড় প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ টি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে মানব দেহ গঠিত। এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর দ্বারাই মানব দেহ পরিচালিত হয়। এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর একটি ত্রুটিযুক্ত হলে অন্যটি ভালোমতো কাজ করতে পারে না অর্থাৎ একটির সাথে আরেকটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নিম্নে মানবদেহের এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম উল্লেখ করা হলো।
মস্তিষ্ক - মাথার খুলি, স্পাইনাল কর্ড, থ্যালামাস, হাই-পোথ্যালামাস গ্ল্যান্ড।
- কান - অন্তকর্ন, মধ্য কর্ণ, বহি বর্ণ।
- চোখ - রেটিনা, লেন্স, কর্নিয়া, আইরিশ, আই বল।
- নাক - নাসারন্ধ্র, থাইরয়েড , প্যারা থাইরয়েড, টনসিল,
- হৃদপিণ্ড - শিরা, উপ শিরা, ধমনী।
- ফুসফুস - ব্রংকাই, ব্রঙ্কিওল, শ্বাসনালী, স্বর থলি, ২ টি ভালব
- যকৃত।
- পাকস্থলী - মুখ, মুখ গহবর, জিহবা, লালাগ্রন্থি, খাদ্যনালী, গলবিল, পেট।
- অন্ত্র - ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত।
- প্লীহা - অগ্নাশয়, গলব্লাডার,
- অ্যাপেন্ডিক্স,
- কিডনি - মূত্রনালী, মূত্রাশয়, ইউরেথ্রা।
- যৌনাঙ্গ - লিঙ্গ, অন্ডকোষ, শুকাশয়, শুক্রাণু, প্রোস্টেট, ডিমবাশয়, ডিম্বাণু, ফ্যালোপিয়ান টিউব, ইউটেরাস।
- হাড় - অস্থি, অস্থিমজ্জা, কশেরুকা, জয়েন্ট ও দাঁত।
- পেশি - লিগামেন্ট, কোষ, কলা, টেন্ডন।
- নখ,
- ত্বক,
- বিভিন্ন ধরনের গ্ল্যান্ড,
- পায়ুপথ - মলদ্বার।
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের ছবি
মানব দেহে হাড়ের সংখ্যা কত
মানবদেহে হাড়ের সংখ্যা জানার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকেন কেউ গুগলে সার্চ করে থাকেন আবার কেউবা বই পুস্তক পড়ালেখা করে হাড়ের সংখ্যা বের করেন। আর মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি হাড়। হাড় দেহের ভার বহন করে, ভারসাম্য রক্ষা করে, হাড় দেহের কাঠামো তৈরি করা। এই হাড় দিয়ে তৈরি হয় কঙ্কালতন্ত্র। ছোট বড় সব মিলিয়ে ২০৬ টি হাড় রয়েছে। এই হাড় মানব দেহের কাঠামো তৈরি সহায়তা করে, ভার বহন করে ও সুরক্ষা দেয়।
আরও পড়ুন ঃ ক্যালসিয়াম ঘাটতি ঃ কারণ লক্ষণ চিকিৎসা ও প্রতিকারের উপায়।
মানব দেহের সবচেয়ে বড় হাড়ের নাম কি
আমাদের প্রায় সকলেরই একটি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় সেটি হলো মানব দেহে সবচেয়ে বড় হাড় কোনটি এটি জানার জন্য। মানবদেহের সবচেয়ে বড় হার কোনটি এটুকু জানার জন্য আপনারা বিভিন্ন বই পুস্তক ঘাটাঘাটি করার অথবা google এ সার্চ করে থাকেন আপনারা যেন খুব সহজেই আপনাকে উত্তর প্রয়োজন সেজন্যই এটি লেখা। মানবদেহে ছোট বড় প্রায় ২০৬ টি হাড় রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাড়র নাম হলো বিমার বা উরুর হাড়। ফিমরের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম হাড়টি হলো হিউমেরাস বা বাহুর হাড়।
মানব দেহের বড় অঙ্গের নাম কি
মানব দেহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত। এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোই মানব দেহকে সচল রাখে ও চলাচলে সহায়তা করে। মানবদেহের বাহিরের আবরণটির নাম হলো স্কিন বা চামড়া। এই চামড়া মানব দেহের অভ্যন্তরীণ সকল অঙ্গ গুলোকে সুরক্ষা দেয়, শরীরের কাঠামো ধরে রাখে, বাহিরের ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে রাখে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অর্থাৎ আপাদমস্তক এই স্কিন বা চামড়া হলো মানব শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ।
মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত
মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত এই তথ্যটি অনেকেই জানেন না! আবার অনেকেরই জানা। যখনই গায়ে তাপ উঠে বা জ্বর আসে তখনই থার্মোমিটার খোঁজেন আর চিন্তা করেন স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত? তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ইন্ডিকেট করে? এ সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর জানাতেই এ পর্বটি লেখা মানবদেহ তথা সকল প্রাণীকুলের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ সম্পন্ন হয় তাপের মাধ্যমে। তাই সবসময় মানবদেহে উৎপন্ন হয়। মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হলো ৯৮.৪°F (নাইনটি এইট পয়েন্ট ফোর ডিগ্রি ফারেনহাইট)। থার্মোমিটারে এই তাপমাত্রার বেশি তাপমাত্রা ইন্ডিকেট করলেই জ্বর বা তাপ বলা হয়।
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য আপনারা অনেক সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন। তবে ঠিক জায়গাতেই আপনারা জানার চেষ্টা করেন। আজকের আর্টিকেলটির এই পর্বে মানব দেহ সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন-উত্তর আপনারাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। এখানে পড়লে আপনারা এই সাধারণ জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন-উত্তর গুলো জানতে পারবেন।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহে কয়টি হাড় আছে?
উত্তর ঃ ছোট বড় মিলিয়ে মানবদেহে ২০৬ টি হাড় আছে।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহের সবচেয়ে বড় হাড়ের নাম কি?
উত্তর ঃ মানব দেহের সবচেয়ে বড় হাড়ের নাম ফিমার বা উরুর হাড়।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহের সবচেয়ে ছোট হাড়ের নাম কি?
উত্তর ঃ মানব দেহের সবচেয়ে ছোট হাড় মধ্য-কর্নে অবস্থিত স্টেপস অর্থাৎ সবচেয়ে ছোট হাড় হলো স্টেপস।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
উত্তর ঃমানব দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৪°F ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭.৯°C ডিগ্রী সেলসিয়াস।
প্রশ্ন ঃমানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত ডিগ্রী সেলসিয়াস?
উত্তর ঃমানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭.৯ C ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৯৮.৪ F ডিগ্রী ফারেনহাইট।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহের কোন অংশ কেটে গেলে ব্যথা পায় না?
উত্তর ঃ মানব দেহের চুল ও নখ কেটে গেলে ব্যথা পায় না।
প্রশ্ন ঃ মানব দেহের চুল ও নখ কাটলে ব্যথা হয় না কেন?
উত্তর ঃ চুল ও নখে জীবিত কোষ থাকে না। সেজন্য চুল ও নখ কাটলে ব্যথা হয় না।
উপসংহার
আশা করি আজকের মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে মনব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যগুলো বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। আপনার এই জানতে পারাটা আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না প্লিজ। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। একটি অঙ্গকে বাদ দিয়ে আরেকটি অঙ্গের কাজ সুসম্পন্ন হয় না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকটি অঙ্গকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে যত্ন নিতে হবে। কোন অঙ্গে যেন আঘাত লেগে বা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রত্যেকটি অঙ্গকে সমান গুরুত্ব দিয়ে যত্ন নিন সুস্থ থাকুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url